Loading AI tools
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
যখন একজন বোলার কোন একটি ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সক্ষম হন, তখন ক্রিকেটের পরিভাষায় তা ‘পাঁচ-উইকেট অর্জন’ নামে পরিচিত পায়। পাঁচ-উইকেট অর্জনকে ‘ফাইভ-ফর’ বা ‘ফিফার’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে।[2][3] টেস্ট ক্রিকেট খেলায় এটি একটি অন্যতম সম্পর্কযুক্ত বিষয় কিন্তু অসাধারণ অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[4] ১৭ মার্চ, ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে বিশ্বের ১৫৪ জন ক্রিকেটার পাঁচ-উইকেট অর্জন করতে পেরেছেন।[5]
মার্চ, ২০১৯ সাল পর্যন্ত সর্বমোট নয়জন নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার তাদের টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে পাঁচ-উইকেট লাভের গৌরবগাঁথা রচনা করেছেন।[6] ঐ পাঁচ-উইকেটগুলো ছয়টি পৃথক দেশের বিপক্ষে এসেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার, পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইবার এবং ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একবার হয়।[7] তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ড দল চারবার বিজয়ী হয়, তিনবার ড্র ও দুইবার পরাজয়বরণ করে।[8][9][10] নয়টি ভিন্ন মাঠে খেলোয়াড়ের এ কীর্তি গড়েন। ছয়বারই নিউজিল্যান্ডের বাইরে হয়। সাম্প্রতিককালের পাঁচ-উইকেট লাভ হয়েছে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।[11]
প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় বোলার হিসেবে ফেন ক্রেসওয়েল এ সম্মাননায় অভিষিক্ত হন। ১৯৪৯ সালে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টে তার এই ফিফারটি এসেছে। তিনি ১৬৮ রান খরচায় ছয় উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।[12][13][14][13] এছাড়াও, ক্রেসওয়েল, অ্যালেক্স মইর ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম - এ তিন নিউজিল্যান্ডীয় প্রত্যেকেই তাদের অভিষেক টেস্টে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন।[6] গ্র্যান্ডহোমের সংগৃহীত ৬/৪১ যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় বোলারের অভিষেক টেস্টে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। ২০১৬ সালে হ্যাগলে ওভালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। [6][15] তিনি খেলায় সর্বমোট ৬৪ রান খরচায় সাত উইকেট পেয়েছিলেন। এটিই যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় খেলোয়াড়ের টেস্ট অভিষেকে সেরা।[14] এছাড়াও, গ্র্যান্ডহোম ও এজাজ প্যাটেল একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন।[15][16] বোলারদের মধ্যে ব্রুস টেলর একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট অভিষেকে অল-রাউন্ডারের কীর্তি গড়েন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে[ট 1] ১০৫ রান ও ৫/৮৬ পান।[17]
অন্য পাঁচজন খেলোয়াড় তাদের টেস্ট অভিষেকে পাঁচ-উইকেট পেয়েছেন।[6] সর্বশেষ ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন গ্র্যান্ডহোম। নভেম্বর, ২০১৬ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে তিনি ৬/৪১ পেয়েছিলেন।[18] অন্যান্য বোলারদের মধ্যে পল ওয়াইজম্যান সেরা মিতব্যয়ী বোলিং করেন ওভারপ্রতি ১.৭৫ রান দিয়ে ও টিম সাউদি সেরা স্ট্রাইক রেটের অধিকারী।.[ট 2] সাম্প্রতিককালে নভেম্বর, ২০১৮ সালে এ কৃতিত্বের অংশীদার হয়েছেন এজাজ প্যাটেল।[6][15] একমাত্র স্পিন বোলার হিসেবে রয়েছেন - অ্যালেক্স মইর, পল ওয়াইজম্যান ও এজাজ প্যাটেল। বাদ-বাকী ছয়জনই ফাস্ট বোলার।[20][21]
|
নং | বোলার | তারিখ | স্থান | প্রতিপক্ষ | ইনিংস | ওভার | রান | উইকেট | ইকোনোমি | ব্যাটসম্যান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ফেন ক্রেসওয়েল | ১৩ আগস্ট ১৯৪৯ | দি ওভাল, লন্ডন | ইংল্যান্ড | ২ | ৪১.২ | ১৬৮ | ৬ | ৪.০৬ | ড্র[13] | |
২ | অ্যালেক্স মইর | ১৭ মার্চ ১৯৫১ | ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক, ক্রাইস্টচার্চ | ইংল্যান্ড | ২ | ৫৬.৩ | ১৫৫ | ৬ | ২.৭৪ | ড্র[22] | |
৩ | ব্রুস টেলর | ৫ মার্চ ১৯৬৫ | ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা | ভারত | ২ | ২৩.৫ | ৮৬ | ৫ | ৩.৬০ | ড্র[23] | |
৪ | পল ওয়াইজম্যান | ২৭ মে ১৯৯৮ | আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো | শ্রীলঙ্কা | ৪ | ৪৬.৫ | ৮২ | ৫ | ১.৭৫ | জয়[24] | |
৫ | মার্ক গিলেস্পি | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ | সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২ | ৩০.০ | ১৩৬ | ৫ | ৪.৫৩ | পরাজয়[25] | |
৬ | টিম সাউদি | ২২ মার্চ ২০০৮ | ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার | ইংল্যান্ড | ১ | ২৩.১ | ৫৫ | ৫ | ২.৩৭ | পরাজয়[1] | |
৭ | ডগ ব্রেসওয়েল | ১ নভেম্বর ২০১১ | কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে | জিম্বাবুয়ে | ৪ | ২৫.০ | ৮৫ | ৫ | ৩.৪০ | জয়[26] | |
৮ | কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ | হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ | পাকিস্তান | ১ | ১৫.৫ | ৪১ | ৬ | ২.৬৮ | জয়[15] | |
৯ | এজাজ প্যাটেল | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ | শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি | পাকিস্তান | ৪ | ২৩.৪ | ৫৯ | ৫ | ২.৪৯ |
|
জয়[16] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.