বিশাখাপত্তনম
ভারতীয় মহানগর / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিশাখাপত্তনম (তেলুগু: విశాఖపట్నం, পূর্বনাম বিজগাপত্তনম),[4] ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের সর্বাধিক জনবহুল ও বৃহত্তম শহর।[5] শহরটি পূর্ব ঘাট ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলের মাঝে অবস্থিত।[6][7] এটি চেন্নাই ও কলকাতার পরে ভারতের পূর্ব উপকূলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং দক্ষিণ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। বিশাখাপত্তনম স্মার্ট সিটিস মিশনের অধীনে নির্বাচিত অন্ধ্রপ্রদেশের চারটি স্মার্ট সিটির মধ্যে একটি।[8] শহরটি বিশাখাপত্তনম জেলা সদরের সদর দফতর হিসাবে কাজ করা।[9][10][11] আনুমানিক ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের আউটপুট সহ শহরটি ২০১৬ সালের হিসাবে ভারতের সামগ্রিক মোট দেশজ উৎপাদনে নবম বৃহত্তম অবদানকারী।[12][13] বিশাখাপত্তনমে পূর্ব নৌ কমান্ডের সদর দফতর অবস্থিত।[14]
বিশাখাপত্তনম বিজগ, ওয়াল্টেয়ার | |
---|---|
মহানগরী | |
ডাকনাম: গন্তব্য শহর, পূর্ব উপকূলের জুয়েল | |
অন্ধ্রপ্রদেশ ও ভারতে বিশাখাপত্তনম শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৭°৪১′১৮″ উত্তর ৮৩°১৩′০৭″ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | বিশাখাপত্তনম |
অন্তর্ভুক্ত (শহর) | ১৮৬৫ |
অন্তর্ভুক্ত (নগর) | ১৯৭৯ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসংস্থা |
• শাসক | জিভিএমস, ভিএমআরডিএ |
• মেয়র | পদ খালি রয়েছে |
আয়তন[1] | |
• মহানগরী | ৬৮১.৯৬ বর্গকিমি (২৬৩.৩১ বর্গমাইল) |
• মহানগর[2] | ৪,৮৭৩ বর্গকিমি (১,৮৮১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[3] | |
• মহানগরী | ১৭,২৮,১২৮ |
• ক্রম | ১৭তম (ভারত) প্রথম (অন্ধ্রপ্রদেশ) |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৬০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[2] | ৫৩,৪০,০০০ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৫৩০ ০XX, ৫৩১ ১XX |
টেলিফোন কোড | +৯১-৮৯১ |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি–৩১, এপি–৩২, এপি–৩৩, এপি–৩৪, এপি–৩৯ |
ওয়েবসাইট | গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পৌর কর্পোরেশন |
বিশাখাপত্তনমের ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পূর্ববর্তী সময়ে শুরু হয়। এটি সেই সময়ে কলিঙ্গ রাজ্যের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হত এবং পরে ভেঙ্গি, পল্লব এবং পূর্ব গঙ্গ রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়।[15] প্রত্নতাত্ত্বিক নথিগুলি থেকে জানাযায় যে বর্তমান শহরটি একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর কোন এক সময়ে নির্মিত হয় এবং পঞ্চদশ শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের দ্বারা বিজয় পর্যন্ত[15] শহরটির উপরে চোল রাজবংশ ও গজপতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ উঠানামা করে।[16][17] ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘলরা শহরটি জয় করে, পরে ইউরোপীয় শক্তিগুলি এই শহরে ব্যবসায়ের আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এটি অষ্টদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ফরাসী শাসনের অধীনে চলে যায়।[16][17] নিয়ন্ত্রণটি ১৮০৪ সালে ব্রিটিশ রাজের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে থেকে যায়।
শহরটিতে প্রাচীনতম শিপইয়ার্ড ও ভারতের পূর্ব উপকূলের একমাত্র প্রাকৃতিক বন্দর রয়েছে।[18] বিশাখাপত্তনম বন্দরটি ভারতের পঞ্চম-ব্যস্ততম পণ্যবাহী বন্দর এবং এই শহরে দক্ষিণ উপকূলীয় রেলের সদর দফতরে অবস্থিত। বিশাখাপত্তনম একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য এবং এটি সমুদ্র সৈকতের জন্য বিশেষত ভাবে পরিচিত।[19] শহরটিকে "গন্তব্য শহর" ও "পূর্ব উপকূলের জুয়েল" নামে ডাকা হয়।[10] এটি স্মার্ট সিটি মিশনের অধীনে স্মার্ট সিটি হিসাবে বিকাশিত ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। এটি ২০১৭ সালের স্বচ্ছতা জরিপ অনুসারে ভারতের তৃতীয় পরিষ্কার শহরের মর্যাদা অর্জন করে।[20]