Loading AI tools
ভারতের একটি গ্রাম উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দেওগড় ভারতের একটি ঐতিহাসিক গ্রাম, এটি উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলায় অবস্থিত। এটি গ্রামটি গুপ্ত সাম্রাজ্যের সৃতিস্তম্ভ এবং বিভিন্ন জৈন ধর্ম এবং হিন্দুধর্মের প্রাচীন নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত। [1][2][3]
দেওগড় | |
---|---|
গ্রাম | |
Location in Uttar Pradesh, India | |
স্থানাঙ্ক: ২৪.৫২৬° উত্তর ৭৮.২৩৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
প্রদেশ/রাজ্য | উত্তর প্রদেশ |
জেলা | Lalitpur |
আয়তন[1] | |
• মোট | ১০.৪৯ বর্গকিমি (৪.০৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২১১ মিটার (৬৯২ ফুট) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ৭৮৩ |
• জনঘনত্ব | ৭৫/বর্গকিমি (১৯০/বর্গমাইল) |
Languages | |
• Official | Hindi |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
PIN | 284403 |
Telephone code | 0517 |
দেওগড় মনুমেন্ট গুলো ভারতের প্রত্মতত্ব বিভাগ দেখভাল ও সংরক্ষণ করে থাকে.[4]
দেওগড় শব্দটি সংস্কৃত দেও এবং গড় থেকে এসেছে। দেও মানে দেবতা এবং গড় মানে আবাস্থল/কেল্লা। [5]
দেওগড় গ্রামটি ললিতপুর জেলা শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ পুর্বে বেত্বা নদীর তীরে রাজঘাট বাধের নিকট অবস্থিত। গ্রামটির আকার ৫ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি। দেওগড় কেল্লাটি বেত্বা নদী উপত্যকায় অবস্থিত। [6]
ডেকান মালভূমি প্রাচীন রাস্তায় উত্তর ভারতে দেবগরের কৌশলগত অবস্থান এটিকে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে গড়ে তুলেছে।এটি বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের অংশ যার সাথে ডেকানের সাথে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ছিল।এর পুরাতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিক এবং লিখনিক গুরুত্ব গুপ্ত আমলের সাথে সংযুক্ত, গুজারা – নবম শতাব্দীর প্রথহহার (শান্তিনাথ মন্দিরে প্রাপ্ত 8২২ তারিখের একটি শিলালিপি), একাদশ শতাব্দীর চণ্ডেলা শাসক, গন্ডস, মুসলিম শাসকরা দিল্লি, মারাঠা এবং ব্রিটিশদের যুগ । জৈন আমলে মন্দিরগুলি অষ্টম থেকে নবম শতাব্দী অবধি 17শ খ্রিস্টীয় শতাব্দী অবধি নাগারা রীতিতে নির্মিত হয়েছিল।রাজ ঘাঁটি উপত্যকার নিকটবর্তী সিদ্ধ-কি গুফায় (গুহায়) ১২৫৮ থেকে 17৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শিলালিপি পাওয়া গেছে।
দেওগড় অঞ্চলে প্রাচীনতম ধর্মীয় প্রভাব গুপ্ত সময় (320-550), (নাহার ঘাঁটি ) -এর শিলালিপির ভিত্তিতে ভারতীয় ইতিহাসের "সোনালি সময়" হিসাবে খ্যাত।
দাক্ষিণাত্য মালভূমির প্রাচিন রাস্তায় কৌশলগত অবস্থানের জন্য দেওগড় ঐতিহাসিক কাল থেকেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব গুপ্ত যুগ, মুসলিম যুগ মারাঠা এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই পেয়ে আসছে।
দেওগড়ের মনুমেন্ট গুলো তাদের অবস্থান এবং তৈরির উপকরন দিয়ে শ্রেনি বিন্যাশ করা হয়েছে।
গুপ্ত মন্দিরটি বিষ্ণুদেবের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছিল। এটি প্রথম আবিষ্কার করেন ক্যাপ্টেন চার্লস স্ট্রাহন। মন্দিরটির প্রথম নামকরণ করা হয় পঞ্চায়াতন মন্দির, পরে নাম পরিবর্তন করে দশভাটারা মন্দির করা হয়। কারণ মন্দিরটি বিষ্ণুর দশটি আদর্শ নির্দেশ করে।
দুর্গটি দেওগড় গ্রাম থেকে কয়েকশ গজ পুর্বদিকে অবস্থিত। দুর্গটি প্রথম নির্মাণ করার পর এটির নামকরণ করা হয়েছিল "কার্নলি" পরবর্তিতে ১০৫৭ সালে চন্ডেলা রাজা কির্তীভর্মন এর রাজত্বের সময় পুর্ননির্মান করা হলে এটির নাম করা হয় "কির্তিগিরী দুর্গ" দুর্গটি চারদিকেই প্রায় দেয়াল দিয়ে ঘেরা। এটির প্রধান দুটি দরজা, "হাতী দরজা" এবং "দিল্লি দরজা"
দেওগড় গ্রাম, যার আয়তন ১,০৪৯.১৫ বর্গ কিমি[রূপান্তর: অজানা একক], :১০৪ বেতওয়া নদীর ডান তীরে অবস্থিত, যেখানে এটি রাজঘাট বাঁধের দ্বারা নির্মিত জলাশয়ের সাথে মিলিত হয়। এই নদীর দু'দিকে নাহার ঘাঁটি (ঘাঁটি মানে "উপত্যকা") এবং রাজ ঘাতি নামে পরিচিত দুটি শিলা কাটা উপত্যকা রয়েছে। গ্রামটি ললিতপুর পার্বত্য রেঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে, ৩৩ কিলোমিটার (২১ মা) ললিতপুর জেলার ললিতপুর শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ১২৫ কিলোমিটার (৭৮ মা) এ বিভাগীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র দক্ষিণে ঝাঁসি, এবং গোয়ালিয়র থেকে ২৩৫ কিমি। নিকটতম রেলস্টেশনটি ১২ কিমি[রূপান্তর: অজানা একক] ঝাকলনে অবস্থিত।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দেওগড় গ্রামের জনসংখ্যা ছিল ৭৮৪ জন ও এখানে ১৫২টি পরিবার বাস করত। :১০৪হিন্দি এবং বুন্দেলি এই অঞ্চলের কথ্য ভাষা।[6] পুরুষ ও মহিলা জনসংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪০৬ এবং ৩৭৭ জন। গ্রামে ৩৩২ জন তফসিলি উপজাতির (১৬৫ জন পুরুষ এবং ১৬৬ জন মহিলা) এবং একজন (পুরুষ) তফসিলি বর্ণের ব্যক্তি ছিল। এই গ্রামে মোট ৩৭৭ জন ব্যক্তি (২১১ জন পুরুষ এবং ১১০ জন মহিলা) সাক্ষর ছিলেন। :১০৫
এখানে কোনো রেল স্টেশন নেই। নিকটবর্তী রেল স্টেশন হচ্ছে ১৭ কিমি দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত ধাউরা। মুম্বাই সিএসএমটি-অমৃতসর এক্সপ্রেস ঝাঁসি - ললিতপুর হয়ে এখানে আসে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.