শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

ছৌ মুখোশ

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

ছৌ মুখোশ
Remove ads

ছৌ মুখোশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য৷ পুরুলিয়াতে প্রচলিত ছৌ এবং ওড়িশার ময়ুরভঞ্জের ছৌ এর মুল পার্থক্য হলো মুখোশ ও পোষাকাদির ব্যবহার৷ আবার ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লার ছৌ তে মুখোশ থাকলেও অলঙ্করণ কম ও নির্দিষ্ট বস্ত্রের ব্যবহার নেই৷ যেহেতু পুরুলিয়ার ছৌএর ক্ষেত্রে মুখোশের ব্যবহার আছে তাই এক্ষেত্রে পুরুলিয়া ছৌ এর অঙ্গভঙ্গি মুখের বদলে হাত ও দেহের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়৷[] পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ ভারতের ভৌগোলিক স্বীকৃতির তালিকাতে নিবন্ধিত৷[] অনন্য দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা ও ছৌ মুখোশ তৈরীর ঐতিহ্যের জন্য এটি বহির্বিশ্বে সমাদৃত৷

দ্রুত তথ্য পুরুলিয়া ছৌ মুখোশ, বিকল্প নাম ...
Remove ads
Remove ads

ইতিহাস

পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডির রাজা মদনমোহন সিংহ দেবের সময় থেকে ছৌ মুখোশ বানানোর ঐতিহ্য চলে আসছে, তিনি ছিলেন এই লোকশিল্পের অন্যতম পৃৃষ্ঠপোষক৷ ছৌ মুখোশ ঐতিহ্যগতভাবে মানভূমের প্রাচীন নৃত্যশৈলীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা সময়ের সাথে অবলুপ্ত হলেও মুখোশ তৈরীর শিল্পটি আজও অবিচল৷

বিষয় ও ধরন

Thumb
পুরুলিয়া ছৌ নাচে মহিষাসুরমর্দিনী

পুরুলিয়ার ছৌ নাচে ব্যবহৃত ছৌ মুখোশগুলি প্রধানত পৌরাণিক চরিত্রের ওপর যেমন, মহিষাসুরমর্দিনী, রাম-সীতা, রাম-রাবনের যুদ্ধ ইত্যাদি৷ অনেকক্ষেত্রে সাঁওতাল দম্পতির মুখোশ রূপক হিসাবে ব্যবহার হয়৷ মুল মুখোশের চারধারে দু ফুট পর্যন্ত গয়না ও কাপড় দিয়ে বিভিন্নভাবে অলঙ্করণ করা হয়৷ দুর্গা, লক্ষ্মী, কার্তিক এর মুখোশগুলি গাঢ় হলুদ বা কমলা রঙ করা হয়৷ শিব, সরস্বতীগণেশ এর মুখোশগুলি সাদা রঙ করা হয়৷ আবার মা কালীর মুখোশটিতে করা হয় কালো রঙ৷ রামশ্রীকৃৃষ্ণের মুখোশগুলিতে কপালে তিলক কাটা থাকে৷ অসুরের মুখোশের ক্ষেত্রে সাধারণত গোঁফ, দৃৃশ্যমান দন্তপাটি ও বিষ্ফারিত চোখ সহ কালো বা গাঢ় সবুজ রঙ করা হয়৷

Remove ads

প্রক্রিয়াকরণ

Thumb
চড়িদা গ্রামে ছৌ মুখোশ প্রস্তুতকারক
Thumb
চড়িদা গ্রাম হ'তে সংগৃহীত ছৌ-নাচের 'অভিমন্যু বধ' পালায় 'দ্রোণাচার্য'এর মুখোশ।

ছৌ মুখোশ প্রস্তুতকারকরা সূত্রধর সম্প্রদায়ের লোক৷ মুখোশ প্রস্তুতি একাধিক ধারাবাহিক পদ্ধতির মাধ্যমে হয়ে থাকে৷ প্রথমে ৮ থেকে ১০ টি নরম কাগজকে আঠাতে ডুবিয়ে পর পর স্তরে আটকে একটি আকার আনা হয়৷ তার ওপর একখণ্ড কাদা নিয়ে তার সাথে সূক্ষ্ম ভস্মচূর্ণ মিশিয়ে আকারটিকে হয় পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলা হয়৷ মুখের সূক্ষ্মকাজগুলি কাদামাটির মাধ্যমে করা হয়৷ তার ওপর কাদাসহ কাপড়ের একটি আস্তরন দেওয়া হয় এবং পরে তা সূর্যালোকে শুকিয়ে নেওয়া হয়৷ শুকিয়ে গেলে সেটিকে পালিশ করা হয় কাদার খণ্ড থেকে কাগজ ও কাপড়ের আস্তরনটি সরিয়ে নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সূর্যালোকে শুকানো হয়৷ মুখোশের ছাঁচ তৈরী হয়ে এলে নাক ও কানের অংশে গর্ত করা হয় ও মুখোশটি রঙ করা হয় চারিধারে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্করণ করা হয়৷[][]

ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তি

পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ পশ্চিমবঙ্গের একটি নিবন্ধিত ও উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক স্বীকৃতি৷[] পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ প্রস্তুতি ও ব্যবহার অনবদ্য এবং ঐতিহ্যমন্ডিত একটি শিল্পকলা৷

তথ্যসূত্র

Loading content...
Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads