জাফর আস-সাদিক
ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি শিয়া মুসলমানদের মতে তিনি ছিলেন ৬ষ্ঠ ইমাম। / From Wikipedia, the free encyclopedia
জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাদিক (আরবি: جَعْفَرُ ٱبْنُ مُحَمَّدٍ ٱلصَّادِقُ; ৭০০ বা ৭০২ – ৭৬৫), যিনি জাফর আস-সাদিক বা কেবল আস-সাদিক নামেও পরিচিত, ছিলেন ৮ম শতাব্দীর একজন মুসলিম পণ্ডিত ও মনীষী।[4] ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি শিয়া মুসলমানদের মতে তিনি ছিলেন ৬ষ্ঠ ইমাম এবং জাফরি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা। সুন্নি মুসলমানদের মতে তিনি ইসলামি ধর্মতত্ত্ব, ফিকহশাস্ত্র, হাদিসশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র ও তাসাউফের একজন গুরুত্বপূর্ণ আলেম এবং হানাফি ও মালিকি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফা ও মালিক ইবনে আনাসের শিক্ষক ছিলেন।[5][6] ধর্মীয় জ্ঞানের বিভিন্ন অনুষদে তার বিস্তৃত অবদান সত্ত্বেও জাʿফরের লিখিত কোনো গ্রন্থই বর্তমানে বিদ্যমান নেই।[7]
জাʿফ়র আস়-স়াদিক় جَعْفَرُ ٱلصَّادِقُ | |||||
---|---|---|---|---|---|
আল-ইমাম আস়-স়াদিক[1] আল-ফাদ়িল আত়-ত়াহির | |||||
৬ষ্ঠ ইমাম (শিয়া ইসলাম) | |||||
ইমামত | ৭৩২–৭৬৫ খ্রি. | ||||
পূর্বসূরি | মুহম্মদ আল-বাকির | ||||
উত্তরসূরি | বিতর্কিত ইসনা আশারিয়া: মুসা আল-কাজিম ইসমাইলি: ইসমাইল ইবনে জাফর ফতহিয়া: আব্দুল্লাহ আল-আফতাহ শুমাত্তিয়া: মুহম্মদ ইবনে জাফর আলী আল-উরাইদ়ী ইবনে জাফর | ||||
জন্ম | জাʿফ়র ইবনে মুহ়ম্মদ ২৩ এপ্রিল ৭০২ (১৭ রবিউল আউয়াল ৮৩ হিজরি) মদীনা, হেজাজ, উমাইয়া সাম্রাজ্য | ||||
মৃত্যু | ১৪ ডিসেম্বর ৭৬৫(765-12-14) (বয়স ৬৩) (২৫ শাওয়াল ১৪৮ হিজরি) মদীনা, হেজাজ, আব্বাসীয় সাম্রাজ্য | ||||
সমাধি | |||||
দাম্পত্য সঙ্গী | ফাতিমা বিনত আল-হোসাইন আল-আসরাম হামিদা খাতুন[2] | ||||
সন্তান | তালিকা
| ||||
| |||||
স্থানীয় নাম | جَعْفَرُ ٱبْنُ مُحَمَّدٍ ٱلصَّادِقُ | ||||
বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | মুহম্মদ আল-বাকির | ||||
মাতা | ফারওয়া বিনত আল-কাসিম | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
পেশা | ইমাম, ফকীহ, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, মুতাকাল্লিম, মুজতাহিদ |
জাʿফর ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও মনীষী। তিনি পিতার দিক থেকে ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলীর এবং মাতার দিক থেকে ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকরের বংশধর ছিলেন। নবী মুহাম্মদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তিনি বারো ইমামের অন্যতম। নবীবংশের ষষ্ঠ ইমাম হিসেবে তিনি শিয়া সম্প্রদায় কর্তৃক মান্য।[8]
আস-সাদিকের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারের প্রশ্নটি ছিল শিয়াদের মধ্যে বিভেদের কারণ। একদল তার বড় পুত্র ইসমাইল ইবনে জাফরকে (যিনি তার পিতার আগেই মারা গিয়েছিলেন) পরবর্তী ইমাম হিসাবে বিবেচনা করেছিল এবং আরেকদল তার তৃতীয় পুত্র মুসা আল-কাজিমকে ইমাম হিসাবে গ্রহণ করেছিল। প্রথম দলটি ইসমাইলি এবং দ্বিতীয় দলটি ইসনা আশারিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে।[9][10]