জেনারেল তপেশ্বর নারায়ণ রায়না (১৯২১ - মে ১৯৮০) ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অবসরের পর তিনি কানাডায় যান ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে। পদ্মভূষণ যেটি হচ্ছে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক তপেশ্বরকে দেওয়া হয়।[2]
জেনারেল তপেশ্বর নারায়ণ রায়না পরম বিশিষ্ট সেবা ম্যাডেল, মহাবীরচক্র | |
---|---|
জন্ম | ১৯২১ |
মৃত্যু | ১৯ মে ১৯৮০ ৫৮–৫৯)[1] | (বয়স
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত ভারত |
সেবা/ | ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৪২ - ১৯৭৮ |
পদমর্যাদা | জেনারেল |
ইউনিট | কুমাওন রেজিমেন্ট |
নেতৃত্বসমূহ | ওয়েস্টার্ন কমান্ড ২য় কোর ২৫তম পদাতিক ডিভিশন ১১৪তম পদাতিক ব্রিগেড ১৪ কুমাওন |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ পরম বিশিষ্ট সেবা ম্যাডেল মহাবীরচক্র |
তপেশ্বর নারায়ণ রায়না | |
---|---|
সেনাবাহিনী প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১ জুন ১৯৭৫ – ৩১ মে ১৯৭৮ | |
পূর্বসূরী | গোপাল গুরুনাথ বেউর |
উত্তরসূরী | ওম প্রকাশ মালহোত্রা |
কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – মে ১৯৮০ | |
পূর্বসূরী | মাহবুব আহমেদ |
উত্তরসূরী | জি এস ধিলোন |
পূর্ব জীবন
তপেশ্বর লুধিয়ানাতে অধ্যায়ন করেন যেখানে তার বাবা বি এন রায়না হেড পোস্টমাস্টার হিসেবে চাকরি করতেন।[3] তপেশ্বর ম্যারি আঁতোয়া নামের এক ফরাসি নারীকে বিয়ে করেছিলেন, তারা বাচ্চা নেননি।[4]
সেনাতে তপেশ্বর
রায়না কুমাওন রেজিমেন্টের সৈনিক ছিলেন[5] এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, ১৯৬২, '৬৫ এবং '৭১ সালের যুদ্ধতেও তার অবদান ছিলো।[6]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রায়না ছিলেন দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট, এই পদবীতে তিনি লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং গ্রেনেড বিস্ফোরণের আঘাতে তিনি তার একটি চোখ হারান, সেনাবাহিনীতে বাকীটা জীবন কৃত্রিম চোখ দিয়েই কাটিয়ে দেন তিনি।
১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় রায়না ছিলেন ব্রিগেডিয়ার পদবীতে লাদাখ এলাকার একটি ব্রিগেডের অধিনায়ক, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রায়না মহাবীরচক্র পদক পান।
এরপরেই রায়নাকে ৩৩তম কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স্টাফ (বিজিএস) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।[7]
১৯৭১ সালে রায়না লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদবীতে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য ২য় কোরের কমান্ডারের দায়িত্ব পান। এই যুদ্ধের জন্যই তাকে পদ্মভূষণ পদক দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের ২৭শে অক্টোবর পশ্চিম সেনা কমান্ডের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৫ সালের ১ জুন পূর্ণ জেনারেল পদবীতে সেনাপ্রধান হবার আগ পর্যন্ত তিনি পশ্চিম সেনা কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ (জিওসি-ইন-সি) ছিলেন।
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.