ঐশ্বর্যা রাই
ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঐশ্বর্যা রাই বা ঐশ্বরিয়া রাই (কন্নড়: ಐಶ್ವರ್ಯ ರೈ; আ-ধ্ব-ব: [ɛʃvərjɑː rɑːj]), যিনি বিবাহের পরে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন[২] হিসেবে পরিচিত, (জন্ম: নভেম্বর ১, ১৯৭৩), একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড। অভিনয় জগতে পদার্পণ করার আগে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব অর্জন করার পর ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন। সমগ্র কর্মজীবনে রাই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রসহ চল্লিশটিরও অধিক হিন্দী, ইংরেজি, তামিল, এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ঐশ্বর্যা রাই | |
---|---|
![]() ২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যা | |
জন্ম | |
অন্যান্য নাম | ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন |
পেশা | মডেল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৯১ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অভিষেক বচ্চন (বি. ২০০৭) |
সন্তান | ১[১] |
স্বাক্ষর | |
![]() |
মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুভার (১৯৯৭) ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে রাই প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এবং প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮)-এ। তিনি সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে ভন্সালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিলো তার কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এর পর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ধুম ২ (২০০৬)-তে। এই ছবিটা ছিল তার বলিউডের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য। পরবর্তী সময় তাঁকে গুরু (২০০৭) এবং যোধা আকবর (২০০৮) এ অভিনয় করতে দেখা যায়, যেগুলি ছিলো অর্থনৈতিকভাবে সফল ছবি এবং এই ছবি গুলোতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিতও হন। এইভাবে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তার সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
রাই বিয়ে করেছেন ভারতীয় অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে এবং তিনি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের পুত্রবধূ। বিবাহের পর তার নাম হয়েছে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
প্রারম্ভিক জীবন

ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন মাঙ্গলুরুর কৃষ্ণারাজ রাই এবং ভ্রিন্দা রাই এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাইয়ের নাম আদিত্য রাই। যিনি বাণিজ্যিক নৌ-বহরের (মার্চেন্ট নেভি) একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং দিল কা রিশতা নামে রাই-এর একটি ছবিও তিনি সহ-প্রযোজনা করেছিলেন। ছোটবেলায় তার মা বাবা মুম্বইয়ে চলে আসেন এবং তিনি সান্তা ক্রুজের আর্য বিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর এক বছরের জন্য রাই চার্চ গেটের জয় হিন্দ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং তারপর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়েন (এইচ এস সি) মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজে থেকে। স্কুলে পড়াকালীন তিনি খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে একজন স্থপতি হবার পরিকল্পনা নিয়ে স্থাপত্য শিল্প বিষয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেছিলেন। স্থাপত্য শিল্প নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও মডেলিং কে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তাঁকে তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।[৩]
তার মাতৃভাষা তুলু[[৪] হলেও তিনি হিন্দী, ইংরেজি, মারাঠি, এবং তামিল ভাষায় কথা বলতে পারেন।[৫] তার অভিনীত বাংলা চলচ্চিত্রে তার সংলাপে কণ্ঠ দেন একজন ডাবিং শিল্পী।
চলচ্চিত্র তালিকা
![]() | এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ; এটি সম্প্রসারণ করে আপনি সাহায্য করতে পারেন। |
- অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল (২০১৬)
- ধুম ২ (২০০৬)
- দেবদাস (২০০২)
- জোশ (২০০০)
- মোহব্বতেঁ (২০০০)
- হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯)
- আ আব লট চলে (১৯৯৯)
- ঢাই অক্ষর প্রেম কি (২০০০)
- কুছ না কাহো (২০০২)
- হাম তুমহারে হে সানাম (২০০২)
- অ্যাকশন রিপ্লে (২০১০)
- খার্কি (২০০৪)
- ফানি খান (২০১৮)
- চোখের বালি (২০০৩)
- গুরু (২০০৭)
- রেইনকোট (২০০৪)
সম্মাননা
সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে নিউইয়র্কে রাই আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলিউড তারকা মাইকেল ডগলাসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।[৬] এক সপ্তাহ পর তিনি জাতিসংঘের এইডস ও এইচআইভিবিষয়ক সচেতনতায় নিয়োজিত ইউএনএইডসের নতুন আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা দূত মনোনীত হন। তিনি এইচআইভি সংক্রমণ থেকে শিশুদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈশ্বিকভাবে কাজ করে যাবেন।[৭]
তথ্যসূত্র
আরো পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.