Remove ads
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাটকেলঘাটা বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (ডিসেম্বর ২০১৮) |
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। (ডিসেম্বর ২০১৮) |
পাটকেলঘাটা | |
---|---|
থানা | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | সাতক্ষীরা জেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৯৪২১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
তালা উপজেলার দ্বিতীয় থানা পাটকেলঘাটা। পাটকেলঘাটা থানা কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত। এটি মনোরম পরিবেশে একটি বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে গড়ে উঠেছে।
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
পাটকেলঘাটার ইতিহাসের কালের স্বাক্ষী একমাত্র ভৈরব মাথাভাঙ্গার মিলনস্থলে সৃষ্ট কপোতাক্ষ নদ। কবে কোথায় কীভাবে পাটকেলঘাটার উৎপত্তি তার কোন সঠিক তথ্য বা প্রমান তেমন মেলে না। তবে ধারণা করা হয় সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে পাটকেলঘাটার যাত্রা শুরু।
প্রথমে আসা যাক এর নামকরন এর দিকে। সহজলভ্য নৌপথের কারণে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ব্যবসা বানিজ্যের কাজে এই পথ ব্যবহার করত এখানে নদীর ঘাটে নৌকা, স্টিমার, লঞ্চ রাখত। সেই ঘাট কথা থেকে পাটকেলঘাটা নামটির উৎপত্তি হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করেন। আবার অনেকে মনে করেন, বিভিন্ন এলাকার মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী ইট, পাটকেল, চুন, পাথর প্রভৃতি দ্রব্যাদি বানিজ্যিক কাজ বা ব্যক্তিগত প্রযোজনে এখানে কোন এক ঘাটে এনে রাখত সেই ইট, পাটকেল ও ঘাট কথাটির সমন্বয়ে পাটকেলঘাটা নামটি এসেছে।এর অবস্থান পাটকেলঘাটা নামক স্থানটির চারীপাশে আছে চারটি গ্রাম। গ্রামগুলি হলো, উত্তর পাশে পারকুমিরা, পশ্চিমপাশে চৌগাছা, দক্ষিণপাশে রাজেন্দ্রপুর ও তৈলকূপী এবং পূর্ব পাশে কপোতাক্ষ নদ।পাটকেলঘাটায় প্রথম দোকানপাট তৈরী করেন রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ঘোষ বংশের লোকজন। এছাড়া তৈলকূপী গ্রামের বিখ্যাত সাধু খাঁদের কলকাতার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। বিশেষ করে তাদের কেরসিনের ব্যবসা ছিল উল্লেখযোগ্য। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চৌগাছা গ্রামের নেহাল উদ্দীন শেখ ও কামাল উদ্দীন শেখ এখানে চিটা গুড়ের কারখানা স্থাপন করেন। তাদের কারখানার গুড় বাড়ী তৈরীর কাজে, তামাক মাখানো সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্য বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরন করা হত। পাটকেলঘাটা বাজারের প্রাথমিক উন্নয়ের জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ঘোষ পরিবারের লোকজন। এছাড়া তৈলকূপীর অম্বিরকাচন ভট্টাচার্য, বজলুল করীম বিশ্বাস প্রমুখ।পাটকেলঘাটার আধুনিকায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন শহীদ সম আলাউদ্দীন, প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান এমপি, এবিএম আলতাফ হোসেন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব এমপি, চেয়ারম্যান আবু বক্কার বিশ্বাস, চেয়ারম্যান মোবারক আলী, শেখ নূরুল ইসলাম,চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
বর্তমানে পাটকেলঘাটা বাজারে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এরমধ্যে কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, পানিনিস্কাশনের নেই কোন ড্রেনের ব্যবস্থা, পালা বদলে নানা সরকার পরিবর্তন হলেও হয়নি বাজারের তেমন কোন দৃর্শমান উন্নয়ন। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে সরকারীকরন হয়নি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে পাটকেলঘাটাবাসীর প্রানের দাবী পাটকেলঘাটাকে উপজেলায় রূপান্তরীত হোক। এবং মাঠের পাশেই রয়েছে জমিদার বাড়ী পতোয়ার রহমান প্রাচীনতম বাড়ী বর্তমানে বিনিময়ে মাধ্যমে মৃত আলহাজ্ব গোলাম হোসেন বংশধররা বসবাস করছেন।
পাটকেলঘাটার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিরব স্বাক্ষী ঐতিহাসিক ফুটবল ময়দান। এখানে বাংলাদেশের প্রায় সকল রাষ্ট্রনায়ক জনসভা করেছেন। ১৯৬২ সালে তৎকালিন পাকিস্থানের ফিল্ড মার্শাল আয়ূব খান এখানে জনসভা করেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এখানে জনসভা করেছেন।সাতক্ষীরা জেলার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাটকেলঘাটার কপোতাক্ষ নদীর তীরে পহেলা নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে উদ্বোধন হয়ে কপোতাক্ষ নীলিমা ইকোপার্ক। পার্কটি উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহীউদ্দীন, সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন এবং পার্কটি বাস্তবায়ন করেন সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।
পাটকেলঘাটার উল্লেখযোগ্য অফিস আদালতের মধ্যে আছে: থানা ভবন, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক(ফাস্ট ট্রাক ও এজেন্ট ব্যাংক), সিটি ব্যাংক(এজেন্ট ব্যাংকিং), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাবপোস্ট অফিস, সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন তহসিল অফিস, খাদ্য গুদাম, সাতক্ষীরা পল¬øী বিদ্যুৎ অফিস(সদর দপ্তর) ও অসংখ্য বীমা ও এনজিও অফিস।
পাটকেলঘাটার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে: পাটকেলঘাটা হারুণ-অর-রশীদ ডিগ্রী কলেজ, কুমিরা মহিলা ডিগ্রী কলেজ, পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমিরা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমিরা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনামনি কিন্ডার গার্টেন স্কুল, আল-ফারুক একাডেমী, উটুপিয়া স্কুল(ইংরেজী ভার্সন), পাটকেলেশ্বরী শিশু বিদ্যাপীঠ।পাটকেলঘাটার উল্লেখযোগ্য ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে: ঐতিহ্যবাহী সিদ্দিক্বীয়া ক্বওমিয়া মাদ্রাসা, পাটকেলঘাটা আল-আমিন মাদ্রাসা । এছাড়াও পাটকেলঘাটার উল্লেখযোগ্য মন্দিরের মধ্যে আছে: পাটকেলেশ্বরী কালী মন্দির। পাটকেলঘাটার উল্লেখযোগ্য হাসপাতালের মধ্যে আছে: পারকুমিরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ডক্টরস ক্লিনিক, লোকনাথ নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়াগণষ্টিক সেন্টার, পাটকেলঘাটা নার্সি হোম, মৌসুমী ক্লিনিক, স্বাগতা ক্লিনিক।
১৯৬৮-৬৯ সালে কপোতাক্ষ নদের উপরে নির্মিত হয় আকর্ষনীয় এই কপোতাক্ষ সেতু। এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট আয়ূব খান। নদী পথের পাশাপাশি সড়ক পথের প্রয়োজন অপরিসীম। এলাকার উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অতি প্রয়োজনীয় কথাটি ভেবে তৎকালিন এলাকার সুধী মহালের দাবীর প্রেক্ষিতে ১৯৫২ সালে এক পরিকল্পনা করা হয় এই সড়ক নির্মাণের। ১৯৬৪ সালে নির্মিত হয় এই সড়ক এবং এর উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৬৪ সালের ৫ মার্চ। এই সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার।পুরাকীর্তির কথা বলতে হলে পাটকেলঘাটার প্রথমে উল্লেখ করতে হয় কুমিরার স্বরসতী আচার্যের বাড়ী। এছাড়া সচীন মিত্রের বাসভবন, স্বরসতী ঘাটার শিব মন্দির, খলিষখালীর জমিদারবাড়ীর ধ্বংশাবাশেষ, খলিষখালীর শিব মন্দির প্রভৃতি।
২৩ এপ্রিল পারকুমিরার গনহত্যাঃ ১৯৭১ সালের ২৩ শে এপ্রিল শুক্রবার দুপুর বেলা পাটকেলঘাটা বাজারের মনু কসাই নামে এক রুটির দোকানদার ও রাজাকাররা পাকসেনাদের নিয়ে উপস্থিত হয় পারকুমিরা গ্রামে। সেখানে বিশেষ আলোচনার কথা বলে গ্রামের নিরিহ মানুষকে ডেকে আনে। গ্রামবাসীদের সাথে এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভারতগামী স্মরানার্থীদেরর এখানে আনা হয়। বর্তমানে যেখানে পারকুমিরা স্বস্থ্য কম্পলেক্স অবস্থিত সেখানে তাদেরকে সারি বদ্ধভাবে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এবং ৭৯ জনকে গন কবরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। ঐদিনে পাকসেনারা কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলীকে গায়ে পাট জড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তাঁর অপরাধ ছিল তিনি পাকসেনাদের কথা শুনে গ্রামবাসীদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়নি। এই দিনে পুটিয়াখালী গ্রামের মোহর আলী নামে এক ব্যক্তি অলৌকিক ভাবে বেঁচে যান। তাকেও লাইনে দাড়িয়ে গুলি করা হয়েছিল কিন্তু তার গায়ে গুলি লাগেনি। তিনি মৃতের ভান করে মৃতব্যক্তিদের মধ্যে শুয়ে পড়েছিলেন।
কপোতাক্ষ নদের দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত মাগুরা গ্রামে ২৫ নভেম্বর ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয়েছিল একমাত্র পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ। মাগুরা গ্রামের ঝুনু বাবুর বাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থায়ী ক্যাম্প ছিল। ঐদিনে রাজাকাররা হানাদার বাহিনির সদস্য নিয়ে ঝুনু বাবুর বাড়ী থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎখাত করার জন্য আক্রমন করে। মুক্তিযোদ্ধারা পূর্বেই সংবাদ পেয়েছিল। তাই তারাও প্রস্তুত হয়ে ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে ওৎ পেতে বসে ছিলেন। হানাদার বাহিনী রেঞ্জের মধ্যে আসা মাত্রই মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন চালায়। মুক্তিবাহিনি ও পাক বাহিনির মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে আব্দুল আজিজ, আবু বক্কর ও সুশীল সরকার শহীদ হয়েছিলেন। এছাড়া আবতাফউদ্দীন, ফজর আলী, রহমত আলী ওহাসান আলী সরদার নামে স্থানীয় কৃষক শহীদ হয়েছিলেন।
১৪ নভেম্বর বালিয়াদাহর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ঘাঁটি ছিল। এই ঘাঁটি উৎখাতের জন্য রাজাকার ও পাকবাহিনির একটি যৌথ দল বাগমারা গ্রামে উপস্থিত হয়। বাতুয়াডাঙ্গা মুক্তিযুদ্দ ক্যাম্পে এ সংবাদ পৌছালে মুক্তি যোদ্ধারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। শত্রুরা রেঞ্জের মধ্যে আসলেই তারা আক্রমন করে। এই যুদ্ধে কমান্ডার ছিলেন, ইউনুচ। পাক বাহিনির ভারী অস্ত্রের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটে। এই যুদ্ধে কোন হতাহত হয়নি।
৩ অক্টোবর বারাত গ্রামের সন্তোষ বাবুর বাড়ী ১২/১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা থাকতেন। এটি তাদের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল। এই দিনে একদল রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের উৎখাত করার উদ্দেশ্যে অভিযান চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পূর্বেই সংবাদ পেয়েছিল। তারা প্রস্তুত হয়েছিল। তারা রাজাকাররে উপর উল্টো আক্রমন চালায়। এই যুদ্ধে কোন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়নি। তবে ৩ জন রাজাকার মারা যায়। পরের দিন ৪ অক্টোবর পাকসেনারা বারাত গ্রামে অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে অনেকের বাড়ী ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।পাটকেলঘাটা অঞ্চলের উলে¬খযোগ্য পাটকেলঘাটা অঞ্চলের তালুকদার, জোতদার ও জমিদাররা ছিলেন, নেপাল কৃষ্ণ ঘোষ (মাগুরা), নগেন্দ্রনাথ সেন, পরেশনাথ সেন (বালিয়াদহ), রাজা রুক্ষীনীকান্ত মিত্র, জনার্ধন ভট্টাচার্য (কুমিরা), পঞ্চানন দত্ত্ব (খেশরা)।শক্ষাবিদদের মধ্য রয়েছে ড. বিমল কৃষ্ণ বসুঃ ড. বিমল কৃষ্ণ বসু ১৯৬৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি আমেরিকার টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যপনা করেন।প্রকৌশলী ক্ষিতিনাথ ঘোষ ১৮৮০ সালে কুমিরার বিখ্যাত ঘোষ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন লেখও ছিলেন। তাঁর লেখা গণিত বই কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণীতে পাঠ্য পুস্তক হিসাবে ব্যবহৃত হত। ১৯১৪ সালে তিনি কুমিরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি যশোরের এমএম কলেজ, যশোর সম্মেলনী স্কুল প্রতিষ্টায় যতেষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
ড. মতিউর রহমান ১৯৩২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী যুগীপুকুরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন ১৯৫৬ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেন। এই সুপন্ডিতের কর্মজীবন শুরু হয় কুমিরা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে। এছাড়া তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি আণবিক শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। এছাড়া তিনি ইরান, পাকিস্থান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
তালা উপজেলার সরুলিয়া,ধানদিয়া,নগরঘাটা,কুমিরা ও খলিশখালি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাটকেলঘাটা থানা।
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.