Loading AI tools
ভারতীয় অভিনেতা ও পরিচালক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফারহান আখতার (জন্ম: ৯ জানুয়ারি, ১৯৭৪) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা, নেপথ্য গায়ক, প্রযোজক ও টেলিভিশন সঞ্চালক। চিত্রনাট্যকার দম্পতি জাভেদ আখতার ও হানি ইরানির পুত্র ফারহানের জন্ম বোম্বাই (অধুনা মুম্বই) শহরে এবং বেড়ে ওঠা হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পজগতের প্রভাবে। লমহে (১৯৯১) ও হিমালয় পুত্র (১৯৯৭) ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে তিনি বলিউডে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
ফারহান আখতার | |
---|---|
জন্ম | [১] বোম্বাই (অধুনা মুম্বই), মহারাষ্ট্র, ভারত | ৯ জানুয়ারি ১৯৭৪
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ২০০১-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অধুনা ভবানী (বিবাহ: ২০০০, বিবাহবিচ্ছেদ: ২০১৬) |
সঙ্গী | শিবানী দণ্ডেকর |
সন্তান | ২[২] |
পিতা-মাতা | জাভেদ আখতার হানি ইরানি |
আত্মীয় | আখতার পরিবার দেখুন |
পুরস্কার | পূর্ণাঙ্গ তালিকা |
এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা স্থাপন করে ঋতেশ সিধ্বনির সঙ্গে ফারহান প্রথম পরিচালনা করেন দিল চাহতা হ্যায় (২০০১) ছবিটি। আধুনিক যুবসমাজকে চিত্রায়িত করার জন্য এই ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং একটি জাতীয় পুরস্কারও লাভ করে। এরপর তিনি নির্মাণ করেন কাল্ট যুদ্ধ চলচ্চিত্র লক্ষ্য (২০০৪) এবং ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (২০০৪) ছবির জন্য সাউন্ডট্র্যাকের জন্য গীত রচনা করে হলিউডে পদার্পণ করেন। এরপর তিনি নির্মাণ করেন বাণিজ্যিকভাবে সফল ডন (২০০৬) ছবিটি। এছাড়া এইচআইভি-এইডস সচেতনা প্রসারে পজিটিভ (২০০৭) নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিও পরিচালনা করেন ফারহান।
যদিও দ্য ফকির অফ ভেনিস ছবিতে তিনি অভিনেতা হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, কিন্তু তার অভিনীত ও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি হল রক অন!! (২০০৮)। এই ছবিটির জন্য তিনি প্রযোজক হিসাবে হিন্দিতে শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। সেটি ছিল তার প্রাপ্ত দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার। চিত্রনাট্য রচনার মাধ্যমে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করা করার আগে তিনি জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা (২০১১) ছবিটি প্রযোজনা করেন এবং সেই ছবিতে অভিনয়ও করেন। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করার পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জনেও সফল হয় এবং এই ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র অভিনেতা বিভাগ সহ চারটি বিভাগে ফারহান ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। সেই বছরই তিনি ডন ছবির সিক্যোয়েল ডন ২ (২০১১) পরিচালনা করেন। এই ছবিটি এখনও পর্যন্ত তার সর্বাধিক লাভজনক ছবি। এরপর ২০১৩ সালে ভাগ মিলখা ভাগ ছবিতে মিলখা সিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ক্রাইম থ্রিলার ওয়াজির ও কমেডি ড্রামা দিল ধড়কনে দো ছবি দু’টিতে অভিনয়ে করেও বিশেষভাবে প্রশংসিত হন।
ফারহান আখতার হলেন চিত্রনাট্যকার দম্পতি জাভেদ আখতার ও হানি ইরানির পুত্র। তার জন্ম বোম্বাই (অধুনা মুম্বই) শহরে। চিত্রনাট্যকার-পরিচালক জোয়া আখতার তার বোন। ফারহানের ছেলেবেলায় তার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে যায়। ১৯৮৪ সালে তার বাবা শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন।[৩] ফারহান জানিয়েছেন যে, কর্মজীবনে তার "কঠোরতম" সমালোচক হলেন তার বাবা-মা এবং তিনি চলচ্চিত্র শিল্পে নিজের "অনুপ্রেরণা" মনে করেন রবার্ট ডি নিরোকে।[৪][৫] মায়ের দিক থেকে ফারহান একজন জরথুস্ত্রবাদী ইরানি বংশোদ্ভূত।[৬] বাবা জাভেদ আখতারের অভিভাবকত্বে বোন জোয়ার সঙ্গে ফারহান বড়ো হয়েছিলেন এক অজ্ঞেয়বাদী পরিবেশে। উল্লেখ্য, জাভেদ আখতার কোনও ধর্মের বিশ্বাস করেন না।[৭][৮]
ফারহান আখতার হলেন উর্দু কবি জান নিসার আখতারের পৌত্র এবং কবি মুজতার খৈরাবাদির প্রপৌত্র। মুজতার খৈরাবাদি ছিলেন ইসলামি বিদ্যা ও ধর্মতত্ত্বের এক বিশেষজ্ঞ। মির্জা গালিবের অনুরোধে তিনি গালিবের প্রথম দিওয়ান সম্পাদনা করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তার বাসভূমি খৈরাবাদে ১৮৫৭ সালে ভারতীয় বিদ্রোহের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।[৯] ফারহান আখতার হলেন ফারাহ খান ও সাজিদ খানের খালাতো ভাই।[১০][১১] তিনি পড়াশোনা করেন মুম্বইয়ের মানেকজি কুপার স্কুলে এবং তারপর মুম্বইয়েরই এইচআর কলেজে আইনবিদ্যায় ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তি হন।[১২]
তিন বছরের প্রণয়ের পর ২০০০ সালে ফারহানের সঙ্গে অধুনা ভবানীর বিবাহ সম্পন্ন হয়।[১৩][১৪] ফারহান পরিচালিত প্রথম ছবি দিল চাহতা হ্যায়-এর চলচ্চিত্রায়ন চলাকালীন তাঁদের প্রথম আলাপ হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই ছবিতে কেশবিন্যাসকারী হিসাবে কাজ করে অধুনাও প্রথম বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন।[১৫] শাক্যা ও আকিরা নামে তাঁদের দুই কন্যাও রয়েছে।[১৬] ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি তারা বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তির কথা ঘোষণা করেন।[১৭]
যশ চোপড়ার লমহে (১৯৯১) ছবির পরিবেশনা ও পরিচালনায় শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করেন ফারহান আখতার। সেই সময় তার বয়স ছিল সতেরো বছর। পরে তিনি "স্ক্রিপ্ট শপ" নামে একটি বিজ্ঞাপন প্রযোজনা সংস্থায় প্রায় তিন বছর কাজ করেন।[১৮] নিজে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও চিত্রনাট্য রচনার আগে তিনি পঙ্কজ পরাশর পরিচালিত হিমালয় পুত্র (১৯৯৭) ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজ করেন।[১৯]
ফারহান আখতার চিত্রনাট্য রচনা ও চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন দিল চাহতা হ্যায় (২০০১) ছবিটির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে ফারহান ও ঋতেশ সিধ্বানি একসঙ্গে এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট নামে যে প্রযোজনা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই সংস্থাই এই ছবিটি প্রযোজনা করে। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জনেও সক্ষম হয়।[২০] তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সিডনি, গোয়া ও মুম্বইতে ছবিটি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল।[২১] বহুপ্রশংসিত হওয়ায় ছবিটি তার কর্মজীবনের সন্ধিস্থল হিসাবে চিহ্নিত হয়।[২২] ছবিটির উপজীব্য ছিল মুম্বই শহরের পাশ্চাত্য ভাবধারার অনুগামী তরুণদের জীবন। গোয়া ও নিউ ইয়র্ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং সেই সঙ্গে তার এক বন্ধুর শোনানো গল্পের ভিত্তিতে ফারহান এই ছবির চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন।[২৩] আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিশেষ স্থান অর্জন করে এবং এই ছবিটির জন্য ফারহানকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে "নব্য তরঙ্গ"-এর প্রবর্তকের সম্মান দেওয়া হয়।[২৪] সমালোচক জিয়া উস সালাম ফারহানের পরিচালনার প্রশংসা করে দ্য হিন্দু পত্রিকায় লেখেন: "প্রথম প্রচেষ্টাতেই জাভেদ আখতারের পুত্র তার বংশপরিচয়ের যথেষ্ট নিদর্শন রেখেছেন, যা ইঙ্গিত করে সেই প্রতিশ্রুতি একদিন না একদিন পরিপূর্ণ হবেই।"[২৫] ছবিটি একাধিক পুরস্কার জয় করে এবং একাধিক বিভাগের জন্য মনোনীতও হয়। ২০০২ সালে হিন্দি ভাষায় শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এই ছবিটিই অর্জন করেছিল।[২৬] ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব,[২৭] পাম স্প্রিংস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব[২৮] ও অস্টিন চলচ্চিত্র উৎসবে।[২৯] সেই বছরই ফারহান ও তার বোন জোয়া আখতার লগান ছবির একটি ইংরেজি গান রচনার কাজে তাঁদের বাবাকে সাহায্য করেন। এই গানটিতে সুরারোপ করেছিলেন এ. আর. রহমান।[৩০]
ফারহানের পরবর্তী প্রকল্পটি ছিল লক্ষ্য (২০০৪)। হৃতিক রোশন ও প্রীতি জিন্টা অভিনীত এই ছবির উপজীব্য উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো এক তরুণের জীবন, যে শেষপর্যন্ত জীবনের একটি লক্ষ্য স্থির করতে সক্ষম হয়। ছবিটির শ্যুটিং হয় লাদাখ দেরাদুন ও মুম্বইতে। এই ছবির মাধ্যমেই ফারহান ও হৃতিকের একযোগে কাজ করার সূত্রপাত ঘটে।[৩১] ছবির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনার কাজ শুরুর আগে তাঁকে সেনাবাহিনী নিয়ে পড়াশোনাও করতে হয়।[৩২] ফারহানের নিজের কথায়, এই ছবির বিষয়বস্তু ছিল "নিজেকে খোঁজা"। তিনি মনে করতেন, একই চরিত্র ও পরিস্থিতিকে যদি অন্যত্র স্থাপন করা হত, তাহলেও গল্পের মূল সূরটি একই থাকত। কারণ, ছবির বিষয়বস্তু যুদ্ধ হিসাবে উল্লিখিত হলেও আসলে তা নয়।[৩১] মুক্তিলাভের পর ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।[৩৩] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় পারুল গুপ্ত ছবিটির নেতিবাচক সমালোচনা করেন। তার ব্যাখ্যা অনুসারে, "যখন ফারহান আখতার, যাঁকে হিন্দি ছবির জগতে উপভোগ্যতার প্রতীক মনে করা হয়, তার পরিচালনায় এমন তুচ্ছতা উঠে আসে, তখন তা মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।"[৩৪] অপরপক্ষে বিবিসি-র মনীশ গজ্জর ছবিটির ইতিবাচক সমালোচনা করে লেখেন, "তরুণ ফারহান আখতার আবার প্রমাণ করলেন যে তিনি এযাবৎকালীন বলিউডের শ্রেষ্ঠ পরিচালকদের অন্যতম। তিনি চিত্রনাট্য ও কৌশলগত দিকগুলির প্রতি পূর্ণ মনোযোগ আরোপ করেছিলেন এবং তার ফলে একটি মার্জিত কাজ উঠে এসেছে।"[৩৫]
ইতিমধ্যে ফারহান ও তার বোন জোয়া আখতার তাঁদের বাবা জাভেদ আখতারের সুপারিশ ক্রমে গুরিন্দর চাড্ডার হলিউড ছবি ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস-এর (২০০৪) জন্য ইংরেজি ভাষায় গান রচনা করেন।[৩৬] হিন্দি ছবির গান, ওয়েস্ট সাইড স্টোরি, ফিডলার অন দ্য রুফ ও গ্রিজ অবলম্বনে অনু মালিক এই ছবিতে সুরারোপ করেন।[৩৭]
২০০৬ সালে ফারহান ডন ছবিটি পরিচালনা করেন। তিনিই ছিলেন এই ছবির প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। ছবিটি ছিল ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ডন ছবির পুনঃসৃজন। এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ খান।[৩৮] এই ছবিটিই ছিল ছবি পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে ফারহানের প্রথম প্রকল্প। ডন চরিত্রটি প্রবাদপ্রতিম ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তা সত্ত্বেও ফারহান বলেছিলেন যে, তিনি "পুনর্নির্মাণ বাহিনীর পুরোধাপুরুষ" হয়ে উঠতে চান না এবং চলচ্চিত্র জগতে পুনর্নির্মাণ ধারার সঙ্গে তার নাম যুক্ত হলে তিনি অস্বস্তি বোধ করেন।[৩৯] ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি বক্স অফিসে "হিট" ঘোষিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় করে।[৪০] সংলাপের জন্য ছবিটি বিশেষ খ্যাতি লাভ করে।[৪১] যদিও সমালোচকেরা প্রধানত ফারহানের পরিচালনা ও চিত্রনাট্যেরই নেতিবাচক সমালোচনা করেন। বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ বলেন যে, ফারহান "দক্ষতার শিখরে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, কিন্তু একটি প্রস্তুত ক্ল্যাসিক হাতে থাকা সত্ত্বেও এইবার গল্পকথক এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেন না।"[৪২]
২০০৭ সালে ফারহান হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড ছবিটি প্রযোজনা করেন। নবাগতা পরিচালিকা রীমা কাগতি পরিচালিত এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন অভয় দেওল, মিনিশা লাম্বা, শাবানা আজমি ও বোমান ইরানি। বিশাল-শেখর এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেন। এই ছবির মাধ্যমেই বিশাল-শেখরের সঙ্গে ফারহান আখতারের একসঙ্গে কাজ করা শুরু হয়।[৪৩] এই ছবিতেই অভিনেতা হিসাবে ফারহানের প্রথম কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ডন ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ার দরুন তার পরিবর্তে অভয় দেওল এই ছবিতে অভিনয় করেন।[৪৪] ছবিটি এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক সংযোগিতায় নির্মিত হয়েছিল।[৪৫] এই ছবির ক্ষেত্রেই এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট প্রথম ফারহান আখতার ব্যতীত অন্য এক পরিচালকের ছবি প্রযোজনা করে। ছবির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল গোয়াতে মধুচন্দ্রিমা যাপনে যাওয়া ছয় যুগলের অভিজ্ঞতা।[৪৬] ২৩ ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তিলাভ করে। সমালোচকেরা ছবিটি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন।[৪৭] বক্স অফিসেও ছবিটি "গড়পড়তা" হিসাবে গণ্য হয়।[৪৮]
সেই বছরই ফারহান পরিচালনা করেন পজিটিভ ছবিটি। শেরনাজ ইটালিয়া ও ফ্রেঞ্জি কোডাজি প্রযোজিত এই ছবিতে অভিনয় করেন বোমান ইরানি ও শাবানা আজমি।[৪৯] এটি ছিল ১২ মিনিটের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি। ছবিটির মূল উপজীব্য ছিল এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত এক ব্যক্তির প্রতি তার পরিবারের মানসিকতা। ছবিটির শ্যুটিং হয় মুম্বইতে। ছবিটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল এই জাতীয় সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই ছবিটির মাধ্যমেই অর্জুন মাথুর চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ছবিটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফারহান বলেছিলেন যে, "আর পাঁচটা সামাজিক লজ্জার মতোই অনেকে বিশ্বাস করেন যে, এইচআইভি রোগীদের আলাদা করে দেওয়া উচিত। এই রোগটির বিহিত করা নিয়েও তাঁদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। ভারতে যেহেতু একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যা অনেক, সেহেতু এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমর্থন করার মূল্যটি অনুধাবন করা অত্যন্ত জরুরি। পজিটিভ-এ ঠিক সেই কথাটিই বলা হয়েছে।" ছবিটিতে সুরারোপ করেন রাম সম্পৎ। তবে এটিতে কোনও গান নেই।[৫০] ছবিটি ছিল মীরা নায়ার, সন্তোষ শিবন, বিশাল ভরদ্বাজ ও ফারহান পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের চারটি ছবির ধারাবাহিক "এইডস জাগো"-এর ("এইডস অ্যাওয়েক") একটি অংশ। মূল ধারাবাহিক ছিল মীরা নায়ারের মীরাবাই ফিল্মস, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবাহন ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের একটি যৌথ উদ্যোগ।[৫১]
বছর | শিরোনাম | টীকা |
---|---|---|
১৯৯৮ | ব্রেথলেস | "ব্রেথলেস" একক মিউজিক ভিডিও সহ-পরিচালনা: জয়া আখতার |
২০০১ | দিল চাহতা হ্যায় | |
২০০৪ | লক্ষ | |
২০০৬ | ডন | |
২০০৭ | পজিটিভ | স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র |
২০১১ | ডন ২ | |
২০২০ | ডন ৩ | |
বছর | শিরোনাম | পরিচালক |
---|---|---|
২০০৬ | ডন | স্বভূমিকায় |
২০০৭ | হানিমুন ট্রাভেলস প্রা. লিমিটেড | রিমা কাগতি |
২০০৮ | রক অন!! | অভিষেক কাপুর |
২০০৯ | লাক বাই চান্স | জোয়া আখতার |
২০১০ | Karthik Calling Karthik | Vijay Lalwani |
২০১১ | Game | Abhinay Deo |
জিন্দেগী না মিলেগী দোবারা | জোয়া আখতার | |
ডন ২ | স্বভূমিকায় | |
২০১২ | Talaash | রিমা কাগতি |
২০১৩ | Fukrey | Mrighdeep Singh Lamba |
২০১৫ | Dil Dhadakne Do | জোয়া আখতার |
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৮ | রক অন!! | Aditya Shroff | |
২০০৯ | লাক বাই চান্স | Vikram Jaisingh | |
২০০৯ | The Fakir of Venice | Adi Contractor | |
২০১০ | কার্তিক কলিং কার্তিক | কার্তিক নারায়ণ | |
২০১১ | জিন্দেগী না মিলেগী দোবারা | Imraan | |
২০১৩ | Bombay Talkies | Himself | Special appearance in song "Apna Bombay Talkies" |
২০১৩ | Bhaag Milkha Bhaag | Milkha Singh | |
২০১৪ | Shaadi Ke Side Effects | Sid | |
২০১৫ | Dil Dhadakne Do | Pre-production[৫২] | |
২০২০ | তুফান |
বছর | চলচ্চিত্র | পৃরস্কার | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
২০০২ | দিল চাহতা হ্যায় | 49th National Film Awards[৫৫] | Best Feature Film in Hindi | বিজয়ী |
47th Filmfare Awards[৫৬][৫৭] | Critics Award for Best Movie | |||
Best Screenplay | ||||
Best Film | মনোনীত | |||
Best Director | ||||
3rd International Indian Film Academy Awards[৫৮] | Best Screenplay | বিজয়ী | ||
২০০৯ | রক অন!! | 55th National Film Awards[৫৯] | Best Feature Film in Hindi | |
53rd Filmfare Awards[৬০][৬১] | Best Male Debut | |||
Best Male Playback Singer | মনোনীত | |||
10th IIFA Awards[৬২] | Star Debut of the Year – Male | বিজয়ী | ||
5th Stardust Awards[৬৩] | Superstar of Tomorrow – Male | |||
14th Screen Awards[৬৪] | Most Promising Newcomer – Male | |||
২০১০ | লাক বাই চান্স | 8th Apsara Film & Television Producers Guild Awards[৬৫] | Best Film | মনোনীত |
7th Stardust Awards[৬৬] | Superstar of Tomorrow – Male | |||
২০১২ | জিন্দেগী না মিলেগী দোবারা | 56th Filmfare Awards[৬৭] | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
Critics Award for Best Movie | ||||
Best Supporting Actor | ||||
Best Dialogue | ||||
18th Screen Awards[৬৮][৬৯] | Best Dialogue | |||
Best Ensemble Cast (part) | মনোনীত | |||
6th Asian Film Awards[৭০] | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | |||
13th Zee Cine Awards[৭১] | Best Supporting Actor | বিজয়ী | ||
13th IIFA awards | Best Supporting Actor | |||
9th Apsara Film & Television Producers Guild Awards[৭২][৭৩] | Best Film | |||
Best Actor in a Supporting Role | ||||
শ্রেষ্ঠ সংলাপ | মনোনীত | |||
13th International Indian Film Academy Awards[৭৪] | Best Film | বিজয়ী | ||
Best Supporting Actor | ||||
ডন ২ | 56th Filmfare Awards[৭৫] | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মনোনীত | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | ||||
13th Zee Cine Awards[৭৬] | Best Film | |||
Best Director | ||||
8th Stardust Awards[৭৭] | Film of the Year | |||
Dream Director | ||||
২০১৪ | Bhaag Milkha Bhaag | 20th Life OK Screen Awards | Screen Award for Best Actor | বিজয়ী |
9th Renault Star Guild Awards | Best Actor In A Leading Role | বিজয়ী | ||
59th Filmfare Awards[৭৮] | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | বিজয়ী |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.