জয়নুল আবেদিন সাজ্জাদ মিরাটী

ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত ও ইতিহাসবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

জয়নুল আবেদিন সাজ্জাদ মিরাটী (এছাড়াও কাজী জয়নুল আবেদিন সাজ্জাদ মিরাটী নামেও পরিচিত) (১৯১০-১৯৯১) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত ও ইতিহাসবিদ এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রধান।[১][২] তার লিখিত বই তারীখ-ই-মিল্লাত দারুল উলুম দেওবন্দ এবং এর সংশ্লিষ্ট দেওবন্দ মতাদর্শী মাদ্রাসাগুলির পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত।[৩][৪]

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন

তিনি ১৯১০ সালে ব্রিটিশ ভারতের যুক্ত প্রদেশের মিরাটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দারুল উলুম মিরাট এবং মিরাটের ইমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। তিনি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক এবং ১৩৪৬ সালে আনোয়ার শাহ কাশ্মীরিহুসাইন আহমেদ মাদানির অধীনে দারুল উলুম দেওবন্দে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করেন।[৫]

তিনি ছিলেন মাহমুদুল হাসান দেওবন্দীর শ্যালক আব্দুল মোমিন দেওবন্দীর শিষ্য ছিলেন।[২]

কর্মজীবন

তাজওয়ার নাজিবাবাদীর অনুরোধে তিনি নাজিবাবাদীর জার্নাল আদাবি দুনিয়া পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৩৮ সালে সাঈদ আহমদ আকবরাবাদী, হিফজুর রহমান সিওহারভি আতিকুর রহমান উসমানি, প্রমুখ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি প্রকাশনা সংস্থা নাদওয়াতুল মুসান্নিফীনে যোগ দেন।[৩]

তিনি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং সাবেক উপাচার্য মোহাম্মদ মুজিবের অনুরোধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।[৫] তিনি জমিয়েত উলামায়ে হিন্দ, নাদওয়াতুল উলামা লক্ষ্ণৌ এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের প্রশাসনিক পরিষদ ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন।[২]

তিনি ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত মীরাটের মাসিক জার্নাল আল-হারাম প্রকাশ করেন।[৫]

তিনি ১৯৬২ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দের প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।[৩][৬]

সাহিত্যকর্ম

তার বইয়ের মধ্যে রয়েছে[২]:

  • তারিখ-ই-মিল্লাত (৩ খণ্ড:নবী আল-আরাবী, খিলাফতে রাশিদা ও খিলাফতে বনু উমাইয়া)
  • বায়ান আল-লিসান
  • কামুস আল-কুরআন[৭]
  • ইন্তিখাব-ই-সিহাহ সিত্তাহ
  • সিরাত-ই-তাইয়িবাহ
  • শাহীদ-ই-কারবালা
  • আরবি বোল চাল

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.