বিবেকানন্দ সেতু
ভারতের রেলওয়ে সেতু / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিবেকানন্দ সেতু (আগেকার নাম: উইলিংডন ব্রিজ বা বালি ব্রিজ) হল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর উপর অবস্থিত একটি সেতু। এটি হাওড়ার বালি ও উত্তর চব্বিশ পরগনার দক্ষিণেশ্বরকে যুক্ত করেছে। ১৯৩২ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সেতুটি চালু হয়। এটি একটি মাল্টিস্প্যান স্টিল ব্রিজ। এটি কলকাতা বন্দর ও তার পশ্চাদভূমির অন্যতম প্রধান রেল ও সড়ক যোগাযোগ সেতু। এর দৈর্ঘ্য ২,৮৮৭ ফুট (৮৮০ মি)।[1]
বিবেকানন্দ সেতু | |
---|---|
বিবেকানন্দ সেতু | |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৯′১১″ উত্তর ৮৮°২১′১২″ পূর্ব |
অতিক্রম করে | হুগলি নদী |
স্থান | বালি-দক্ষিণেশ্বর |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ৮৮০ মিটার (২,৮৯০ ফু; ০.৫৫ মা) |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯৩২ |
অবস্থান | |
![]() |
সেতুটি তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত কুটচি-মিস্ত্রি কনট্র্যাকটর ও শিল্পপতি রায়বাহাদুর জগমল রাজা চৌহান।। সেতুর গার্ডারে তার নামফলক রয়েছে। সেতুর নির্মানকাজ শুরু হয় ১৯২৬ সালে, শেষ হয় ১৯৩২ সালে। ফ্যাব্রিকেশন করেছিল কলকাতার ব্রেইথওয়েট অ্যান্ড কোম্পানি।[2][3] ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ফ্রিম্যান ফ্রিম্যান-টমাস, ফার্স্ট মার্কুইস অফ উইলিংডনের নামে এই সেতুর নামকরণ হয় উইলিংডন সেতু। তিনিই এই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। যে ট্রেনটি এই সেতুর উপর দিয়ে প্রথম গিয়েছিল সেটির নাম ব্রিটিশরা রেখেছিল জগমল রাজা হাওড়া এক্সপ্রেস। শোনা যায়, সেতু নির্মাণে সেযুগে এক কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়।
সেতুটি যে সড়ক ও রেলপথের যোগসূত্র সেগুলি হল:
- রেলপথে শিয়ালদহ স্টেশন ও দিল্লির সংযোগ।
- সড়কপথে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (হাওড়ার দিকে) ও ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড (কলকাতার দিকে)
দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি এই সেতুর খুব কাছে অবস্থিত। হুগলি নদীর উপর কলকাতায় এই সেতুর দুটি সহকারী সেতু আছে: রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া ব্রিজ) ও বিদ্যাসাগর সেতু।
এই সেতুর উপর দিয়ে দৈনিক ২৪,০০০ যানবাহন চলাচল করে।[4]
বয়স ও ট্র্যাফিকের ভারে বিবেকানন্দ সেতু ক্রমশ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এই সেতুর মেরামতিও সবসময় সম্ভব হচ্ছে না। তাই সেতুর পাশেই একটি সহকারী সেতু নির্মিত হয়েছে। এই সেতুর নাম নিবেদিতা সেতু। ২০০৭ সালে এই সেতু চালু হয়।[5]