আহল আল-কিসা
From Wikipedia, the free encyclopedia
আহল আল-কিসা (আরবি: أَهْل ٱلْكِسَاء, প্রতিবর্ণীকৃত: ʾAhl al-Kisāʾ; উর্দু: پنجتن پاک, প্রতিবর্ণী. Panjtan Pāk; বাংলা: পাক পাঞ্জতন, প্রতিবর্ণীকৃত: Pāk Panjtôn) বা চাদরাবৃত মানুষজন হলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদ ﷺ, তাঁর কন্যা ফাতিমা, তাঁর চাচাতো ভাই ও জামাতা আলী এবং তাঁর দুই দৌহিত্র হাসান ও হোসাইন।[1]
তাঁদের ʾআল আল-ʿআবাʾ (আরবি: آل ٱلْعَبَاء, প্রতিবর্ণীকৃত: ʾĀl al-ʿAbāʾ) এবং ফার্সিতে পঞ্জতন (ফার্সি: پنج تن, প্রতিবর্ণীকৃত: Panj Tan) নামেও সম্বোধন করা হয়। এই বিশ্বাসের উৎস কুরআনের পরিশোধনের আয়াত (সূরা আহযাবের ৩৩নং আয়াত), মুবাহালার আয়াত (সূরা আল-ইমরানের ৫৯-৬১নং আয়াত), মুবাহালার ঘটনা এবং চাদরের হাদিসে খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত হাদিসটি সুন্নি ও শিয়া উভয় সূত্রে সহীহ হিসেবে স্বীকৃত। তবে সুন্নিরা এটিকে শিয়াদের থেকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন। এটি শিয়া ইমামত তত্ত্বের অন্যতম ভিত্তি যা দাবি করে যে নবীকন্যার পিতৃসূত্রীয় বংশধররা মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর বিশেষ আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের অধিকারী। আহল আল-কিসা এবং তাঁদের বংশোদ্ভূত ইমামগণ মিলে শিয়া সংজ্ঞানুযায়ী আহল আল-বাইত বা নবীপরিবার গঠন করেন।
শিয়া ইসলামের প্রধান তিনটি শাখা আহল আল-কিসা ও ইমামদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে থাকে। দুটি বৃহৎ উপদল ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি শিয়ারা তাদের মাসুম বা অভ্রান্ত বলে গণ্য করে: একটি বিশ্বাস যা কুরআনের পরিশোধনের আয়াত ([কুরআন ৩৩:৩৩]) থেকে উৎপত্তিলাভ করেছে। জায়েদি শিয়ারা পাঞ্জতন পাকের নিষ্কলুষ ও অভ্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করলেও পরবর্তী ইমামদের ইসমাহ বা অভ্রান্ততায় বিশ্বাস করে না।
পাক-পাঞ্জাতন শব্দের অর্থ পবিত্র পাঁচজন। আহলে বাইতের পাঁচজন সদস্য অর্থাৎ হযরত ফাতিমা , তাঁর স্বামী হযরত আলী, এঁদের দুই পুত্র হযরত হাসান ও হযরত হোসাইন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা.)— এই পাঁচজন পবিত্র ব্যক্তিকে একত্রে বলা হয় পাক পাঞ্জাতন। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। আর আহলে বাইত তাঁর থেকে পৃথক নন; তাঁরা রাসুল্লাহ্ (সা.)-এর অবিচ্ছিন্ন অংশ। তাই পাক পাঞ্জাতনও সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ।[2][3]