ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড
ক্রিকেট মাঠ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ক্রিকেট মাঠ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড (ইংরেজি: Bristol County Ground) ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে অবস্থিত প্রাচীন ক্রিকেট মাঠ। সম্প্রচারস্বত্ত্বজনিত কারণে এ স্টেডিয়ামটি ব্রাইটসাইড গ্রাউন্ড নামে পরিচিতি পাচ্ছে।[1] এছাড়াও, এ মাঠটি নেভিল রোড নামে পরিচিত। অ্যাশলে ডাউন জেলায় এর অবস্থান। গ্লুচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান অনুশীলনী মাঠ এটি।
ফ্রাইজ গ্রাউন্ড, নেভিল রোড | |||
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |||
---|---|---|---|
অবস্থান | নেভিল রোড, অ্যাশলে ডাউন, ব্রিস্টল | ||
দেশ | ইংল্যান্ড | ||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৮৯ | ||
ধারণক্ষমতা | ৮,০০০ আন্তর্জাতিকের জন্য ১৭,৫০০ | ||
প্রান্তসমূহ | |||
ব্রিস্টল প্যাভিলিয়ন এন্ড অ্যাশলে ডাউন রোড এন্ড | |||
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য | |||
প্রথম পুরুষ ওডিআই | ১৩ জুন ১৯৮৩: নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা | ||
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই | ৫ মে ২০১৭: ইংল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ড | ||
প্রথম পুরুষ টি২০আই | ২৮ আগস্ট ২০০৬: ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান | ||
সর্বশেষ পুরুষ টি২০আই | ২৫ জুন ২০১১: ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা | ||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||
| |||
৫ মে ২০১৭ অনুযায়ী উৎস: ক্রিকইনফো |
শুরুতে এ মাঠটি অ্যাশলে ডাউন গ্রাউন্ড নামে পরিচিত ছিল। বিখ্যাত ক্রিকেটার ডব্লিউ. জি. গ্রেস ১৮৮৯ সালে এ মাঠটি ক্রয় করেছিলেন। এরপর থেকেই গ্লুচেস্টারশায়ার কর্তৃপক্ষ চিরকালের জন্য দখল করে নেয়। স্থানীয় কনফেকশনারী ফার্ম জে. এস. ফ্রাই এন্ড সন্সের কাছে বিক্রয় করা হয় ও ফ্রাই’স গ্রাউন্ড নামে পুণঃনামাঙ্কিত হয়। ১৯৭৬ সালে এটি পুনরায় বিক্রয় করা হয়। এবার রয়্যাল এন্ড সান অ্যালায়েন্স কর্তৃপক্ষ নাম পরিবর্তন করে আট বছরের জন্য ফোনিক্স কাউন্টি গ্রাউন্ড রাখে। এরপর ক্লাবের কাছে পুনরায় হস্তান্তরের পূর্বে এর নাম ছিল রয়্যাল এন্ড সান অ্যালায়েন্স কাউন্টি গ্রাউন্ড। এরপর থেকেই বর্তমান নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অধিকাংশ কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সাথে তুলনান্তে দীর্ঘ সীমানা রয়েছে। ১৯৬০ সালে টি. এইচ. বি. বোরা’র নকশায় প্রায় ৩০ বর্গফুটের আটটি কংক্রিটের ছাদ নির্মাণ করা হয়। এগুলো বর্তমানে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
জুলাই, ২০০৯ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার সি.সি.সি. কর্তৃপক্ষ ২০০০০ দর্শক ধারনের লক্ষ্যে মাঠ পুণর্গঠনের কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে। এরফলে মাঠটি একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পাবে।[2][3] বর্তমানে এখানে বিশ্বমানের গণমাধ্যম কেন্দ্র ও সম্মেলন কেন্দ্রের সুবিধাদি রয়েছে। এ পরিকল্পনায় অর্থসংগ্রহের লক্ষ্যে ছাত্রদেরকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হয়। মার্চ, ২০১০ সালে ব্রিস্টল সিটি কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ নতুন মাঠের কার্যক্রমের উদ্বোধন করে।[4]
সচরাচর প্রতি বছরে একবার একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অস্থায়ীভাবে মাঠের দর্শক ধারনে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কার, ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। এছাড়াও, ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখানে চারটি খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ মাঠে সর্বমোট পাঁচটি ওডিআই সেঞ্চুরি হয়েছে।[5]
নং | রান | খেলোয়াড় | দল | বল | প্রতিপক্ষ | তারিখ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১০৪* | রাহুল দ্রাবিড় | ভারত | ১০৯ | কেনিয়া | ২৩ মে ১৯৯৮ | জয় |
২ | ১৪০* | শচীন তেন্ডুলকর (১/২) | ভারত | ১০১ | কেনিয়া | ২৩ মে ১৯৯৮ | জয় |
৩ | ১০২ | রিকি পন্টিং | অস্ট্রেলিয়া | ১০১ | ইংল্যান্ড | ১০ জুন ২০০১ | জয় |
৪ | ১১৩ | শচীন তেন্ডুলকর (২/২) | ভারত | ১০১ | শ্রীলঙ্কা | ১১ জুলাই ২০০২ | জয় |
৫ | ১০৬ | অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ | ইংল্যান্ড | ১২১ | নিউজিল্যান্ড | ৪ জুলাই ২০০৪ | পরাজয় |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.