![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/0f/Aung_San_Suu_Kyi_%2526_Min_Aung_Hlaing_collage.jpg/640px-Aung_San_Suu_Kyi_%2526_Min_Aung_Hlaing_collage.jpg&w=640&q=50)
২০২১-এ মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল / From Wikipedia, the free encyclopedia
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সুচি সরকারের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনার পর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির তারিখে সকাল বেলায় মিয়ানমারে একটি সেনা অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। এই দিনে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। [1]এই অভিযানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সুচি, রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট, এবং ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতাদের মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাতমাডো কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মিলিটারি নিশ্চিত করে যে, দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং ক্ষমতা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নতুন সামরিক সরকার ২০২০ সালের মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে নতুন নির্বাচনের আশ্বাস দেয়। ২০২০ সালের মিয়ানমারের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নেওয়ার আগের দিনেই অভ্যূত্থান সংগঠিত হয় এবং শপথ অনুষ্ঠানটি বানচাল হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে তাদের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাথে আটক করা হয়।
২০২১-এ মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক সংকট | |||||||
![]() মিয়ানমারের সাবেক রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি (বামে), এবং অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল মিন অং হ্লাইং (ডানে) | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
![]() সমর্থন ![]() ![]() ![]() |
![]() সমর্থন ![]() | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
![]() (মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা) ![]() (মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি) |
![]() ![]() (মিয়ানমারের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি) | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
নেই |
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ এ, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা ২৫ এর অধীনে প্রচারাভিযানের নির্দেশিকা এবং কোভিড-১৯ মহামারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অং সান সু চিকে জরুরি কোভিড-১৯ আইন লঙ্ঘন করার জন্য এবং বেআইনিভাবে রেডিও এবং অন্যান্য যোগাযোগ ডিভাইস আমদানি ও ব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মূলত তার নিরাপত্তা দলের কাছে ছয়টি আইসিএম ডিভাইস এবং একটি ওয়াকি-টকি পাওয়া যায়, যার ব্যবহার মিয়ানমারে সীমাবদ্ধ এবং সামরিক-সম্পর্কিত ছাড়পত্রের প্রয়োজন। পরবর্তীতে দুজনকেই দুই সপ্তাহের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
এরপর অং সান সু চির নামে ১৬ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের জন্য একটি অতিরিক্ত ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। পরপর কমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘনের জন্য দুটি অতিরিক্ত মামলা এবং ১ মার্চ জনসাধারণে অশান্তি উসকে দেওয়ার চেষ্টা এবং ১ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের জন্য আরেকটি অভিযোগ আনা হয়।
১২ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত শিশুসহ অন্তত ৭০৭ জন বেসামরিক নাগরিক সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৩,০৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তিনজন এনএলডির সদস্য মারাও গিয়েছে।