Loading AI tools
অনন্য মামুন পরিচালিত ২০২০-এ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নবাব এলএলবি ২০২০ সালের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। সেলিব্রিটি প্রডাকশনের ব্যানারে আজমত হোসেনের প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি পরিচালনা করছেন অনন্য মামুন।[৩][৪] এটি ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা কেন্দ্রিক আদালত নাট্য নির্ভর চলচ্চিত্র।[৫][৬] ছায়াছবিতে একজন ধর্ষিতা নারীর সামাজিক প্রতিবাদ ও বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অধিকার আদায়ের গল্প চিত্রায়িত হয়েছে। চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রসমূহে অভিনয় করছেন আনোয়ারা, অর্চিতা স্পর্শিয়া, মাহিয়া মাহী, শাকিব খান ও শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। ছায়াচিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করছেনে দোলন মৌনাক ভৌমিক।
নবাব এলএলবি | |
---|---|
পরিচালক | অনন্য মামুন |
প্রযোজক | আজমত রহমান[১] |
চিত্রনাট্যকার |
|
কাহিনিকার | পাপ্পু রাজ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | দোলন মৈনাক ভৌমিক |
চিত্রগ্রাহক | মেহেদি রনি |
সম্পাদক | একরামুল হক |
প্রযোজনা কোম্পানি | সেলিব্রেটি প্রোডাকশন |
পরিবেশক | আই থিয়েটার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ২১০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ৳১.৫ কোটি[২] |
২০২০ সালের ২৮ মার্চ হতে চিত্রগ্রহণ শুরু হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে চিত্রগ্রহণ পিছিয়ে যায়। ৩০ আগস্ট হতে ১০ ডিসম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্রটির মুখ্য চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়। চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি অর্ধাংশ আকারে আই থিয়েটারে মুক্তি পায়।
একটি রেডিও স্টেশনে আর.জে হিসেবে কাজ করে শুভ্রা (অর্চিতা স্পর্শিয়া), যার আয়ের উপর নির্ভরশীল তার পরিবার। একদিন রাতে অফিস থেকে ফেরার সময় নিজের অফিসের বস নেওয়াজ বাশার (রাশেদ মামুন অপু) এবং তার বন্ধুরা জোর পূর্বক ধর্ষন করে শুভ্রাকে। নেওয়াজ বাশার স্থানীয় সংসদ সদস্য আজিমুল বাশার (সুমন আনোয়ার) এর ছোট ভাই। সমাজ ও সামাজিকতার কথা চিন্তা করে তার পরিবার এবং প্রেমিক তাকে থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করে। এই ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে শুভ্রা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ধর্ষকদের সামাজিক অবস্থান এবং ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে সময়ের সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ শুভ্রা শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করার স্বিদ্ধান্ত নেয়। শুভ্রার জেদের কাছে হার মেনে তার পরিবার ও প্রেমিক, শুভ্রার এই লড়াইয়ে তাকে সমর্থনের স্বীদ্ধান্ত নেয়। এদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের ক্ষমতার ভয়ে এই মামলা না নিতে বিভিন্ন টাল-বাহানা করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মামলাটি থানায় লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। থানায় মামলা দায়েরের পর তার মামলাটি লড়ার জন্য শুভ্রা মামলার ফাইল নিয়ে পৌঁছে শহরের সবচেয়ে বড় উকিল আজহার চৌধুরীর (শহীদুজ্জামান সেলিম) চেম্বারে। সেখানে শুভ্রার সঙ্গে দেখা হয় আজহার চৌধুরীর সহকারী আইনজীবী অবন্তী চৌধুরীর (মাহিয়া মাহি), যিনি আজহার চৌধুরীর মেয়েও। তার সাহায্যে শুভ্রা আজহার চৌধুরীর সাথে দেখা করে এবং আদালতে তার মামলাটি লড়ার জন্য অনুরোধ করে। এদিকে আজহার চৌধুরী টাকার লোভে শুভ্রার হয়ে মামলা না লড়ে ধর্ষকদের পক্ষে মামলা লড়ার স্বীদ্ধান্ত নেয়। আজহার চৌধুরীর এই স্বীদ্ধান্তে হতাশ শুভ্রাকে নামকরা একজন উকিলের কথা বলেন একজন উকিলের সহকারী। এই সহকারী আসলে আইনজীবী নবাব চৌধুরীর (শাকিব খান) হয়ে কাজ করে। নবাব চৌধুরী, যিনি একজন ছন্নছাড়া এবং খাম-খেয়ালি আইনজীবী। যিনি আদালতে মামলা লড়াই না করে, মানুষকে জিম্মি করে এবং মিথ্যা বলে টাকা আয় করে। শুভ্রার দুর্বলতার সুযোগে সে নিজের ব্যাপারে মিথ্যাচার করে শুভ্রার মামলা লড়ার এবং জেতার প্রতিশ্রুতি দেয়। তার কথার উপর বিশ্বাস করে শুভ্রা তাকে মামলার ফি'র অগ্রিম পাঁচ লক্ষ টাকার চেক দেয়। এদিকে মামলার এজহারের আগের দিন রাতে সহকারীদের নিয়ে মদ্যপান করে নবাব চৌধুরী আদালতে উপস্থিত হয়নি। নবাবের অনুপস্থিতিতে শুরু হওয়া এই মামলা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন আইনজীবী আজহার চৌধুরী। নবাবের অনুপস্থিতির কারনে সবাই শুভ্রার দিকে আঙ্গুল তোলে। শুভ্রাকে চরিত্রহীন আখ্যা দেয় এবং সে টাকার জন্য এই মিথ্যা মামলা করেছেন বলে প্রচার হয়। এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের কটাক্ষ সহ্য করতে না পেরে হার্ট এটাকের শিকার হন শুভ্রার মা। হাসপাতালে নেয়ার সময়ই এম্বুলেন্সে মারা যান শুভ্রার মা। নিজের মায়ের মৃত্যুতে বিদ্ধস্থ শুভ্রা এবং তার ছোট বোন মায়ের লাশ নিয়ে সরাসরি যায় নবাবের বাড়িতে। নেশায় ডুবে থাকা নবাব চৌধুরীকে ডেকে এনে শুভ্রার ছোট বোন তাকে একটি মামলা লড়ার কথা বলে। নিজের মায়ের হত্যার জন্য নবাবকে দায়ী করে নিজের বিরুদ্ধে মামলা লড়ার কথা বলে।
এছাড়াও বিভিন্ন গৌণ চরিত্রে মোঃ ইসমাইল আহমেদ, রেশমি রাসেল, শম্পা নাজিম, শবনম পারভীন, সুমন আনোয়ার, ইমরান নাজিম, আবেদ সরকার, আশিক খান, কাজী উজ্জ্বল, তন্ময়, প্রিয়ন্তি ও মায়শা অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রটি ভালবাসা আজকালের পর শাকিব মাহীর দ্বিতীয় এবং শাকিবের বিপরীতে অর্চিতার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র।[১৭][১৮]
২০২০-এর ঈদুল ফিতরে শাকিব খানের কোন ছায়াছবি মুক্তির জন্য তালিকাভুক্ত ছিলনা।[১৭] চিত্রনাট্য রচনার পর অনন্য মামুন ২০২০ সালের ১৫ মার্চ শাকিব খানকে মূল চরিত্রে রেখে এবং ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে নবাব এলএলবি নির্মাণের ঘোষণা দেন।[১৯] চলচ্চিত্রটির আনুষ্ঠানিক চিত্রগ্রহণ শুরুর পূর্বে দীপংকর দীপন 'চিত্রনাট্য সম্পাদক' হিসেবে যুক্ত হন।[২০] চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেলিব্রিটি প্রডাকশন নির্মাণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ১.৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে।[২]
২০২০-এর ২৮ মার্চ হতে চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও,[১৭][২১] বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে চিত্রগ্রহণ স্থগিত হয়। করোনাভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে পুনরায় চিত্রগ্রহণ শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়।[২২] ৩০ আগস্ট হতে আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্রটির মুখ্য চিত্রগ্রহণ শুরু হয়।[২৩][২৪] অভ্যন্তরীণ চলচ্চিত্রায়ন বিএফডিসিতে[২৫] এবং বাহিরের দৃশ্যগুলি ঢাকা শহরের পলাশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের সম্মুখ সড়ক, উত্তরা, হাতিরঝিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,কাঁচপুর, পূর্বাচল ও রেডিসন ব্লু হোটেলে ধারণ করা হয়।[২৬][২৭][২৮][২৯] ১০ ডিসেম্বর গানের চলচ্চিত্রায়নের মাধ্যমে মুখ্য চিত্রগ্রহণ শেষ হয়।[৩০][ক]
নবাব এলএলবি | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
চলচ্চিত্র সঙ্গীত | |||||||||
মুক্তির তারিখ | ২০২০ | ||||||||
শব্দধারণের সময় | ২০২০ | ||||||||
ঘরানা | চলচ্চিত্র সংগীত | ||||||||
দৈর্ঘ্য | ১১:২৭ | ||||||||
ভাষা | বাংলা | ||||||||
সঙ্গীত প্রকাশনী | আই থিয়েটার | ||||||||
প্রযোজক | দোলন মৈনাক ভৌমিক | ||||||||
|
নবাব এলএলবি'তে ব্যবহারের জন্য চারটি গানের সঙ্গীতায়োজন করা হয়েছিল। গানগুলির মধ্যে 'ড্যান্স নম্বর' শিরোনামের গানটি বাদে[৩৪] তিনটি গান রাখা হয়েছে।[৩৫] সকল গানের সুর ও সঙ্গীতায়জন করেছেন দোলন মৈনাক ভৌমিক। তাবিব মাহমুদের গীতিতে[৩৬] ধর্ষণবিরোধী শিরোনাম সঙ্গীতটি প্রথমে পান্থ কানাইয়ের কন্ঠে ধারণ করা হয়,[৩৭][৩৮][৩৯] তবে চলচ্চিত্রে সম্প্রীত দত্তের গাওয়া সংস্করণ রাখা হয়।[৪০] 'চিল করবো' শিরোনামের আইটেম গানটি অন্তরা মিত্র ও সুপ্রতীপ ভট্টাচার্যের কন্ঠে ধারণকৃত।[১৬] ‘বিলিভ মি আমি তোর হতে চাই’ শিরোনামের তৃতীয় গানটি অনন্য মামুনের গীতিতে ইমরান মাহমুদুল এবং কোনালের কন্ঠে ধারণকৃত।[২৯][৩১] মুক্তির প্রাককালে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর হতে ১৩ ডিসেম্বর নবাব এলএলবি'র গানগুলো একযোগে আইথিয়েটার ও ইউটিউবে অবমুক্ত করা হয়।[৪১][৪২][৪৩]
গানের তালিকা | |||||
---|---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | সুরকার | শিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "আমি নবাব" | তাবিব মাহমুদ দোলন মৈনাক ভৌমিক | দোলন মৈনাক ভৌমিক | সম্প্রীত দত্ত | ০৩:১৭ |
২. | "জাস্ট চিল" | দোলন মৈনাক ভৌমিক | দোলন মৈনাক ভৌমিক | অন্তরা মিত্র সুপ্রতীপ ভট্টাচার্য | ০৩:৪০ |
৩. | "বিলিভ মি" | অনন্য মামুন রমেশ দাস | দোলন মৈনাক ভৌমিক | কোনাল ইমরান মাহমুদুল | ০৪:৩০ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ১১:২৭ |
নবাব এলএলবি'র শিরোনাম সঙ্গীতে পান্থ কানাইয়ের সংস্করণ না রাখায় চলচ্চিত্রটির কুশীলব এবং দর্শক কর্তৃক অনন্য মামুন সমালোচিত হয়েছিলেন।[৩৯][৪৪]
নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ ও দর্শকদের সাথে সরাসরি প্রশ্নোত্তর আয়োজন এবং নিজেদের ব্যক্তিগত ভিডিও চ্যানেলের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির প্রচারণা চালান।[৪৫] প্রচার চালানোর জন্য প্রথম বর্ণন, পোস্টার ও ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়। অনন্য মামুন নবাব এলএলবি নির্মাণ ঘোষণার পর ১৭ মার্চ, ২০২০-এ ছায়াছবিটির প্রথম বর্ণন প্রকাশ করেন। ২ অক্টোবর, পুরোদমে চিত্রগ্রহণ চলাকালে সেলেব্রিটি প্রডাকশন চলচ্চিত্রটির প্রথম পোস্টার প্রকাশ করে।[৪৬] চলচ্চিত্রটির প্রচারণায় তিনটি পৃথক পোস্টার ব্যবহার করা হয়।[৪৭] ৭ ডিসেম্বর পূর্ণ ট্রেইলার প্রকাশিত হয়।[৪৮][৪৯] ট্রেইলারটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক অভ্যর্থ্যনা পায়।[৬][৫০]
নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটি মুক্তির তারিখ পরিবর্তন এবং কোনপ্রকার ঘোষণা ছাড়া অর্ধাংশ আকারে মুক্তির জন্য আলোচিত। এটির মুক্তির তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। ছায়াছবির মুক্তির প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের ঈদুল ফিতরের সপ্তাহ। দ্বিতীয়বার ২৩ অক্টোবর শারদীয় উৎসবের সপ্তাহে মুক্তির জন্য পরিকল্পিত ছিল।[২৪][৪৬][৫১][৫২] আই থিয়েটার নামক অনলাইন 'পরিশোধ-বাবদ-প্রদর্শনীর' মঞ্চে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে কোনরূপ পূর্ব ঘোষণা ছাড়া চলচ্চিত্রটির অর্ধাংশ মুক্তি পায়।[৫৩][৫৪][৫৫] প্রথমাংশ মুক্তির পর ছবির পরিচালক ও আই থিয়েটারের 'প্রতারণামূলক' কাজের জন্য দর্শকদের কাছে সমালোচিত হন।[৫৬] মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যে এটি 'অনলাইন পাইরেসি' শিকার হয়।[৫৭][৫৮] ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় অংশ মুক্তি পায়।[৫৯]
চলচ্চিত্রটি ২০২১ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া হয়। সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ চলচ্চিত্রের ১১টি দৃশ্যে আপত্তি জানায়। এরপর সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ আপত্তিকর দৃশ্যগুলো বাদ দিয়ে নতুনভাবে সংযোজন করে সেন্সরে জমা দেয়ার জন্য পরিচালক ও প্রযোজক বরাবর চিঠি দেয়।[৬০][৬১] তবে পরিচালক অনন্য মামুন চলচ্চিত্রের "নারী ধর্ষণ মানে স্বাধীনতা হত্যা" সংলাপটি কর্তনের বিরোধিতা করেন।[৬২] এরপর সেই ১১টি দৃশ্য (৯.৪৩ মিনিট) বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রটি পুনরায় সেন্সরে জমা দেওয়া হলে ২০২১ সালের ১৫ জুন চলচ্চিত্রটি ছাড়পত্র পায়।[৬৩][৬৪][৬৫]
চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে ও সংলাপে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে থানায় মামলা করার জন্য যেতে দেখা যায়। ওই দৃশ্যে ও সংলাপে পুলিশের একজন এসআই (অভিনয় করেছেন শাহীন মৃধা) ওই নারীকে ধর্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এ নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ। ঐ দৃশ্যে ও সংলাপে পুলিশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক নাসিরুল আমিন বাদী হয়ে রমনা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা (নম্বর ২১)[খ] দায়ের করেন। ওই মামলায় চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনন্য মামুন, অভিনেতা শাহীন মৃধা ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়াসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়। এদিন রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মিরপুর এলাকা থেকে পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেফতার করে। পরে ২৫ ডিসেম্বর, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।[৬৮][৬৯][৭০][৭১]
গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, "নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটি আংশিকভাবে অনলাইনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়া একজন নারীকে পুলিশ চরিত্রে অভিনয়কারী ব্যক্তি অশালীন ও আপত্তিকর ভাষায় প্রশ্ন করতে দেখা গেছে। এতে একদিকে যেমন পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, তেমনি নারীর প্রতিও অবমাননা করা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের পরিচালক ও একজন অভিনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"[৬৬]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.