প্রবেশদ্বার:পাখি
উইকিমিডিয়ার প্রবেশদ্বার / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রারম্ভিকাপাখি সম্পর্কিত এ প্রবেশদ্বারে আপনাকে স্বাগত! পাখি পালক, ফাঁপা মজবুত হাড় ও ডানাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী দ্বিপদী প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি আছে। জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের মতে, ৬৫.৫ মিলিয়ন বছর আগের ক্রিটেশাস-প্যালিওজিন বিলুপ্তির পর পাখিরাই ডাইনোসরের একমাত্র বংশধর। জীবিত পাখিদের মধ্যে মৌ হামিংবার্ড সবচেয়ে ছোট (২ ইঞ্চি) আর উটপাখি সবচেয়ে বড় (৯ ফুট)। পাখিদের মধ্যে কয়েকটি প্রজাতি, বিশেষত কাক ও টিয়ার কয়েকটি প্রজাতি, প্রাণিজগতে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। পাখিদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী। বেশিরভাগ পাখিই সামাজিক জীব। এরা দৃষ্টিগ্রাহ্য সংকেত এবং ডাক বা শিষের মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করে। পাখিরা সাধারণত তাদের বানানো বাসাতেই ডিম পাড়ে এবং বাবা-মা তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বেশিরভাগ পাখি বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন সময় পর্যন্ত বাচ্চার প্রতিপালন করে। খাদ্য হিসেবে এদের পাখির অপরিসীম। পোষা পাখি হিসেবে টিয়া, ময়না, তোতা, চন্দনা, বহু প্রজাতির গানের পাখি আর বাহারি পাখির বেশ কদর রয়েছে। পাখির বিষ্ঠা থেকে উৎপন্ন গুয়ানো সার হিসেবে উৎকৃষ্ট। ১৭শ শতক থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপে ১২০ থেকে ১৩০টি পাখি প্রজাতি দুনিয়া থেকে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে। তারও আগে আরও একশ'টির মত প্রজাতি একই ভাগ্য বরণ করেছে। মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বর্তমানে প্রায় বারোশ'র মত প্রজাতি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। নির্বাচিত নিবন্ধদেশি সারস (Grus antigone) Gruidae (গ্রুইডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Grus (গ্রুস) গণের অন্তর্ভূক্ত বড় আকারের অপরিযায়ী সারস। দর্শনীয় এ পাখিটি উড়তে সক্ষম এমন পাখিদের মধ্যে দীর্ঘতম, প্রায় ১.৮ মিটার (৫.৯ ফুট)। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। ধূসর শরীর আর গাঢ় লাল মাথা দেখে খুব সহজে এদের এ অঞ্চলের অন্যসব সব সারস থেকে আলাদা করা যায়। অগভীর জলাশয় আর জলাভূমিতে এরা তৃণমূল, শল্ক, পোকামাকড়, চিংড়ি, ছোট স্তন্যপায়ী ও মাছ খুঁজে বেড়ায়। সম্ভবত সারা জীবনের জন্য জোড় বাঁধে এবং বিশেষ কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে একই জোড়া দীর্ঘদিন বাচ্চা তুলে যায়। জোড়ার একটি মারা গেলে অন্যটি না খেয়ে মারা গেছে এমন রেকর্ডও রয়েছে। এরা অসম্ভব এলাকাকাতর প্রাণী। প্রতিটি জোড়া নিজেদের জন্য একটি বিশেষ এলাকার সৃষ্টি করে এবং এলাকায় অনুপ্রবেশকারীকে বরদাশত করে না। বর্ষাকাল এদের প্রজনন মৌসুম এবং এ সময়ে অগভীর পানিতে নলখাগড়া, জলজ উদ্ভিদ, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে প্রায় দুই মিটার ব্যাসবিশিষ্ট দ্বীপের মত বাসা তৈরি করে। বিগত শতকের তুলনায় এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গিয়েছে। ১৮৫০ সালের তুলনায় এদের বর্তমান সংখ্যা ১০% থেকে ২.৫% কমে গিয়েছেন। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে সংকটাপন্ন বলে ঘোষণা করেছে। ভারতে দেশি সারস বৈবাহিক স্থায়ীত্বের প্রতীক। বাকি অংশ পড়ুন... নির্বাচিত জীবনীসালিম আলী (জন্ম: নভেম্বর ১২, ১৮৯৬ – মৃত্যু: জুলাই ২৭, ১৯৮৭) একজন বিখ্যাত ভারতীয় পক্ষীবিদ এবং প্রকৃতিপ্রেমী। তিনিই প্রথম কয়েকজন ভারতীয়দের মধ্যে একজন যারা ভারতের পাখিদের সম্বন্ধে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জরিপ পরিচালনা করেন। তার পাখিবিষয়ক বইগুলো পক্ষীবিজ্ঞানের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭-এর পর তিনি বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটিতে গুরুত্বপূর্ণ আসনে জায়গা করে নেন এবং সংগঠনটির উন্নয়নে সরকারী সাহায্যের সংস্থান করে দেন। তিনি ভরতপুর পক্ষী অভয়ারণ্য (কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান) প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁরই উদ্যোগে বর্তমান সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যান নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যায়। ভারতে পক্ষীবিদ্যার ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়েও সালিম আলীর বিরাট আগ্রহ ছিল। তার প্রথম দিকের কয়েকটি নিবন্ধতে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাসে মুঘল সম্রাটদের অবদান বর্ণনা করেছেন। ভারত সরকার তাঁকে ১৯৫৮ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৭৬ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক উপাধি পদ্মবিভূষণে ভূষিত করে। পাখি বিষয়ে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি "'ভারতের পক্ষীমানব'" হিসেবে পরিচিত। বাকি অংশ পড়ুন... আপনি জানেন কি...
...হামিংবার্ড পৃথিবীর একমাত্র পাখি যে এটি হাটতে পারেনা? ...কাক পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি? নির্বাচিত চিত্র
বিষয়শ্রেণী- উইকিমিডিয়া কমন্সে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির নির্বাচিত চিত্রগুলো দেখতে পাবেন এখানে: নির্বাচিত চিত্রসমূহ নির্বাচিত উক্তিআপনি যা করতে পারেনএই নিবন্ধগুলো অতিসত্ত্বর সৃষ্টি করা জরুরি। এগুলো সৃষ্টি করে আমাদের সহায়তা করতে পারেন: সম্পর্কিত উইকিমিডিয়া
|