Remove ads
ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দিলীপ রশিকলাল দোশী (ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এ সময়ে ৩৩ টেস্ট ও ১৫ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন দিলীপ দোশী।
; জন্ম: ২২ ডিসেম্বর, ১৯৪৭) গুজরাতের রাজকোট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সময়কালেব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দিলীপ রশিকলাল দোশী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | রাজকোট, গুজরাত | ২২ ডিসেম্বর ১৯৪৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | নয়ন দোশী (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪৬) | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩১) | ৬ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৮/৬৯ - ১৯৮৪/৮৫ | বাংলা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৩ - ১৯৭৮ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮০ - ১৯৮১ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৮/৬৯ - ১৯৮৪/৮৫ | পূর্ব অঞ্চল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৬ নভেম্বর ২০১৬ |
দলে তিনি মূলতঃ বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯ তারিখে চেন্নাইয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয় তার ও এ সুযোগ কাজে লাগাতে কার্পণ্য করেননি তিনি। খেলায় তিনি ৬/১০৩ ও ২/৬৪ পেয়ে ভারতের সেরা সাফল্য দেখান।[১] এ ক্রীড়ানৈপুণ্য সিরিজে অব্যাহত রাখেন।
বোম্বেতে চূড়ান্ত টেস্টে ৫/৪৩ ও ৩/৬০ নিয়ে ভারতের জয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। তবে গৃহীত নিজ শহর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ৭০,০০০ দর্শকের সামনে ৪/৯২ বোলিং করে তার স্বর্ণালী মুহুর্ত উপভোগ করেন।
ঐ সিরিজের পর দোশী ভারতীয় টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্যে পরিণত হন। দূর্ভাগ্যবশতঃ পরবর্তী বছরগুলোয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলায় দলের জয়ে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। নিখুঁত ও ধারাবাহিকভাবে বোলিং করলেও তেমন সফলতা পাননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে জয়ের চেষ্টা চালানোর পর ১৯৮১-৮২ মৌসুমে বোম্বেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ে ভূমিকা রাখেন। নিম্নমূখী দলীয় সংগ্রহে তিনি ৫/৩৯ পান ও প্রথম ইনিংসে দলকে এগিয়ে রাখতে সহায়তা করেন।[২] কিন্তু, ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে মনিন্দর সিংয়ের আবির্ভাবের প্রেক্ষিতে দোশী’র টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ২০০৬ সালে এনট্র্যাক ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোনীত হন। নয়ন দোশী’র জনক তিনি।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে তার ওডিআই অভিষেক হয়। গাব্বায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৪/৩০। ওভারপ্রতি ৩.৯৬ গড়ে ও ২৩.৮১ গড়ে উইকেট পেয়েছেন। তিনি মাত্র ১৫ ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। তার ব্যাটিং দূর্বলতার কারণে অল-রাউন্ডার রবি শাস্ত্রীকে ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩]
সৌরাষ্ট্রের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। কিন্তু রঞ্জী ট্রফিতে বাংলার পক্ষেই অধিকাংশ সময় খেলেছেন। ১৯৭৪ সালে আসামের বিপক্ষে ৬ উইকেট পান ৬ রানের বিনিময়ে। এ প্রতিযোগিতায় ১৮.৩৩ গড়ে ৩১৮ উইকেট তুলেছেন।[৪]
ত্রিশ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পান ও শতাধিক উইকেট লাভের অধিকারী হন। এরফলে চারজন টেস্ট বোলারের একজনরূপে ত্রিশ বছর বয়সে টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। ক্ল্যারি গ্রিমেট, সাঈদ আজমল ও রায়ান হ্যারিসের সমকক্ষ হন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম দূর্বলমানের ব্যাটসম্যান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন দোশী। তিনি মাত্র ৪.৬০ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন। অধিকাংশ সময়ই তাকে টেস্ট ইনিংসে ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি। ৩৮ ইনিংসে এগারোবার ১১নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন।[৫]
ইংল্যান্ডে নটিংহ্যামশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষেও খেলেছেন তিনি। সামগ্রীকভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৬.৫৮ গড়ে ৮৯৮ উইকেট লাভ করেন।[৬]
মার্চ, ১৯৮৩ সালে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে পশ্চিম বাংলার নেতৃত্ব দেন। তিনদিনের খেলায় তিনি ৭/৩৯ ও ৫/৭৪ পেয়েছিলেন। তার স্পিনে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানগণ কাবু হয়ে যায়। ৪৫ ওভারের খেলায় নির্ধারিত ৯ ওভারে ৩/২৭ পান।[৭]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। নয়ন দোশী নামীয় তার এক সন্তান রয়েছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.