Loading AI tools
ভারতীয় সমুদ্রবন্দর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিশাখাপত্তনম বন্দর হলো ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তনমে অবস্থিত একটি বৃহত্ত সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর দ্বারা অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যটির বেশির ভাগ সমুদ্র বাণিজ্য হয় এবং বন্দরটি ভারতের প্রধান ১৩ টি বন্দরের মধ্যে একটি।[3] এটি ভারতের গভীরতম বন্দর। বন্দরটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর অংশে অবস্থিত। এটি ভারতের পূর্ব উপকূলের একমাত্র প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক পোতাশ্রয়ের বন্দর। বন্দরটিতে ড্রাই ডক ও জাহাজ মেরামতির ব্যবস্থা রয়েছে। বন্দরটি ভারত এর পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এবং চেন্নাই এবং কলকাতা বন্দর-এর মাঝখানে অবস্থিত।[4]
বিশাখাপত্তনম বন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
অবস্থান | বিশাখাপত্তনম, অন্ধ্রপ্রদেশ |
বিস্তারিত | |
চালু | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৩৩ |
পরিচালনা করে | বিশাখাপত্তনম বন্দর কর্তিপক্ষ |
মালিক | জাহাজ মন্ত্রক, ভারত সরকার |
পোতাশ্রয়ের ধরন | স্বাভাবিক পোতাশ্রয় গভীর সমুদ্র বন্দর |
জমির আয়তন | ৩.০০ বর্গকিলোমিটার (১.১৬ মা২) |
উপলব্ধ নোঙরের স্থান | ২৪ |
পোতাশ্রয়ের গভীরতা | বাইরের পোতাশ্রয়-১৭ মিটার (৫৬ ফু) ভিতরের পোতাশ্রয়-১২.৫ মিটার (৪১ ফু) |
পরিসংখ্যান | |
বার্ষিক কার্গো টন | ৬৫ মিলিয়ন টন (২০১৮-১৯)[1] |
বার্ষিক আয় | ₹ ৬৬০ কোটি (ইউএস$ ৮০.৬৭ মিলিয়ন) (২০০৯-১০)[2] |
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য | লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ, কোকিং কয়লা, কোক, জিপসাম |
ওয়েবসাইট http://www.vizagport.com |
উনিশ শতকে মধ্য প্রদেশে প্রবেশের জন্য পূর্ব উপকূলে একটি বন্দর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, বিশাখাপত্তনমে একটি বন্দর নির্মাণের জন্য ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল্টির কর্নেল এইচ কার্টরাইট রিডের প্রস্তাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে। মধ্য প্রদেশগুলি থেকে ম্যাঙ্গানিজ আকরিক রফতানির সুবিধার্থে ইনার হারবারটি বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে ১৯২৭ এবং ১৯৩৩ সালের মধ্যে তৈরি করে। ১৯৩৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর লর্ড উইলিংডন ₹৩৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বন্দরটির উদ্বোধন করেন।[5] এটি ভারত স্বাধীনতার আগে প্রধান বন্দর গুলির মধ্যে একটি ছিল।[6]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বন্দরের সামরিক তাৎপর্য বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতার পরে বন্দরটি বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় সম্প্রসারিত হয়। সময়ের সাথে সাথে বন্দরটি, ৩ বার্থ দ্বারা বার্ষিকভাবে ১.৩ লক্ষ টন পণ্য পরিচালিত বন্দর থেকে ২৪ টি বার্থ এবং বার্ষিকভাবে ৬৫ মিলিয়ন টন পণ্য পরিচালিত বন্দরে সম্প্রসারিত হয়। ১৯৬৪ সালে প্রধান বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৬৩-এর অধীনে বন্দরটি একটি প্রধান বন্দর হিসাবে অবহিত করা হয়। এই আইনের অধীনে বন্দরটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিশাখাপত্তনম বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর কাছে।[5]
বিশাখাপত্তনম বন্দরের পোতাশ্রয়টি একটি স্বাভাবিক পোতাশ্রয়।এটি মোট তিনটি পোতাশ্রয় বা হারবার নিয়ে গঠিত। হারবার গুলি হল-বাইরের প্রোতাশ্রয়,ভেতরের পোতাশ্রয় ও সৎস হারবার। বাইরের পোতাশ্রয়টির গভীরতা ১৭ মিটার ও ভিতরের পোতাশ্রয়টি ১২.৫ মিটার গভীর।
এই বন্দরের পশ্চাৎভূমি উত্তর পূর্ব অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত।[7] আয়রন আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ আকরিক, ইস্পাত পণ্য, সাধারণ কার্গো, কয়লা এবং অপরিশোধিত তেল হ'ল এই বন্দরে প্রধান পণ্য।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.