মুক্তিবাহিনী
স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালি সেনা, ছাত্র ও সাধারণ জনতা নিয়ে গঠিত একটি সামরিক বাহিনী / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুক্তিবাহিনী বা মুক্তিফৌজ হল ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালি সেনা, ছাত্র ও সাধারণ জনতার সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক বাহিনী। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ধীরে ধীরে সাধারণ বাঙ্গালীদের এই বাহিনী গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্যরা "বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী" গঠন করেন এবং জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী প্রধান সেনাপতি পদ গ্রহণ করেন।[3] এই সময় ভারত বাংলাদেশকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। সাধারণ জনতা যুদ্ধকালীন সময়ে নিরলসভাবে এই বাহিনীকে সাহায্য করে। যুদ্ধের পর পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বাংলাদেশের সকল সেনা ও জনতার বাহিনীকে "মুক্তিবাহিনী" হিসেবে সম্বোধন করা হয়। মুক্তিবাহিনী বেশিরভাগ সময়ই গেরিলা যুদ্ধের নীতি অবলম্বন করে শত্রু পক্ষকে ব্যাতিব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করতো। মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকৌশল অনেকটা বিপ্লবী চে গুয়েভারার দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলো বলে মনে করা হয়[4] এবং একে বিভিন্ন সময় ফরাসি মাকি বাহিনী, ভিয়েত কং এবং মার্শাল টিটোর গেরিলা বাহিনীর তুলনা করা হতো এর রণকৌশল ও কার্যকারীতার কারণে।[5]
মুক্তিবাহিনী | |
---|---|
মুক্তি | |
নেতা | মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, প্রধান সেনাপতি মোহাম্মদ আবদুর রব, সেনাপ্রধান আবদুল করিম খন্দকার, উপ-সেনা প্রধান |
অপারেশনের তারিখ | মার্চ - ডিসেম্বর ১৯৭১ |
গোষ্ঠী | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ∟ কে ফোর্স ∟ এস ফোর্স ∟ জেড ফোর্স বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস বাংলাদেশ আনসার বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষ গেরিলা বাহিনী ∟ মুজিব বাহিনী ∟ কাদের বাহিনী ∟ হেমায়েত বাহিনী ∟ আফসার বাহিনী দাস পার্টি ক্র্যাক প্ল্যাটুন |
সক্রিয়তার অঞ্চল | বাংলাদেশ |
মতাদর্শ | বাঙালি জাতীয়তাবাদ ১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করা[1] |
এর অংশ | ১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার[2] |
মিত্র | ভারত |
বিপক্ষ | পাকিস্তান |
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ | গাজীপুরের যুদ্ধ, গোয়ালহাটির যুদ্ধ, গরিবপুরের যুদ্ধ, ধলাইয়ের যুদ্ধ, রাঙ্গামাটির যুদ্ধ, কুষ্টিয়ার যুদ্ধ, দরুইনের যুদ্ধ, অপারেশন বরিশাল, অপারেশন জ্যাকপট |