বেহালা, কলকাতা
কলকাতার একটি অঞ্চল / From Wikipedia, the free encyclopedia
বেহালা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ কলকাতার একটি অঞ্চল। ১৯৮৪ সালের আগে বেহালা ছিল দক্ষিণ শহরতলি পৌরসভার অংশ। সেই বছর জানুয়ারি মাসে উক্ত পৌরসভাটি কলকাতা পৌরসংস্থার অঙ্গীভূত হলে বেহালা কলকাতার অন্তর্ভুক্ত হয়।[4] বর্তমানে উক্ত পৌরসংস্থার ১১৮, ১১৯, ১২০, ১২১, ১২২, ১২৩, ১২৪, ১২৫, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১ ও ১৩২ নং ওয়ার্ডগুলি বেহালা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। সমগ্র অঞ্চলটি বেহালা পশ্চিম ও বেহালা পূর্ব নামে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভক্ত। দুটি বিধানসভা কেন্দ্রই কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।[5] সমগ্র এলাকাটি কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ পশ্চিম বিভাগের বেহালা, পর্ণশ্রী পল্লী, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, সরশুনা ও তারাতলা থানার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার অন্তর্গত।[6] বেহালার উত্তর দিকে মাঝেরহাট ও নিউ আলিপুর, পূর্ব দিকে আদিগঙ্গা, পশ্চিম দিকে মহেশতলা পুরসভা এবং দক্ষিণে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের গ্রামীণ এলাকা অবস্থিত।
বেহালা | |
---|---|
কলকাতার অঞ্চল | |
কলকাতায় বেহালার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২.৪৯৮১° উত্তর ৮৮.৩১০৮° পূর্ব / 22.4981; 88.3108 | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
শহর | কলকাতা |
জেলা | কলকাতা[1][2][3] |
নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশন | সখেরবাজার (নির্মীয়মান), বেহালা চৌরাস্তা (নির্মীয়মান), বেহালা বাজার (নির্মীয়মান), তারাতলা (নির্মীয়মান) |
পৌরসংস্থা | কলকাতা পৌরসংস্থা |
কলকাতা পৌরসংস্থার ওয়ার্ড | ১১৮, ১১৯, ১২০, ১২১, ১২২, ১২৩, ১২৪, ১২৫, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১ ও ১৩২ |
উচ্চতা | ৩৬ ফুট (১১ মিটার) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন কোড | ৭০০০৩৪ (বেহালা), ৭০০০৬০ (পর্ণশ্রী পল্লি), ৭০০০৬১ (সরশুনা), ৭০০০০৮ (বড়িশা), ৭০০০৬৩ (ঠাকুরপুকুর), ৭০০০৩৮ (সাহাপুর), ৭০০০৮২ (হরিদেবপুরের অংশবিশেষ) |
এলাকা কোড | +৯১ ৩৩ |
লোকসভা কেন্দ্র | কলকাতা দক্ষিণ |
বিধানসভা কেন্দ্র | বেহালা পশ্চিম ও বেহালা পূর্ব |
বেহালা কলকাতার একটি প্রাচীন জনবসতি এলাকা। এই অঞ্চলের পূর্বতন জমিদার পরিবার সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা ছিল কালীঘাট মন্দিরের প্রাক্তন অছি।[7] ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বেহালার বাসিন্দা।[8]
বেহালা কলকাতা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র। এখানে অনেকগুলি কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং, স্প্রে পেন্টিং, মেটাল প্লেটিং ও ভ্যালভ্যানাইজিং কারখানা আছে। কলকাতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্র ও ব্যাংক এখানে অবস্থিত।[9]
১৬১০ সালে লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার বেহালার বড়িশা এলাকার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। এটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বনেদি পুজো।[10] এছাড়া বেহালা থিম-ভিত্তিক সর্বজনীন দুর্গাপুজোর জন্যও বিখ্যাত। বেহালার অপর একটি বিখ্যাত উৎসব হল বড়িশার চণ্ডীমেলা। ১৭৯২ সাল থেকে প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ১০ দিন ধরে এই উৎসব পালিত হয়। বেহালার প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুরাতাত্ত্বিক সংগ্রহালয়, বেহালা বিমানবন্দর,আটচালা, সোনার দুর্গাবাড়ি, বড়িশা চণ্ডী মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির ইত্যাদি।