বিলাসপুর জেলা, হিমাচল প্রদেশ
হিমাচল প্রদেশের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হিমাচল প্রদেশের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিলাসপুর জেলা ভারতের হিমাচল প্রদেশের একটি জেলা। এর সদর দফতর বিলাসপুর শহরে। জেলাটির আয়তন ১.১৬৭ কিমি এবং ২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে এই জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৮১,৯৫৬ জন। ২০১১ সাল পর্যন্ত এটি লাহুল এবং স্পিতি জেলা ও কিন্নর জেলা পরে হিমাচল প্রদেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা (১২টির মধ্যে)।[1] এই জেলায় শতদ্রু নদীর উপরে মনুষ্য নির্মিত গোবিন্দ সাগর হ্রদ রয়েছে যা ভাকরা-নাঙ্গাল বাঁধ প্রকল্পের জলাধার হিসাবে কাজ করে।
বিলাসপুর জেলা | |
---|---|
জেলা | |
হিমাচল প্রদেশে বিলাসপুর জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হিমাচল প্রদেশ |
সদরদপ্তর | বিলাসপুর, হিমাচল প্রদেশ |
তহসিল | ঘুমারউইন |
আয়তন | |
• মোট | ১,১৬৭ বর্গকিমি (৪৫১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,৮১,৯৫৬ |
• জনঘনত্ব | ৩৩০/বর্গকিমি (৮৫০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৭.৯২% |
জনসংখ্যা | |
• স্বাক্ষরতা | ৬৩.৪৫% |
• লিঙ্গ অনুপাত | ১০৫% |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://hpkullu.nic.in/ |
প্রশাসনিকভাবে, জেলাটি চারটি তহশিল ঘুমারউইন, বিলাসপুর সদর এবং ঝাঁদুতে বিভক্ত। ১৯৮০ সালের জানুয়ারিতে নায়না দেবী বিলাসপুর সদরের একটি উপ-তহশিল তৈরি হয়েছিল আর একটি জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে ঘুর্মভিনের বাইরে ঝাঁদত্তা তৈরি করা হয়েছিল।
বিলাসপুর জেলা একটি পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে। হিমালয়ের শিবলিক পরিসরে বিস্তৃত জেলাটির চার পাশে পাহাড় রয়েছে। এর দক্ষিণ এবং পশ্চিম সীমান্তে পাঞ্জাব রাজ্য। গ্রীষ্মকাল গরম এবং শীতকালে শীত ভালোই পড়ে এখানে। শতদ্রু নদীর তীরে কুয়াশা পড়ে। জুলাইয়ের শুরু থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল। গ্রীষ্মকালে মে এবং জুন মাসে দিনগুলি উষ্ণতম।
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে বিলাসপুর জেলা মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৮১,৯৫৬ জন[1] যা প্রায় মালদ্বীপের জনসংখ্যার সমান।[2] একে ভারতের ৫৬২তম জনবহুল জেলায় পরিণত করেছে (৬৪০টি জেলার মধ্যে)।[1] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩২৭ জন লোক বসবাস করে (প্রতি বর্গমাইলে ৮৫০ জন)।[1] ২০০১-২০১১ এর দশকে বিলাসপুর জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১২.০৮% শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৮১ জন নারী রয়েছে।[1] স্বাক্ষরতার হার ৮৫.৬৭%।[1] ২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে জেলার ৭৬% স্থানীয় মানুষেরা বিলাসপুরী (বা কাহলুড়ি) ভাষায় কথা বলে থাকে। যদিও পাহাড়ী (৮.৬%), হিন্দি (৫.৮%), পাঞ্জাবি (৪%), কাঙ্গরি (১.৩%) এবং অন্যান্য রয়েছে।[3] হিন্দু ধর্ম এ জেলার প্রধান ধর্ম। এছাড়া শিখ ও ইসলাম ধর্মের প্রচুর অনুসারী রয়েছে। খ্রিস্টান এবং অন্যান্যরা খুব ছোট সংখ্যালঘুদের গোষ্ঠি গঠন করেছে।
জেলার মধ্যে যাতায়াত প্রধান পরিবহন হল রাস্তা। এই জেলায় কোন প্রকার রেললাইন বা বিমানবন্দর নেই।
কাহলুর দুর্গ, কাহলুর রাজত্ব (বিলাসপুর নামেও পরিচিত)। রাজ্যটি কাহাল চাঁদ দ্বারা প্রায় ৬৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কাহাল চাঁদ একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন এবং তাঁর নামে কাহলুর দুর্গের নামকরণ হয়েছিল। এছাড়া বিলাসপুরে বাহাদুরপুরের দুর্গ, সারিয়ুনের দুর্গ টিউনের দুর্গ এবং বাখরেতু দুর্গ রয়েছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.