চুয়াডাঙ্গা
বাংলাদেশের একটি শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশের একটি শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান শহর। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রশাসনিক এবং সবচেয়ে বড় শহর ও জনবহুল স্থান। ১৮৫৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এবং ১৭৭২ সালে বৃটিশ ভারতের ও বাংলাদেশের প্রথম ডাকঘর চুয়াডাঙ্গা ডাকঘর চুয়াডাঙ্গা শহরে স্থাপিত হয়। চুয়াডাঙ্গা শহরের সাথে সারা দেশের রেলপথে ও সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের মোট আয়তন ৩৮ বর্গ কিলোমিটার এবং মোট জনসংখ্যা ৩,১০,০০০ জন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে যা বাংলাদেশের ১৭ তম বৃহত্তম শহর।[1]
চুয়াডাঙ্গা | |
---|---|
শহর | |
চুয়াডাঙ্গা | |
বাংলাদেশে চুয়াডাঙ্গা শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.৬৪৩৯৯৯° উত্তর ৮৮.৮৫৫৬৩৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | চুয়াডাঙ্গা জেলা |
উপজেলা | চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা |
• পৌর মেয়র | জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন |
আয়তন | |
• পৌর এলাকা | ৩৮ বর্গকিমি (১৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• পৌর এলাকা | ৩,১০,০০০ |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
ডাকঘর কোড | ৭২০০ |
গ্রিক ঐতিহাসিকদের মতে এ এলাকাতেই বিখ্যাত গঙ্গারিডাই রাজ্য অবস্থিত ছিল। গাঙ্গেয় নামক একটি শহরও এ চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত ছিল বলে শোনা যায়। চুয়াডাঙ্গার নামকরণ সম্পর্কে কথিত আছে যে, এখানকার মল্লিক বংশের আদিপুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের (ওরফে চুয়া মালিক) নামে এ জায়গার নাম চুয়াডাঙ্গা হয়েছে। ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চুঙ্গো মল্লিক তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমানার ইটেবাড়ি-মহারাজপুর গ্রাম থেকে মাথাভাঙ্গা নদীপথে এখানে এসে প্রথম বসতি গড়েন। ১৭৯৭ সালের এক রেকর্ডে এ জায়গার নাম চুঙ্গোডাঙ্গা উল্লেখ রয়েছে। ফারসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার সময় উচ্চারণের বিকৃতির কারণে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা নামটা এসেছে। চুয়াডাঙ্গা নামকরণের আরও দুটি সম্ভাব্য কারণ প্রচলিত আছে। চুয়া < চয়া চুয়াডাঙ্গা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার নামকরণ সম্পর্কে আরেক জায়গায় কথিত আছে যে, এই অঞ্চল খুবই পরিষ্কার ছিল এক সময়ে। এই অঞ্চলের লোক পরিষ্কারকে বলতেন চুয়া এবং স্থানকে বলত ডাঙ্গা । অতএব, পরিষ্কারস্থান >চুয়াডাঙ্গা। তবে উপরের দুটি কারণ ই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য।
১৯৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা গঠিত হলে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭২ সালে।[2]
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা একজন মেয়র এবং ১২ জন কাউন্সিলর এবং ৩ জন মহিলা কাউন্সিলর দ্বারা গঠিত। প্রতিটি কাউন্সিলর শহরের একটি করে ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা সবাই জনগণের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত।
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা শহরের মোট জনসংখ্যা ২২৮,৮৬৫ জন।[3] যার মধ্যে ১১৪,৪২১ জন পুরুষ এবং ১১৪,৪৪৪ জন মহিলা। এ বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা ৩০,৯২৭টি খানায় বাস করে। ২০০১ সালের এর জনসংখ্যা ছিল ১১৩,৯২৮জন।[4] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৮৬৭ জন লোক বসবাস করে। লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ১০০০ জন নারী রয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ১০০% (৭ বছরের ঊর্ধ্বে)।[3]যার কারণে এটি বাংলাদেশে প্রথম নিরক্ষরমুক্ত শহর ।