Remove ads
নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ড্যারিল রেমন্ড টাফি (ইংরেজি: Daryl Tuffey; জন্ম: ১১ জুন, ১৯৭৮) ওতাগোর মিল্টনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০১০ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ড্যারিল রেমন্ড টাফি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মিল্টন, নিউজিল্যান্ড | ১১ জুন ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হাফি-পাফি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০৯) | ৩১ মার্চ ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ মার্চ ২০১০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৬) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৮ নভেম্বর ২০১০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৪ (পূর্বে - ৩৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১০) | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ – ২০০৭ | নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ – ২০১২ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ আগস্ট ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস নাইটসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ‘হাফি-পাফি’ ডাকনামে পরিচিত ডেরিল টাফি।
টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেক পর্বটি মোটেই সুখকর ছিল না। ১৯০০-০১ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে ১২৭ রান খরচ করেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। তবে, পরের খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চূড়ান্ত ইনিংসে ৩/৩৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়লেও চূড়ান্ত দিনে ১০১ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়।
২০০০-০১ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম পূর্ণাঙ্গ টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পান তিনি।[১] সমগ্র সিরিজে ষোলো উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, চূড়ান্ত টেস্টে ৭/৭৭ লাভ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভের অধিকারী হন। ঐ টেস্টে নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ১৮৫ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়ার পাশাপাশি ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করতে সমর্থ হয়েছিল।
এছাড়াও পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি ওডিআইয়ের প্রত্যেকটিতে অংশ নেন। তেরো উইকেট নিয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন তিনি।[২] তন্মধ্যে, নেপিয়ারে নিজস্ব সেরা ৪/২৪ নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ প্রাপক হন।
২০০১ সালের পূর্বে বেশকিছুসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, ২০০১-০২ মৌসুমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুতরভাবে হাঁটুতে আঘাত পান।[৩] ফলশ্রুতিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফরের কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি হার। ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দলে ফিরে আসেন। এরপর মার্চ, ২০০২ সালে টেস্টে খেলায় তিনি ১১৬ রান দিয়ে নয় উইকেট তুলে নেন। এ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের সুবাদে আরও একবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের সম্মাননায় অভিষিক্ত হন তিনি। সিরিজের ঐ তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৮ রানে বিজয়ী হয় তার দল ও সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে পরিণত হয়।
এরপর পরবর্তী দুই বছর নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে নিয়মিতভাবে খেলেন। এ পর্যায়ে ২০০২-০৩ মৌসুমে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ৫৩ রান দিয়ে ৮ উইকেট পান। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকের লেখক লরেন্স বুথের মতে, সিরিজে ব্যবহৃত পিচগুলো ত্রুটিহীন কিন্তু অনমনীয় এবং সবুজ ঘাসে ঢাকা।[৪] কিন্তু, টাফি সম্পর্কে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি। এ সময়কালে ওডিআই দলে নিয়মিত খেললেও কেবলমাত্র ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ছয় খেলায় অংশ নিতে পারেননি তিনি।[৫] তন্মধ্যে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী খেলায় সনাথ জয়াসুরিয়ার ব্যাটের প্রান্তভাগ স্পর্শ করলেও তা আম্পায়ারের নজর এড়িয়ে যায়। দেড় বছর দলে ফিরে প্রথম টেস্টে অংশ নিলেও ২০০৩-০৪ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উরুর আঘাতের কারণে তাকে তৃতীয় টেস্টে দলের বাইরে রাখা হয়।
২০০৪ সালে ইংল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্যে দলে ফিরে আসেন। ঐ সিরিজের পূর্বে শেষ তিন টেস্টে তিনি মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন। পরবর্তী দুই টেস্টেও এর উত্তরণ ঘটেনি। ৮২ গড়ে তিন উইকেট লাভের খেসারত গুণতে হয় তাকে। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। এছাড়াও ইংল্যান্ডে ওডিআই খেলার অধিকাংশ থেকে বঞ্চিত হন। জুন থেকে সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সাল পর্যন্ত সাত খেলার মধ্যে তিনি মাত্র দুই খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন।
তবে, ডিসেম্বরে সফরকারী শ্রীলঙ্কা ও ফেব্রুয়ারিতে নিজদেশে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য ওডিআই দলে অন্তর্ভুক্ত হন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমন জয়ন্ত ও মারভান আতাপাত্তুর উইকেট নিয়ে বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৮-১-১৭-২। কিন্তু পরের চারটি ওডিআই ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত সুনামি আঘাতের কারণে স্থগিত রাখা হয়। চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফিতে প্রথম তিন খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র এক উইকেট দখলে সক্ষম হন। শেষ খেলাটিতে দুই ওভারে ২৫ রান খরচ করেছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেন।
২০০৭-০৮ মৌসুমে অকল্যান্ড এইসেসের সাথে খেলেন। এরপর ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে সিডনিতে চলে যান।[৬]
টাফিকে দলের বাইরে রাখা হয়। নিউজিল্যান্ডীয় কোচ জন ব্রেসওয়েলের অভিমত, টাফি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন।[৭] নয়দিন পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে $১০০০ নিউজিল্যান্ডীয় ডলার জরিমানা গুনেন।[৮] তাস্বত্ত্বেও তখনো তিনি দল নির্বাচকমণ্ডলীর সুনজরে ছিলেন। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর, ২০০৫সালে নিউজিল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দলীয় সিরিজে অংশ নেন।
বিস্ময়করভাবে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড দলে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হন। কিন্তু তার এ অন্তর্ভুক্তি বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করে। কেননা তার ক্রীড়াশৈলী বেশ দূর্বল ছিল ও ক্রিস মার্টিনের ন্যায় অকল্যান্ডের সিমারকে উপেক্ষিত করা হয়।
সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালে মাতাল অবস্থায় গাড়ী চালানোর দায়ে ড্যারিল টাফিকে ৪২০ ডলার জরিমানাসহ আদালতের ব্যয় ৩০৩ ডলার প্রদানের মুখোমুখি হন। এছাড়াও পরবর্তী ৬ মাস গাড়ি চালনা থেকে বিরত থাকতে হয়।[৯]
ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে জানা যায় যে, খেলায় গড়াপেটার কারণে আরও দুইজন নিউজিল্যান্ডীয় খেলোয়াড় ক্রিস কেয়ার্নস ও আরেকজনের সাথে তিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি জানান যে, এতে তিনি বেশ মর্মাঘাত পেয়েছেন ও আইনি সহযোগিতার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।[১০]
বোলিং কার্য পরিচালনাকালে বেশ দম নিতেন। ফলশ্রুতিতে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের সতীর্থ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ‘হাফি-পাফি’ ডাকনামে ভূষিত হন তিনি। ক্রিকইনফোর সাংবাদিক লিন ম্যাককনেল লক্ষ্য করেছেন যে, বোলার হিসেবে ড্যারিল টাফি প্রথম ওভারেই উইকেট লাভে বিস্ময়করভাবে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।[১১]
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন ড্যারিল টাফি।[১২]
# | বোলিং পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৬/৫৪ | ৮ | ইংল্যান্ড | ইডেন পার্ক | অকল্যান্ড | নিউজিল্যান্ড | ২০০২ |
২ | ৫/৮৭ | ১৭ | পাকিস্তান | সেডন পার্ক | হ্যামিল্টন | নিউজিল্যান্ড | ২০০৩ |
ক্রমিক | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | পাকিস্তান | ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০১ | ১০–০–২৪–৪, ১ কট; ডিএনবি | নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে বিজয়ী[১৩] |
২ | ভারত | এএমআই স্টেডিয়াম, ক্রাইস্টচার্চ | ১ জানুয়ারি, ২০০৩ | ১০–২–১১–২; ডিএনবি | নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে বিজয়ী[১৪] |
৩ | পাকিস্তান | রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ডাম্বুলা | ১১ মে, ২০০৩ | ১০–২–২৮–২; ডিএনবি | নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে বিজয়ী[১৫] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.