হোসাইন ইবনে আলী
মুহাম্মদের নাতি ও তৃতীয় ইমাম / From Wikipedia, the free encyclopedia
হুসাইন ইবনে আলি রদিয়াল্লাহুয়ানহুমা (আরবি: ٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ, প্রতিবর্ণীকৃত: Al-Ḥusayn ibn ʿAlī; ১০ জানুয়ারি ৬২৬ – ১০ অক্টোবর ৬৮০) ছিলেন ইসলামের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৌহিত্র এবং আলি রদিয়াল্লাহুয়ানহু ও ফাতিমার রদিয়াল্লাহুয়ানহা এর পুত্র।[10] মুসলমানরা তাঁকে আহল আল-কিসা ও আহল আল-বাইতের একজন সদস্য হিসেবে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে। তিনি সুন্নি ইসলামের একজন গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং শিয়া ইসলামের তৃতীয় ইমাম।
হুসাইন ইবনে আলি রদিয়াল্লাহুয়ানহুমা ٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ | |||||
---|---|---|---|---|---|
ইমাম[3] আশ-শহীদ[4] আর-রশীদ আস-সিবত় আত-তৈয়িব আল-ওয়াফী[4] আল-মুবারক সৈয়দ আশ-শুহাদা[5] আত-তাবী লি মর্দাতুল্লাহ সৈয়দু শবাবি আহলিল জান্নাহ | |||||
৩য় ইমাম শিয়া ইসলাম | |||||
ইমামত | ৬৭০ – ৬৮০ খ্রি. | ||||
পূর্বসূরি | হ়াসান ʾইবনে ʿআলী | ||||
উত্তরসূরি | আলী ইবনে হোসেন জয়নুল আবিদীন ( জায়েদি ; ইসমাঈলি ও ইসনা আশারিয়া) মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া ( কায়সানিয়) | ||||
জন্ম | হ়োসাইন ʾইবনে ʿআলী ৮ জানুয়ারি ৬২৬ (৩ শাবান ৪ হিজরি)[6] মদীনা, হেজাজ, আরব উপদ্বীপ | ||||
মৃত্যু | ১০ অক্টোবর ৬৮০(680-10-10) (বয়স ৫৫) (১০ মুহররম ৬১ হিজরি) কারবালা, ইরাক, উমাইয়া সাম্রাজ্য | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | শহরবানু রুবাব বিনতে ইমরুল কায়েস লায়লা বিনতে আবী মুররাহ আস-সাকাফী উম্মে ইসহাক বিনতে তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ[7] | ||||
সন্তান | আলী ইবনে হোসাইন জয়নুল আবিদীন সকিনা আলী আকবর ইবনে হোসাইন সুকয়না আলি আসগর ইবনে হুসাইন ফাতিমা আস-সুগরা[8] | ||||
| |||||
স্থানীয় নাম | ٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب | ||||
বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম (আলীয়) | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | ʿআলী ʾইবনে আবী ত়ালিব | ||||
মাতা | ফাত়িমা বিনতে মুহ়ম্মদ | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
মৃত্যুর কারণ | কারবালার যুদ্ধে উমাইয়া সেনাবাহিনী কর্তৃক শিরশ্ছেদ | ||||
সমাধি | ইমাম হোসেনের মাজার, কারবালা প্রদেশ, ইরাক ৩২°৩৬′৫৯″ উত্তর ৪৪°১′৫৬.২৯″ পূর্ব | ||||
স্মৃতিস্তম্ভ | ইরাক, সিরিয়া, মিশর | ||||
অন্যান্য নাম | উচুঞ্জু আলী (তৃতীয় আলী) তুর্কি: Üçüncü Ali | ||||
পরিচিতির কারণ | কারবালার যুদ্ধে শাহাদাতবরণ | ||||
প্রতিদ্বন্দ্বী | ইয়াজ়িদ ʾইবনে মুʿয়াবিয়া | ||||
আত্মীয় | মুহ়ম্মদ ইবনে ʿআব্দুল্লাহ ﷺ (পিতামহ) হ়াসান ʾইবনে ʿআলী (ভাই) | ||||
উমাইয়া শাসক মুয়াবিয়া রা. ইবনে আবী সুফিয়ান মৃত্যুর পূর্বে হাসান–মুয়াবিয়া চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে স্বীয় পুত্র ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়াকে তার উত্তরসূরি হিসাবে নিযুক্ত করে যান।[11] ৬৮০ সালে মুয়াবিয়া মৃত্যুবরণ করলে ইয়াজিদ হোসাইনের কাছে তার প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করতে বলেন। হোসাইন ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে অস্বীকৃতি জানান। ঘটনাক্রমে তিনি ৬০ হিজরিতে মক্কায় আশ্রয় নেবার উদ্দেশ্য তার নিজ শহর মদিনা ত্যাগ করেন।[11][12] সেখানে কুফার লোকেরা তার কাছে চিঠি পাঠিয়ে তার সাহায্য প্রার্থনা করে এবং তার প্রতি তাদের আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছু অনুকূল ইঙ্গিত পেয়ে তিনি তার আত্মীয়স্বজন ও অনুসারীদের একটি ছোট কাফেলা নিয়ে কুফার অভিমুখে যাত্রা করেন।[11][13] কিন্তু কারবালার নিকটে ইয়াজিদের সেনাবাহিনী তার কাফেলাটির পথরোধ করে। ৬৮০ সালের ১০ই অক্টোবরে (১০ মুহররম ৬১ হিজরি) সংঘটিত কারবালার যুদ্ধে ইয়াজিদের বাহিনী হোসাইন ইবনে আলীকে শিরশ্ছেদ করে, তার পরিবারের সদস্য—তার ছয় মাসের ছেলে আলী আসগরও ছিলেন যাঁদের একজন—ও অনুচরদের হত্যা করে এবং মহিলা এবং শিশুদের যুদ্ধবন্দী হিসেবে ধরে নিয়ে যায়।[11][14] হোসাইনের মৃত্যুর ফলে সৃষ্ট ক্রোধ একটি বেদনাদায়ক ক্রন্দনে রূপান্তরিত হয় যা উমাইয়া খিলাফতের বৈধতা ক্ষুণ্ন করতে এবং অবশেষে আব্বাসীয় বিপ্লব দ্বারা এর পতনে সহায়তা করে।[15][16]