Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আইভিয়ান সার্কোজ বা আইভিয়ান লুনাসোল সার্কোজ কোলমেনারেস (ইংরেজি: Ivian Lunasol Sarcos Colmenares; জন্ম: ২৬ জুলাই, ১৯৮৯) মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ২০১১ বিজয়ী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী। ভেনেজুয়েলার অধিবাসী সার্কোজ ২০১০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড ভেনেজুয়েলা খেতাব জয় করেছিলেন।
আইভিয়ান সার্কোজ | |
---|---|
জন্ম | আইভিয়ান লুনাসোল সার্কোজ কোলমেনারেস ২৬ জুলাই ১৯৮৯ |
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) |
উপাধি | মিস আমাজোনাস, ২০১০ মিস ওয়ার্ল্ড ভেনেজুয়েলা, ২০১০ মিস ওয়ার্ল্ড, ২০১১ |
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শিরোপাধারী | |
চুলের রং | বাদামী |
চোখের রং | বাদামী |
প্রধান প্রতিযোগিতা | মিস ভেনেজুয়েলা ২০১০ (মিস ভেনেজুয়েলা মুন্দো) (L'bel Most Beautiful Face) মিস ওয়ার্ল্ড, ২০১১ (বিজয়ী) (মিস ওয়ার্ল্ড আমেরিকাস) |
ভেনেজুয়েলার পর্তুগুয়েসা রাজ্যের গুয়ানারে এলাকায় ১৯৮৯ সালের ২৬ জুলাই আইভিয়ান সার্কোজ জন্মগ্রহণ করেন। ৮ বছর বয়সেই তার মা-বাবা মারা যান। ফলে শৈশবেই তার অন্য ১২ ভাই-বোনের মতো তিনিও অনাথা হয়ে পড়েন।[1]
৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) উচ্চতা এবং কালো চুল ও কালো চোখের অধিকারী সার্কোজ কূটনীতিবিদ্যার ছাত্রী। তিনি একজন নান বা ধর্মযাজিকা হবার জন্য কোজেডেসের খ্রিস্টীয় মঠ বা সন্ন্যাসিনীদের আশ্রমে পড়াশুনা করেছিলেন। শৈশবে যদিওবা নান বা সন্ন্যাসিনী হবার উচ্চাশা ছিল তার, তারপরও তিনি তার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা ও বাস্তবতা দিয়ে উপলদ্ধি করে ঘটনাক্রমে নিজেকে খ্যাতির স্বর্ণশিখরে নিয়ে যাবার আপ্রাণ প্রয়াস চালান।
বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে মানবসম্পদ বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। বর্তমানে একটি সম্প্রচার কেন্দ্রে কর্মরত আছেন ৩টি ভাষায় অভিজ্ঞ আইভিয়ান সার্কোজ।[2]
৬১তম মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ২০১১ইং প্রতিযোগিতায় ভেনেজুয়েলার প্রতিনিধিত্ব করেন সার্কোজ।[3] ৬ নভেম্বর, ২০১১ সালের রবিবার রাতে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট লন্ডনের আর্লস কোর্টে অনুষ্ঠিত হয় মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বটি।[4] মিস ওয়ার্ল্ড কিংবা মিস ইউনিভার্স বিজয়ী 'সুন্দরীদের দেশ' হিসেবে ক্রমশঃ পরিচিত হয়ে উঠছে ভেনেজুয়েলা। সেখানকার সুন্দরী রমণীরা অনেকবার মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন। বিশ্বের অন্য কোন দেশে এত অধিকসংখ্যক সুন্দরী দেখা যায় না। লাবণ্যময়ী ও অধ্যবসায়ী ২২ বছর বয়সী আইভিয়ান সার্কোজও ঐ দেশটির অধিবাসী। বিশ্বের ১১৩টি দেশের সুন্দরীদেরকে পরাজিত করে বর্তমান বিশ্বসুন্দরী হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব অর্জন করেন আইভিয়ান সার্কোজ।[2]
এছাড়াও, স্প্যানিশ ভাষায় পারদর্শী আইভিয়ান সার্কোজ ২০১১ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচিত হবার পূর্বে মিস আমাজোনাস, ২০১০ এবং মিস ওয়ার্ল্ড ভেনেজুয়েলা, ২০১০ খেতাব জয় করেছিলেন।
বিশ্বের ১১৩টি দেশের সুন্দরীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে মিস ফিলিপাইন্স গোয়েন্ডোলিন রুয়াইস এবং পুর্তোরিকোর আমান্দা পেরেজকে পরাজিত করে বিজয়ী হন আইভিয়ান সার্কোজ। এরফলে ভীষণ আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি যা সমগ্র বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রায় ১০০ কোটি দর্শক টেলিভিশনের ছোট পর্দায় লক্ষ্য করেছেন। ২০১০ সালের সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলেকজান্ড্রা মিলস্ প্রতিযোগিতার স্বাভাবিক নিয়মে নিজের হীরকখঁচিত মুকুট আইভিয়ান সার্কোজের মাথায় পড়িয়ে দেন। এ বছর ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ভারত সুন্দরী কনিষ্ঠা ধংকার অংশ নিয়েছিলেন।[2][4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.