শ্রীলঙ্কা
দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রীলঙ্কা (ইউকে: /sri
শ্রীলঙ্কা প্রজাতান্ত্রিক সমাজবাদী জনরাজ্য | |
---|---|
রাজধানী | শ্রী জয়বর্ধনপুর কোট্টে (বিধানিক)[1] কলম্বো (নির্বাহী ও বিচারিক)[2] ৬°৫৬′ উত্তর ৭৯°৫২′ পূর্ব |
বৃহত্তম নগরী | কলম্বো |
সরকারি ভাষা | |
স্বীকৃত ভাষা | ইংরেজি |
নৃগোষ্ঠী (২০১২[4]) | ৭৪.৯% সিংহল ১১.২% শ্রীলঙ্কান তামিল ৯.২% শ্রীলঙ্কান মূর ৪.২% ভারতীয় তামিল ০.৫% অন্যান্য (বার্ঘার, মালয়, বেদ্দ, চীনা, ভারতীয়-সহ) |
ধর্ম (২০১২) | ৭০.২% বৌদ্ধধর্ম (রাষ্ট্রধর্ম)[5][6] ১২.৬% হিন্দুধর্ম ৯.৭% ইসলাম ৭.৪% খ্রিষ্টধর্ম ০.১% অন্যান্য |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | শ্রীলঙ্কান |
সরকার | এককেন্দ্রিক অর্ধ-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র |
রনিল বিক্রমসিংহ[7] | |
• আইনসভার সভাধ্যক্ষ | মহিন্দ যাপা অবেবর্ধন[8] |
• প্রধান বিচারপতি | জয়ন্ত জয়সূর্য |
আইন-সভা | আইনসভা |
গঠন | |
৫৪৩ খ্রি.পূ. | |
৪৩৭ খ্রি.পূ. | |
• ক্যান্ডীয় যুদ্ধ | ১৭৯৬ |
• ক্যান্ডির চুক্তি স্বাক্ষরিত | ১৮১৫ |
• স্বাধীনতা | ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ |
২২ মে ১৯৭২ | |
৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ | |
আয়তন | |
• মোট | ৬৫,৬১০ কিমি২ (২৫,৩৩০ মা২) (১২০তম) |
• পানি (%) | ৪.৪ |
জনসংখ্যা | |
• ২০২০ আনুমানিক | ২২,১৫৬,০০০[11] (৫৭তম) |
• ২০১২ আদমশুমারি | ২০,২৭৭,৫৯৭[12] |
• ঘনত্ব | ৩৩৭.৭/কিমি২ (৮৭৪.৬/বর্গমাইল) (২৪শ) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | $৩০৬.৯৯৭ বিলিয়ন[13] (৫৬তম) |
• মাথাপিছু | $১৩,৯০৯[13] (৮৮তম) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | $৮৪.৫৩২ বিলিয়ন[13] (৬৪তম) |
• মাথাপিছু | $৩,৮৩০[13] (১১৩তম) |
জিনি (২০১৬) | ৩৯.৮[14] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | ০.৭৮২[15] উচ্চ · ৭২তম |
মুদ্রা | শ্রীলঙ্কান রুপি (Rs) (LKR) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+০৫:৩০ (শ্রীমাস) |
তারিখ বিন্যাস |
|
গাড়ী চালনার দিক | বাঁদিক |
কলিং কোড | +৯৪ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | LK |
ইন্টারনেট টিএলডি |
|
ওয়েবসাইট www |
শ্রীলঙ্কার নথিভুক্ত ইতিহাস ৩,০০০ বছর পুরনো, যেখানে প্রাগৈতিহাসিক মানববসতির প্রমাণ রয়েছে যা কমপক্ষে ১২৫,০০০ বছর আগের।[16] দেশটির একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রাচীনতম পরিচিত বৌদ্ধ রচনাবলি, যা সম্মিলিতভাবে পালি ত্রিপিটক নামে পরিচিত, চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির সময় রচিত, যা ২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সংঘটিত হয়েছিল।[17][18] শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থান ও গভীর পোতাশ্রয় প্রাচীন রেশম পথ বাণিজ্য গমনপথের আদিকাল থেকে আজকের তথাকথিত সামুদ্রিক রেশম পথ পর্যন্ত এটিকে দারুণ কৌশলগত গুরুত্ব প্রদান করেছে।[19][20][21] এর অবস্থান এটিকে একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত করেছিল, যার ফলে এটি ইতোমধ্যেই সুদূর প্রাচ্যেদেশীয় ও ইউরোপীয়দের কাছে অনুরাধাপুর যুগ থেকেই পরিচিত ছিল। দেশটির বিলাসদ্রব্য ও মশলার ব্যবসা বহু দেশের ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করেছিল, যা শ্রীলঙ্কার বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা তৈরিতে সাহায্য করেছিল। সিংহল কোট্টে রাজ্যে একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের সময় পর্তুগিজরা শ্রীলঙ্কায় (মুখ্যত দুর্ঘটনাক্রমে) এসে পৌঁছয় এবং তারপর দ্বীপের সামুদ্রিক অঞ্চল ও এর লাভজনক বাহ্যিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। শ্রীলঙ্কার কিছু অংশ পর্তুগিজদের দখলে চলে যায়। সিংহল-পর্তুগিজ যুদ্ধের পর ওলন্দাজ ও ক্যান্ডি রাজ্য সেই অঞ্চলগুলির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওলন্দাজ দখলিগুলো এরপর ব্রিটিশরা দখল করে নেয়, যারা পরবর্তীতে ১৮১৫ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত উপনিবেশায়নের মাধ্যমে পুরো দ্বীপের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করে। ২০শ শতাব্দীর প্রারম্ভে রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য একটি জাতীয় আন্দোলন শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে সিলন একটি অধিরাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালে শ্রীলঙ্কা নামক প্রজাতন্ত্র অধিরাজ্যটিকে স্থলাভিষিক্ত করে। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাস একটি ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছিল, যখন শ্রীলঙ্কা সশস্ত্র বাহিনীর কাছে লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ঈলম পরাজিত হয়েছিল।[22]
আজ শ্রীলঙ্কা একটি বহুজাতিক রাষ্ট্র, বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিসত্তার আবাসস্থল। সিংহল জাতি দেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। তামিল জাতি, যারা একটি বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, তারাও দ্বীপটির ইতিহাসে একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছে। অন্যান্য দীর্ঘকালীন প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে মূর, বার্ঘার, মালয়, চীনা এবং আদিবাসী বেদ্দ।[23]
শ্রীলঙ্কা চা, কফি, নারিকেল, রাবার উৎপাদন ও রফতানিতে বিখ্যাত। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংবলিত সমুদ্রসৈকত, ভূদৃশ্য তদুপরী সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শ্রীলঙ্কাকে সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।