আবুল হাসান (জন্ম: ৪ আগস্ট ১৯৪৭ – ২৬ নভেম্বর ১৯৭৫) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি ষাটের দশকের সঙ্গে চিহ্নিত। পেশায় তিনি সাংবাদিক ছিলেন। তার প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া আর সাহিত্যিক নাম আবুল হাসান। তিনি ষাটের দশকের জনপ্রিয় কবিদের একজন এবং সত্তুরের দশকেও গীতল কবিতার জন্য উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয়তা লাভ করেন। [১]
আবুল হাসান | |
---|---|
জন্ম | ৪ আগস্ট ১৯৪৭ |
মৃত্যু | ঢাকা, বাংলাদেশ ২৬ নভেম্বর ১৯৭৫ |
জাতীয়তা |
|
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
পেশা | কবি, লেখক |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক |
জন্ম
কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসান তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তার পিতা আলতাফ হোসেন মিয়া ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
আবুল হাসান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। তারপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ শ্রেণিতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন। পরে তিনি গণবাংলা (১৯৭২-১৯৭৩) এবং দৈনিক জনপদ-এ (১৯৭৩-৭৪) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আবুল হাসান অল্প বয়সেই একজন সৃজনশীল কবি হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। আত্মত্যাগ, দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে এশীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম হন।
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতাপুস্তক
- রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২)
- যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪)
- পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫)
গল্প
- আবুল হাসান গল্প- সংগ্রহ (১৯৯০)
কাব্যনাট্য
- ওরা কয়েকজন (১৯৮৮)
সংকলন
- আবুল হাসান রচনা সমগ্র
পুরস্কার
- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫)
- একুশে পদক (১৯৮২)
তথ্যসূত্র
বহি:সংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.