শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
সাইদ আহমদ আকবরাবাদী
ভারতীয় সুন্নি ইসলামি পন্ডিত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সাঈদ আহমেদ আকবরাবাদী (১৯০৮-১৯৮৫) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত, উর্দু ভাষার লেখক এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের সাবেক ডিন।[১] তিনি আদ দিরাসাতুল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা।
Remove ads
Remove ads
শিক্ষা জীবন
সাঈদ আহমদ আকবরাবাদী ১৯০৮ সালে ভারতের ঔপনিবেশিক শহর আগ্রায় জন্মগ্রহণ করেন।[২][৩] তিনি বাড়িতে প্রাথমিক অধ্যয়ন শুরু করেন। তারপর তিনি মোরাদাবাদের মাদ্রাসা শাহীতে পড়াশোনা করেন এবং পরে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক হন। সেখানে তিনি আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি, শাব্বির আহমেদ উসমানী ও ইব্রাহিম বালিয়াভির অধীনে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি লাহোরের ওরিয়েন্টাল কলেজে বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ফতেহপুরীর মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় প্রাচ্য ভাষার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে আরবিতে মাস্টার অব আর্টস (এম এ) ডিগ্রী অর্জন করেন।[২]
Remove ads
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
লাহোরের ওরিয়েন্টাল কলেজে পড়াশোনা শেষ করে তিনি দাভেলের জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দ্বীন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ফতেহপুরীর মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় প্রাচ্য ভাষা শিক্ষা দেন। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে এম এ সম্পন্ন করার পর তিনি একই কলেজে প্রভাষক হন। ইতোমধ্যে মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক (পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি) তার ছাত্র হন।[৩] ১৯৪৯ সালে তিনি কলকাতার মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ হন।
১৯৫৮ সালে তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন হন। তিনি একটি দুর্বল অনুষদ রূপান্তর এবং স্নাতক শিক্ষকতা এবং একটি ডক্টরেট প্রোগ্রাম চালু করেন।[২] তিনি আনোয়ার শাহ কাশ্মীরির (এবং অনুষদের) প্রথম ডক্টরাল থিসিস তত্ত্বাবধান করেছিলেন, যা পরে ১৯৭৪ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করেছিল।[৩]
১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে তিনি কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক স্টাডিজের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। ১৯৭২ সালে এএমইউ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি চার বছর তুঘলকাবাদের হামদারদের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
এরপর তিনি কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হন। এরপর দারুল উলুম দেওবন্দে তিনি নতুন গবেষণা বিভাগের ও শাইখুল হিন্দ একাডেমীর পরিচালকের দায়িত্ব লাভ করেন, যা তিনি ১৯৮২ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের ২৪ মে মৃত্যু পর্যন্ত পালন করেন।[৩]
Remove ads
প্রাপ্ত দায়িত্ব সমূহ
- ডিন: ধর্মতত্ত্ব অনুষদ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
- প্রিন্সিপাল: মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, কলকাতা
- পরিচালক: শাইখুল হিন্দ একাডেমী, দারুল উলুম দেওবন্দ
- ভিজিটিং প্রফেসর: কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়
- ভিজিটিং প্রফেসর, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
- ভিজিটিং প্রফেসর, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা
- প্রাচ্য ভাষার প্রভাষক, মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ফতেহপুরী
- প্রভাষক, সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ, দিল্লি
- সম্পাদক, বুরহান (নাদওয়াতুল মুসান্নিফিন, দিল্লি)।
রচনাবলি
তাকে নিয়ে রচনা[৩]
- মাওলানা সাঈদ আহমদ আকবরাবাদী: আহওয়াল-আসার। লেখক: ড. মাসুদ আলম কাসমি
- মাওলানা সাঈদ আহমদ আকবরাবাদী: হায়াত ও খিদমাত। লেখক: কায়সার হাবীব হাশমি
- মাওলানা সাঈদ আহমদ আকবরাবাদী আওর উনকি আদবি খিদমত। লেখক: মিস জাহানারা।
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads