সাপ
হাত-পাবিহীন দীর্ঘ, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
সাপ হাত-পা বিহীন দীর্ঘ শরীরের, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ। এদের চোখের পাতা এবং বহিকর্ণ না থাকায়, সাপ পা-বিহীন টিকটিকি থেকে আলাদা। বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, প্রাণী জগৎ (প্রাণী) জগতের, কর্ডাটা (কর্ডটা) পর্বের, ভার্টিব্রাটা (মেরুদণ্ডী) উপপর্বের বা শ্রেণীর, রেপটিলিয়া (সরোপ্সিডা) শ্রেণীর , Squamata বর্গের, Serpentes (সার্পেন্টেস) উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়। Squamata (স্কোয়ামান্টা) বর্গের সকলের মতোই সাপ এক্টোথার্মিক [from the Greek ἐκτός (ektós) "outside" and θερμός (thermós) "hot") যার অর্থ হল একটি অংশ যাতে অভ্যন্তরীণ তাপ উতপন্নকারী জৈবিক উৎস রয়েছে।
সাপ [সৌম্য] সময়গত পরিসীমা: ১৪.৫–০কোটি Cretaceous – বর্তমান | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Reptilia |
উপশ্রেণী: | Diapsida |
অধঃশ্রেণী: | Lepidosauromorpha |
মহাবর্গ: | Lepidosauria |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Serpentes Linnaeus, 1758 |
Infraorders and Families | |
|
এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে।[1][2] সুদূর উত্তর গোলার্ধের স্কান্ডিনেভিয়া থেকে দক্ষিণে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এদের বসবাসের বিস্তৃতি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশে প্রায় ষোলো হাজার ফিট (৪,৯০০ মি) ওপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও। আবার আশ্চর্যের ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (যদিও নিউজিল্যান্ড এর জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ্ এমন সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইট এর দেখা পাওয়া যায়)।
এদের আকার কখনও খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগর ও অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা।
বিষধর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন হয় এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে। কিছু সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা মৃত্যু ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকারে আসে, যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাপ একটি নিরীহ প্রাণী।