তাসমানিয়ান ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Tasmania cricket team; Tasmanian Tigers) অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। টাইগার্স ডাকনামে পরিচিত দলটি সাংবার্ষিকভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া মৌসুমে বড়দের ক্রিকেটে প্রথম-শ্রেণীর শেফিল্ড শিল্ড ও সীমিত ওভারের ম্যাটাডোর বিবিকিউজ ওয়ান-ডে কাপে অংশ নিয়ে থাকে।

দ্রুত তথ্য কর্মীবৃন্দ, অধিনায়ক ...
 তাসমানিয়ান টাইগার্স
Thumb
কর্মীবৃন্দ
অধিনায়কঅস্ট্রেলিয়া ম্যাথু ওয়েড[1]
কোচঅস্ট্রেলিয়া অ্যাডাম গ্রিফিথ[2]
দলের তথ্য
রং  সবুজ   স্বর্ণালী   লাল
প্রতিষ্ঠা১৮৫১
স্বাগতিক মাঠব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা
ধারণক্ষমতা১৯,৫০০
ইতিহাস
প্রথম শ্রেণী অভিষেকভিক্টোরিয়া বুশর‍্যাঞ্জার্স
১৮৫১; ১৭৩ বছর আগে (1851) সালে
লঞ্চেস্টন
শেফিল্ড শিল্ড জয় (২০০৭, ২০১১, ২০১৩)
ম্যাটাডোর বিবিকিউজ ওয়ান-ডে কাপ জয় (১৯৭৯, ২০০৫, ২০০৮, ২০১০)
কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ জয়
দাপ্তরিক ওয়েবসাইটতাসমানিয়ান টাইগার্স
Thumb

First-class

Thumb

ওডিআই কিট

বন্ধ

অস্ট্রেলিয়ায় শুরুরদিকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় তাসমানিয়া দল অংশ নিয়ে আসছে। ১৮৫১ সালে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে দলটি তাদের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের প্রথম খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় দলটি তিন উইকেটে জয়লাভ করেছিল। প্রথম খেলায় জয়লাভ করাসহ ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে অনেক সেরা ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও ১৮৯২ সালে শেফিল্ড শিল্ডের ন্যায় প্রথম-শ্রেণীর প্রতিযোগিতায় তাসমানিয়া দল উপেক্ষিত থাকে। প্রায় আট বছর তাসমানিয়া দল প্রতি বছরে গড়ে মাত্র দুই থেকে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে পারতো। সচরাচর, অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের একটি দল কিংবা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে আসা সফররত আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতো।

অবশেষে, ১৯৬৯ সালে ঘরোয়া একদিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা জিলেট কাপের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হবার সুবাদে তাসমানিয়া দল নিয়মিতভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভে সক্ষম হয়। এ পর্যায়ে তারা বেশ ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে আসছে। চারবার প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করাসহ দুইবার রানার্স-আপ হয়। শেফিল্ড শিল্ডে অংশগ্রহণের জন্যে দলটিকে আরও আট বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অন্তর্ভুক্তির পর থেকে খুব কমই খেলায় অংশ নিতো। তবে, ১৯৭৯-৮০ মৌসুমের পর থেকে দলটি পূর্ণাঙ্গভাবে অংশ নিতে শুরু করে। ঐ প্রতিযোগিতায় ধীরে ধীরে তাদের খেলার মানের উত্তরণ ঘটে ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রায় ৩০ বছর পর ২০০৬-০৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে। এরপূর্বে কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ লীগে টাইগার্স দল শিরোপা জয় করলেও ঐ মৌসুমে রানার্স-আপ হয়েছিল।

সবুজ পোশাক পরিহিত অবস্থায় সীমিত ওভারে ক্রিকেটে তাসমানিয়া দল খেলে থাকে। দলের পরবর্তী পছন্দের পোশাক হচ্ছে লাল ও সোনালী রঙ। পোশাকে দলের লোগো তাসমানিয়ান টাইগার রয়েছে। আয়োজক দল হিসেবে নিজেদের খেলাগুলো বেলেরিভ ওভাল, হোবার্টের পূর্বাংশের উপকূলবর্তী এলাকা ক্ল্যারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, মাঝেমধ্যে ডেভনপোর্ট ও লঞ্চেস্টনে খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

ইতিহাস

১৮০৩ সালে ইউরোপীয়দের বসতি স্থাপনকালে তাসমানিয়ায় ক্রিকেট খেলার প্রচলন প্রায় নিশ্চিতরূপেই বলা চলে। এ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নাবিকেরা তাদের অবসর সময় অতিবাহিত করতো। তারা অরক্ষিত উপনিবেশের নিরাপত্তা রক্ষার্থে নিয়োজিত ছিল। ১৮০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম খেলা আয়োজনের কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও, এ সময়ে অনেকগুলো নথিবিহীন খেলা আয়োজনও হয়েছে। উপনিবেশের যাজক ও বিখ্যাত দিনলিপিকার রবার্ট নপউডের তথ্য থেকে জানা যায় যে, ১৮১৪ সালে খেলাটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিশেষ করে, বড়দিনের উৎসব চলাকালে বেশ জমজমাট ছিল।[3]

১৮২০-এর দশকে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাব সংগঠিত হয়নি। তাসত্ত্বেও, নিয়মিতভাবে খেলার আয়োজন করা হতো। রিচমন্ড, ক্ল্যারেন্স প্লেইন্স, কেম্পটন, সোরেল, ক্যাম্পবেল টাউনের পশ্চিমে ম্যাকুয়ারি ভ্যালি, ওয়েস্টবারি, ইভানডেল, লংফোর্ড ও হ্যাডস্পেনের বসতিগুলো ক্রিকেট খেলা আয়োজনের কথা উল্লেখ রয়েছে।[4] এ খেলাগুলোর অনেকগুলো নিবন্ধিত হোটেলের মাধ্যমে আয়োজন করা হতো। খাদ্য ও পানীয় বিক্রয়সহ জুয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনই এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। এ ধরনের একটি খেলায় মার্চ, ১৮২৬ সালে ব্রিসবেন স্ট্রিটের ল্যাম্ব ইন হোটেলের যোসেফ বাউডেন আয়োজন করেছিলেন। সাসেক্স ও কেন্ট কাউন্টির এগারোজন ভদ্রলোক বনাম ভ্যান ডাইমেনস ল্যান্ড হোল আইল্যান্ডের বাছাই করা দলের মধ্যকার বিজয়ীকে ৫০ গিনি প্রদান করা হয়েছিল।[5]

উপনিবেশটির প্রথম দুই দশকে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ক্রিকেট মৌসুম প্রচলনের কথা উল্লেখ নেই। তাসমানীয় গ্রীষ্মকালকে প্রাধান্য না দিয়ে প্রচলিত ইংরেজ ক্রিকেট মৌসুমের ন্যায় জুন ও জুলাই মাসে অনেকগুলো খেলা আয়োজন করা হতো। খেলাগুলো প্রায়ই শীতকালীন বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা পরিবেশের কারণে ভয়াবহ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতো। তবে, ১৮৩০-এর দশকে যুক্তিসঙ্গত কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রীষ্মের মাসগুলোয় আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। এ দশকেই ক্লাব ক্রিকেট বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। উপনিবেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে সংগঠিত করার পিছনে জন মার্শাল অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ইংল্যান্ড থেকে এখানে আসার পরপরই হোবার্ট টাউন ক্লাব গঠন করেন। এরপর, ১৮৩৫ সালে ডারওয়েন্ট ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লাবটি প্রাচীনতম ক্লাব হিসেবে তাসমানিয়ায় টিকে আছে। ১৮৪১ সালে লঞ্চেস্টন ক্রিকেট ক্লাব গঠন করা হয়। এ ক্লাবটি তাসমানিয়ায় দ্বিতীয় ও অস্ট্রেলিয়ায় তৃতীয় প্রাচীনতম ক্লাবের মর্যাদা লাভ করছে। তাসমানিয়া উপনিবেশ থেকে অন্যান্য আঞ্চলিক বসতিগুলোয় ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে অন্যতম জনপ্রিয় অবসর সময় অতিবাহনের মাধ্যম হয়ে উঠে।[5]

ভৌগোলিক ও সামাজিক স্থবিরতা

১৮৪০-এর দশকের শেষদিক থেকে হোবার্ট ও লঞ্চেস্টনে সাংগঠনিক পর্যায়ে ক্রিকেটে পরিচিতি লাভ করে ও উপনিবেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৫০ সালে প্রথমবারের মতো নর্থ বনাম সাউথের খেলা ওটল্যান্ডসে আয়োজন করা হয়েছিল। খেলায় সাউথ দল জয় পায়। খেলা আয়োজনের সফলতায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আয়োজকেরা আন্তঃঔপনিবেশিক খেলা আয়োজনের দিকে সচেষ্ট হয়। তাসমানিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৫১ সালে লঞ্চেস্টনের লঞ্চেস্টন রেসকোর্সে ভিক্টোরিয়া বনাম তাসমানিয়ার মধ্যকার খেলাটি অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের প্রথম খেলায় পরিণত হয়। বিজ্ঞাপন হিসেবে পোর্ট ফিলিপ জেন্টলম্যান বনাম ভ্যান ডাইমেনস ল্যান্ড জেন্টলম্যানের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। খেলায় প্রতি ওভারে চার বল রাখা হয়। কোন বাউন্ডারি রাখা হয়নি। প্রায় ২৫০০ দর্শক সমবেত হয়েছিলেন। অসীম সময়ের ঐ খেলাটি দুই দিনেই শেষ হয় যায়। তাসমানিয়া দল তিন উইকেটে জয়লাভ করে।[4][6]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম জয়ের স্বাদ আস্বাদন করলেও অস্ট্রেলীয় উপনিবেশগুলোয় তাসমানিয়া ভৌগোলিক কারণে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভাববোধ করতে থাকে। ১৯শ শতাব্দীর শেষদিকে খুব কম দলই দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে এ দ্বীপে আসার আগ্রহ দেখায়। এরপর থেকে খুব ধীরে ধীরে এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। প্রধান ক্লাবগুলোয় পেশাদারী পর্যায়ের দিকে ধাবিতকালীন তাসমানিয়ার ক্লাবগুলো শৌখিনতত্ত্বের দিকেই ধরে রাখে। এছাড়াও, খেলার উত্তরণের সাথে দলটি তাল মিলাতে পারেনি। ১৮৫৮ সালে ভিক্টোরিয়া দল নতুন ধরনের রাউন্ড আর্ম ভঙ্গীমা নিয়ে অগ্রসর হয়। অব্যাহত কৌশলের ফলে তাসমানীয় ব্যাটিং মেরুদণ্ড থুবড়ে পড়ে। ১৮৫০-এর দশকে ভিক্টোরিয়ায় স্বর্ণখনির দিকে তাসমানীয়রা সাড়া দিলে তাসমানিয়ায় গুণমানসমৃদ্ধ খেলোয়াড়ের নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।[4]

এ ধরনের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাসমানীয় ক্রিকেটে স্থানীয় দলগুলো মাঝে-মধ্যেই প্রতিযোগিতাধর্মী দলের বিপক্ষে খেলতে থাকে। ১৮৬১-৬২ মৌসুমে সফররত ইংরেজ দল তাসমানিয়ার বিপক্ষে খেলে চার উইকেটে জয় তুলে নেয়। ১৮৭০-এর দশকের শুরুতে তাসমানিয়া দল ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে তিনবার খেলে। তবে, সবগুলো খেলাতেই তারা পরাজিত হয়েছিল। দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে উঠে যে, তাসমানিয়া দল প্রতিযোগিতাধর্মী খেলার উপযোগী নয়। ১৮৭৭ সালের পূর্ব-পর্যন্ত আর কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়নি দলটি। এ বছরে দলটি অ্যাডিলেডে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে গমন করে।

১৮৮০-এর দশকে উপনিবেশে খেলার মানের উত্তরণ ঘটে। ১৮৮০ সালে টিসিএ গ্রাউন্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এরফলে, উপনিবেশের রাজধানী হোবার্টে স্থায়ী মাঠে খেলার ব্যবস্থা হয়। নিয়মিতভাবে স্থানীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের খেলার মানের উত্তরণের দিকে নজর দেয়া হয়। স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য মার্সি’র স্বত্ত্বাধিকারী জন ডেভিস ক্রিকেটের বেশ ভক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সফররত ইংরেজ দলকে এ উপনিবেশে নিয়ে আসেন। ১৮৮৭-৮৮ সালে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে তাসমানিয়ার বিজয়ের ফলে ভিক্টোরিয়া দল প্রতিযোগিতায় পুনরায় অংশ নিতে থাকে।[4]

১৮৯০-এর দশকে এ উপনিবেশে প্রায় প্রত্যেক বছর প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেট খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে। পাশাপাশি, মাঝে-মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষেও মুখোমুখি হয়। কেনেথ বার্ন,[7] চার্লস ইডি[8] ও এডওয়ার্ড উইন্ডসরের ন্যায় প্রকৃতমানসম্পন্ন প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ের সন্ধান পায়।[9] তন্মধ্যে, প্রথম দুইজন খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।[4] ১৯১০ সালের মধ্যে ইডি ও বার্নের অবসর গ্রহণ এবং হোবার্ট ও লঞ্চেস্টনের মধ্যে যুদ্ধের ফলে তাসমানিয়ায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট হুমকির মুখোমুখি হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে অনেক প্রতিভাধর খেলোয়াড় যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়। যুদ্ধের কারণে ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯২৩ সালের পূর্ব-পর্যন্ত খেলা হয়নি। পাশাপাশি, আর্থিক সমস্যাও এতে নিহিত ছিল।[4]

শেফিল্ড শিল্ডে প্রতিকূলতা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সফররত আন্তর্জাতিক দলগুলো সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতিতে আসলে তাসমানিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী দল তাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতো। এছাড়াও, রাজধানীসহ আশেপাশের অঞ্চলগুলোয় জাহাজে চড়ে খেলতে যেতো। মাঝে-মধ্যে মূল রাজ্যদলগুলোর বিপক্ষে ভারসাম্যহীন খেলায় অংশ নিতো। সচরাচর, প্রতি মৌসুমে একবারমাত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতো।

যুদ্ধের মাঝখানের বছরগুলোয় তাসমানিয়ায় স্থবিরভাব বিরাজ করে। রাজ্য দলটি যুদ্ধের ক্ষতিপূরণে চেষ্টা চালায়। ক্লাব ক্রিকেটেও দক্ষিণ, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিপক্ষ গড়ে উঠায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময়ে লরি ন্যাশ, জ্যাক ব্যাডককের ন্যায় বেশ কয়েকজন অসাধারণ ক্রিকেটারের আবির্ভাব ঘটে। তবে, উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে অনেকেই শহরমূখী হন। তাসমানিয়ায় সময়ে সময়ে ক্রিকেটের গুণগতমানে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এর মান বেশ উঁচুতে পৌঁছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তুলনায় এবার বেশ দ্রুত চালু হয়। রোনাল্ড মরিসবি, এমারসন রডওয়েল, বার্নার্ড কনসিডিনের ন্যায় বেশ ভালোমানের খেলোয়াড়ের আবির্ভাব হয়। ফলশ্রুতিতে, তাসমানিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। আরও খেলার আয়োজন করা হয় ও স্বীকৃতি লাভ করে।

রডওয়েল ও টেরেন্স কাউলি’র দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন স্বত্ত্বেও ১৯৫০-এর দশকে তাসমানিয়াকে ভিক্টোরিয়া দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে, ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নিয়মিতভাবে তাসমানিয়ার বিপক্ষে খেলায় অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সফররত ইংরেজ দলগুলো রাজ্য দলটির বিপক্ষে অংশগ্রহণকৃত খেলাগুলোকে দ্বিতীয়-শ্রেণীর মর্যাদা দেয়। এরফলে, ১৯৬৪ সালে তাসমানিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন প্রথমবারের মতো শেফিল্ড শিল্ডে অংশগ্রহণের চেষ্টা চালায়। তবে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড শিল্ডে তাসমানিয়ার অংশগ্রহণের পূর্বে রাজ্যের প্রশাসন ব্যবস্থাকে উন্নয়নের নির্দেশনা দেয়। তাসত্ত্বেও, কুইন্সল্যান্ড বুলস, সাউদার্ন রেডব্যাকসওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স থেকে তাসমানিয়াকে সহায়তাকল্পে পূর্ণাঙ্গ শক্তিধর দল প্রেরণ করে ও পরবর্তী কয়েক বছর শিল্ডে অংশগ্রহণের পূর্বে প্রস্তুতিমূলক খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে। ১৯৬৯ সালে ঘরোয়া একদিনের প্রতিযোগিতা ফোর্ড র‍্যাঞ্জার কাপের প্রচলন ঘটলে তাসমানিয়া পূর্ণাঙ্গ দলের মর্যাদা পায়।

১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের অল-রাউন্ডার জ্যাক সিমন্স দলে যুক্ত হলে ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। তার উজ্জ্বীবিত অধিনায়কত্বে তাসমানিয়া প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমের জিলেট কাপের সেমি-ফাইনালে দলটি পরাজিত হয়। অবশেষে, ১৯৭৭ সালে দুই বছরের জন্যে পরীক্ষামূলকভাবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ শেফিল্ড শিল্ডে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করে। তবে, অন্যান্য দলের তুলনায় কম খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়। মৌসুমে দুইবারের পরিবর্তে একবার অন্যান্য রাজ্য দলের সাথে খেলার আয়োজন করা হয়। ১৯৭৭ সালে সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে টিসিএ গ্রাউন্ডে ৮৪ রানের দূর্দান্ত জয় পায় তাসমানিয়া দল।[10] এ জয়ের ফলে টিসিএ কর্তৃপক্ষ প্রধান ক্রিকেট কর্তৃপক্ষদেরকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তাসমানিয়ার শক্তিমত্তার কথা তুলে ধরে।

জাতীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

তাসমানিয়ার ক্রিকেটে সিমন্স উজ্জ্বীবনী শক্তি আনয়ণ করলেও তার নেতৃত্বে দলটি বারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলার মধ্যে মাত্র একটিতে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে, ঐ সময়ে নিজ রাজ্যের খেলোয়াড়দের মান ভালো থাকলে দলটি হয়তোবা আরও সফলতা পেতে পারতো। তবে, লিস্ট এ ক্রিকেটে দলের সাফল্য অধিক ছিল। এগারো খেলার মধ্যে ছয়টিতে বিজয় এনে দেন। এছাড়াও, তিনি টিসিএকে রাজ্যের ক্রিকেট প্রশাসনে আধুনিকীকরণে সর্বাত্মক সহায়তা করেন।

১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে দুইবার জিলেট কাপের সেমি-ফাইনালে অগ্রসর হবার পর অবশেষে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়। তবে, ওয়াকা গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাত উইকেটে পরাভূত হয়। পরের বছর ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের ঘরোয়া একদিনের প্রতিযোগিতা জিলেট কাপে বিস্ময়করভাবে বিজয়ী হয় তাসমানিয়া দল। চূড়ান্ত খেলাটি পূর্ববর্তী বছরের অনুরূপ ছিল। হোবার্টের টিসিএ গ্রাউন্ডে নিজ মাঠ ও দর্শকদের উপযোগী পরিবেশে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে তারা ৪৭ রানে পরাজিত করেছিল। এরপর পক্ষকালের মধ্যে শেফিল্ড শিল্ডে প্রথমবারের মতো জয়লাভ করে দলটি। ডেভনপোর্টে অনুষ্ঠিত খেলায় এবারও তারা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে চার উইকেটে হারায়। বিজয়ের মাধ্যমে প্রধান রাজ্যগুলির কাছে সমীহের পাত্রে পরিণত হয় তাসমানিয়া দল।[11]

সিমন্সের উপস্থিতিতে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে জিলেট কাপের শিরোপা জয় করে তাসমানিয়া ক্রিকেটে সকলের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়। খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেশাদার ক্রিকেটারদের যুক্ত হতে দেখা যায়। তারা সংক্ষিপ্তকালে রাজ্য দলটিতে যোগ দিয়ে তাসমানিয়ার অবকাঠামো শক্তিশালীকরণসহ অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশে আরও দক্ষতা বৃদ্ধিতে তৎপর হয়। মাইকেল হোল্ডিং, উইনস্টন ডেভিস, প্যাট্রিক প্যাটারসন, রিচার্ড হ্যাডলিডেনিস লিলি’র ন্যায় তারকা খেলোয়াড়েরা ১৯৭০-এর দশকের শেষদিক থেকে ১৯৮০-এর দশকে সূচনাকাল পর্যন্ত খেলেন।

অবশেষে, শেফিল্ড শিল্ডে দলটি স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। শুরুতে তাসমানিয়া দল সফলতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বেশ বেগ পায়। ১৯৮০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত ঐ প্রতিযোগিতায় সাময়িকভাবে সফলতা লাভ করতো। ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জনকারী ডেভিড বুন তাসমানীয় ক্রিকেটকে টিকে থাকতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। উইকেট-রক্ষক রজার ওলি সংক্ষিপ্ত সময় প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুই টেস্ট ও চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে খেলেছিলেন।[12] ১৯১০ সালে চার্লস ইডি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পর এ দুইজন প্রথম তাসমানীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্টে অংশ নিয়েছেন।

তাদের অপূর্ব দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও এ সময়ে দলটি জয়লাভ করতে বেশ বেগ পায়। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় খুব কম সফলতা প্রাপ্তি সত্ত্বেও বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং দলকে টেনে তুলতে এগিয়ে আসেন।[13][14]

তাসমানিয়ান টাইগার্স যুগ

১৯৯১ সালে টিসিএ’র প্রশাসন ব্যবস্থা ও সাংগঠনিকভাবে পুণর্বিন্যস্ত করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সফল না হলেও ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যায়ে আরও পেশাদারীত্বের দিকে ধাবিত হয়। এ পর্যায়ে রাজ্য দলটির নাম পরিবর্তিত হয়ে তাসমানিয়ান টাইগার্স রাখা হয় ও বেলেরিভ ওভালে নতুন সদর দফতর করা হয়। অবশেষে রাজ্য দলটি আরও সফলতার মুখ দেখে। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়। কেবলমাত্র নিউ সাউথ ওয়েলসের কাছে পরাভূত হয়। কিন্তু, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে একাধারে ছয়টি খেলায় জয় পেয়ে স্মরণীয় সফলতা পায়। তবে, এ ধরনের প্রভাববিস্তার রাখা সত্ত্বেও প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ে সক্ষম হয়নি।

১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধ্বে তাসমানিয়ায় শীর্ষসারির ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্তির ধারা চলমান রাখেন। জেমি কক্স, ডেন হিলস, শন ইয়ংমাইকেল ডি ভেনুতো রাজ্য দলের তারকা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও অস্ট্রেলিয়া দলে তাদের স্থান খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া পর্যায়ের সকল স্তরের ক্রিকেটে টাইগার্স দল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারা অব্যাহত রাখে। ২০০৬-০৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায়। পাঁচ বছর পর ২০১০-১১ মৌসুমে দ্বিতীয়বার ও ২০১২-১৩ মৌসুমে আবারও শিরোপা পায়। এছাড়াও, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৭-৯৮, ২০০১-০২ ও ২০১১-১২ মৌসুমে চারবার চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেয়। কিন্তু, তাদেরকে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।

ফোর্ড র‍্যাঞ্জার কাপে টাইগার্স দল অধিকতর সফল হয়। ১৯৭৮-৭৯, ২০০৪-০৫, ২০০৭-০৮ ও ২০০৯-১০ মৌসুমে চারবার শিরোপা জয় করে। এছাড়াও, ১৯৭৭-৭৮ ও ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে দুইবার রানার্স-আপ হয়। ২০০৬-০৭ মৌসুমে অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ লীগের দ্বিতীয় আসরে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রানার্স-আপ হয়েছিল।

ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সফলতা অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য নির্বাচনে প্রভাব ফেলে। রাজ্য দলে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিলেও স্পিনার জেসন ক্রেজা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। মাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি। ২০০৮ সালে ব্রেট গিভসকে একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেন ও পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) অংশ নেন। ফাস্ট বোলার বেন হিলফেনহসকে ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় খেলানো হয় ও ভারত গমনের জন্যে মনোনীত করা হয়। এরপর, ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজ চলাকালে উইকেট-রক্ষক টিম পেইনকে শেষদিকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি আঘাতজনিত কারণে সংরক্ষিত উইকেট-রক্ষক গ্রাহাম ম্যানু’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।[15]

কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ লীগকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপনীত করার লক্ষ্যে ২০০৯-১০ মৌসুমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ রাজ্য দলকে বিদেশী তারকা খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তিকরণে অনুমোদন দেয়। তাসমানিয়া কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পে বড় ধরনের সাড়া ফেলে। শ্রীলঙ্কান তারকা খেলোয়াড় লাসিথ মালিঙ্গাকে চুক্তিবদ্ধ করে।[16] কিন্তু, শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক খেলায় ব্যস্ত থাকায় মালিঙ্গাকে চলে আসতে হয়। ফলে, ১৬ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে ক্রিকেট তাসমানিয়া কর্তৃপক্ষ মালিঙ্গা’র পরিবর্তে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৯-১০ মৌসুমের কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ প্রতিযোগিতায় দিমিত্রি মাসকারেনহাসের স্থলাভিষিক্ত হবার কথা ঘোষণা করে।[17] তবে, রাণা নাভেদ-উল-হাসান মাসকারেনহাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরের মৌসুমেও নাভেদ-উল-হাসান খেলেছিলেন।

উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়

তাসমানীয় হল অব ফেম

কোচ

  • গ্রেগ শিপার্ড
  • বায়ান ম্যাকফ্যাডিয়েন (২০০২ - ২০০৫)
  • টিম কয়েল (২০০৫ - ২০১৩)
  • ড্যানিয়েল মার্শ (২০১৩ - ২০১৭)
  • অ্যাডাম গ্রিফিথ (২০১৭ -)[2]

সম্মাননা

২০০৬-০৭, ২০১০-১১, ২০১২-১৩
  • শেফিল্ড শিল্ড/পুরা কাপ রানার্স-আপ (১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে চূড়ান্ত খেলা প্রচলনের পর থেকে): ৪
১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৭-৯৮, ২০০১-০২, ২০১১-১২
  • ডমিস্টিক ওয়ান-ডে কাপ চ্যাম্পিয়ন: ৪
১৯৭৮-৭৯, ২০০৪-০৫, ২০০৭-০৮, ২০০৯-১০
  • ডমিস্টিক ওয়ান-ডে কাপ রানার্স-আপ: ৩
১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৬-৮৭, ২০১১-১২
২০০৬-০৭

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.