বীরভূম জেলা
পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
বীরভূম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা। জেলাটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত সর্ব উত্তরের জেলা৷ এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর।[1][2]
বীরভূম জেলা | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গের জেলা | |
পশ্চিমবঙ্গে বীরভূমের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
প্রশাসনিক বিভাগ | বর্ধমান বিভাগ |
সদরদপ্তর | সিউড়ি |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | বীরভূম, বোলপুর |
• বিধানসভা আসন | সাঁইথিয়া, সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, নলহাটি, দুবরাজপুর, ময়ূরেশ্বর, মুরারই, লাভপুর, নানুর, হাঁসন |
আয়তন | |
• মোট | ৪,৫৪৫ বর্গকিমি (১,৭৫৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৫,০২,৪০৪ |
• জনঘনত্ব | ৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৪,৪৯,৪৪৮ |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭০.৬৮ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৫৬ |
প্রধান মহাসড়ক | জাতীয় সড়ক ১৪, জাতীয় সড়ক ১১৪, জাতীয় সড়ক ১১৪এ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৪৩০.৫ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
বীরভূম জেলার পশ্চিমে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামতাড়া, দুমকা ও পাকুড় জেলা এবং অপর তিন দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা অবস্থিত।
বীরভূমকে বলা হয় "রাঙামাটির দেশ"।[3] এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।[4]
ইতিহাসে বীরভূম জেলায় একাধিকবার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন হয়েছে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই জেলার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান।[5] সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সুসমৃদ্ধ এই জেলায় একাধিক উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ও জয়দেব কেন্দুলির বাউল মেলা সেগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।[6]
বীরভূমের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। এই জেলার মোট জনসংখ্যার ৭৫% কৃষিকার্যের উপর নির্ভরশীল।[7] জেলার প্রধান কৃষিকাজ হল তুলা চাষ ও রেশম চাষ এবং শিল্পগুলি হল তাঁত বয়ন, চালকল, তৈলবীজের কল, লাক্ষা উৎপাদন, পাথর খনি, ধাতুশিল্প ও মৃৎশিল্প। [8] বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এই জেলার একমাত্র ভারী শিল্পকেন্দ্র।[9]