দুররানি সাম্রাজ্য
১৭৪৭- ১৮৬৩ আফগান সাম্রাজ্য যা আহমেদ শাহ দুরানি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত / From Wikipedia, the free encyclopedia
দুরারানি সাম্রাজ্য (পশতু: د درانیانو واکمني) সাদুজাই রাজ্য নামেও পরিচিত,[6] ছিল আফগানিস্তানের সর্বশেষ সাম্রাজ্য।[7] ১৭৪৭ সালে কান্দাহারকে রাজধানী করে আহমদ শাহ দুররানি সাম্রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেন।[8][9] দুররানি সাম্রাজ্য বর্তমান আফগানিস্তান, উত্তর-পশ্চিম ইরান, পূর্ব তুর্কমেনিস্তান, পাকিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল এবং কাশ্মীর অঞ্চলসহ উত্তর-পশ্চিম ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।[10][11] বিভিন্ন উপজাতীয় নেতাদের সাহায্যে আহমদ শাহ দুররানি কুরেশদের কাছ থেকে পশ্চিম থেকে কাশ্মীর, দিল্লীর পূর্ব পর্যন্ত ও আমু দারায়ার কাছ থেকে উত্তর দিক এবং দক্ষিণের আরব সাগর পর্যন্ত সীমানা বৃদ্ধি করেন।[12] আঠারো শতকের দ্বিতীয় অর্ধাংশ পর্যন্ত অটোম্যান সাম্রাজ্যের পর দুররানি সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাম্রাজ্য।[12]
দুররানি সাম্রাজ্য د درانیانو ټولواکمني | |||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৭৪৭ - ১৮৬২ | |||||||||||||||||||
পতাকা | |||||||||||||||||||
দুররানি সাম্রাজ্য | |||||||||||||||||||
রাজধানী | কান্দাহার (১৭৪৭-১৭৭৬) কাবুল (১৭৭৬–১৮২৩, ১৮৩৯-১৮৪২) পেশাওয়ার (১৭৭৬-১৮১৮; শীতকালীন রাজধানী)[1][2] হেরাত (১৮২৩–১৮৬২)[3] | ||||||||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | পশতু(কবিতা, প্রাথমিকভাবে আমলাতন্ত্রে ব্যবহৃত)[lower-alpha 1][4][5] ফার্সি (চান্সারি, প্রধান আদালতের ভাষা)[5] | ||||||||||||||||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||||||||||||||||
সরকার | রাজশাসন | ||||||||||||||||||
শাহ | |||||||||||||||||||
• ১৭৪৭-১৭৭২ | আহমদ শাহ দুররানি (প্রথম) | ||||||||||||||||||
• ১৮৩৯-১৮৪২ | সুজা শাহ দুররানি (শেষ) | ||||||||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | আধুনিককালের গোড়ার দিকে | ||||||||||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১৭৪৭ | ||||||||||||||||||
• বিলুপ্ত | ১৮৬২ | ||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | আফগানিস্তান ভারত ইরান পাকিস্তান তাজিকিস্তান তুর্কমেনিস্তান উজবেকিস্তান |
স্থানীয় শাসকদের কাছ থেকে গজনী ও কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগান সেনাবাহিনীর বিজয় শুরু হয়। ১৭৪৯ সালে মুঘল শাসক বর্তমান পাকিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের সার্বভৌমত্ব আফগানদের কাছে সমর্পণ করেন। আহমদ শাহ এরপর শাহরুখ আফসার দ্বারা শাসিত হেরতের নিয়ন্ত্রণ নিতে পশ্চিমে যাত্রা করেন। তিনি পরবর্তীতে হিন্দুকুশের উত্তর অংশে তার সেনাবাহিনী পাঠান ও অতিশীঘ্রই বিভিন্ন উপজাতিরা তার সঙ্গে যোগদান করে। আহমদ শাহ চারবার ভারত আক্রমণ করে কাশ্মীর ও পাঞ্জাব রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেন। ১৭৫৭ সালের প্রথম দিকে তিনি দিল্লী অধিগ্রহণ করেন কিন্তু মুঘলদের নামমাত্র শাসন করার অনুমতি দেন কারণ তারা বুঝে গিয়েছিল দুররানির নিয়ন্ত্রণে পাঞ্জাব, সিন্ধু ও কাশ্মীরসহ ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল।[13]
১৭৭২ সালে আহমদ শাহ দুররানি মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে তিমুর শাহ দুররানি সাম্রাজ্যের শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তিমুর কান্দাহারের পরীবর্তে কাবুলকে তার সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং পেশাওয়ারকে শীতকালীন রাজধানী হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন।[14] মনে করা হয় দুররানি সাম্রাজ্য থেকেই আধুনিক আফগানিস্তানের জন্ম ও আহমদ শাহ দুররানিকে আধুনিক আফগানিস্তানের জাতির জনক বলা হয়ে থাকে।[2][13]