![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f7/Kankalini_Temple_5983.jpg/640px-Kankalini_Temple_5983.jpg&w=640&q=50)
মধেশ প্রদেশ
নেপালের প্রদেশ / From Wikipedia, the free encyclopedia
মধেশ প্রদেশ[2] (নেপালি: मधेश प्रदेश) নেপালের নতুন সংবিধান অনুসারে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি প্রদেশ। এটি জনসংখ্যার দিক থেকে নেপালের দ্বিতীয় জনবহুল[3] কিন্তু আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট প্রদেশ। এর পূর্বে কোশি প্রদেশ, উত্তরে বাগমতী প্রদেশ এবং দক্ষিণে ভারত। এর আয়তন প্রায় ৯,৬৬১ কিমি২ (৩,৭৩০ মা২) এবং ২০১১ নেপাল জনগণনা অনুসারে জনসংখ্যা প্রায় ৫৪,০৪,১৪৫ জন। এটি নেপালের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশ।[4]
মধেশ প্রদেশ मधेश प्रदेश | |
---|---|
প্রদেশ | |
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটা অনুসারে জানকী মন্দির, নেপালের প্রবেশদ্বার বীরগঞ্জ, গঢিমাই মন্দির, কোশী বাঁধ, ছিন্নমস্তা মন্দির এবং কঙ্কালিনী মন্দির | |
![]() প্রদেশ নং ২ এর অবস্থান | |
দেশ | ![]() |
প্রতিষ্ঠা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
রাজধানী | জনকপুর (অস্থায়ী) |
বৃহত্তম শহর | বীরগঞ্জ |
জেলা | ৮ |
সরকার | |
• শাসক | প্রদেশ নং ২ সরকার |
• গভর্নর | তিলক পরিয়ার[1] |
• মুখ্যমন্ত্রী | মোহাম্মদ লালবাবু রাউত গদধী (এফএসএফএন) |
• উচ্চ আদালত | জনকপুর উচ্চ আদালত |
• প্রদেশ সভা | এককক্ষবিশিষ্ট (১০৭ আসন) |
• সংসদীয় আসন | ৩২ |
আয়তন | |
• মোট | ৯,৬৬১ বর্গকিমি (৩,৭৩০ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৭ম |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫৪,০৪,১৪৫ |
• ক্রম | ২য় |
• জনঘনত্ব | ৫৬০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল) |
• ঘনত্বের ক্রম | ১ম |
বিশেষণ | মধেশী (দক্ষিণ নেপালি) |
সময় অঞ্চল | এনএসটি (ইউটিসি+৫:৪৫) |
এলাকা কোড | ০৪১ |
ভাষাসমূহ | ১. মৈথিলী (৪৫.৩০%) ২. ভোজপুরী (১৮.৫৮%) ৩. বাজ্জিকা (১৪.৭%) ৪. নেপালি (৬.৬৭%) (নেপালের সংবিধান অনুসারে সরকারি ভাষা) |
এইচডিআই | ০.৪৮৫ (নিম্ন) |
সাক্ষরতা | ৪৯.৫৪% |
মানব লিঙ্গানুপাত | ১০১.১৮ ♂ /১০০ ♀ (২০১১) |
ওয়েবসাইট | http://p2.gov.np |
পূর্বে কোশী নদী এবং কোশী তাপ্পু বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম প্রদেশ নং ১ ও ২ এর মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণ করে। পশ্চিমে চিতবন জাতীয় উদ্যান এবং পারসা জাতীয় উদ্যানের (পূর্বোক্ত বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম) মধ্যবর্তী সীমানা প্রদেশ নং ২ ও ৩ এর সীমানা নির্ধারণ করে।
পূর্বে সপ্তরী জেলা থেকে পশ্চিমে পারসা জেলা পর্যন্ত আটটি জেলা এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। প্রদেশের অধিকাংশ মানুষ মৈথিলী, ভোজপুরী, বাজ্জিকা ও নেপালি ভাষায় কথা বলে।[4]
প্রদেশের রাজধানী জনকপুর (উপমহানগর, জনকপুরধাম নামেও পরিচিত) একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পর্যটনকেন্দ্র।[5][6] ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে মিথিলা অঞ্চলে রাজত্ব করা বিদেহ সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল জনকপুর।[5]
নেপালের প্রথম পরিকল্পিত নগরপালিকা রাজবিরাজ তরাইয়ের অন্যতম প্রাচীন নগরপালিকা।[7][8] ১৭শ শতকে প্রতিষ্ঠিত রাজদেবী মন্দিরের নামানুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রদেশের একমাত্র নগরপালিকা বীরগঞ্জ একটি অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র।[9][10][11][12][13]
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে জনকপুর প্রদেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাজধানী ঘোষণা করা হয়।[14] মুহাম্মদ লালবাবু রাউত গদধি প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।[15][16]