জুনাগড় জেলা
গুজরাটের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গুজরাটের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জুনাগড় জেলা হল ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জেলা। এর প্রশাসনিক সদর দফতর জুনাগড় শহর।
জুনাগড় জেলা | |
---|---|
জেলা | |
গুজরাতে জুনাগড় জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২১°৩১′ উত্তর ৭০°২৭′ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | গুজরাত |
অঞ্চল | সৌরাষ্ট্র |
সদর | জুনাগড় |
আয়তন | |
• মোট | ৮,৮৩১ বর্গকিমি (৩,৪১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৭,৪৩,০৮২ |
• জনঘনত্ব | ৩১০/বর্গকিমি (৮০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | গুজরাতি, হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৩৬২০০১ |
যানবাহন নিবন্ধন | GJ 11 |
ওয়েবসাইট | gujaratindia |
পশ্চিম গুজরাতের জুনাগড় জেলায় কাঠিয়াওয়ার উপদ্বীপ অবস্থিত। এই জেলার উত্তরে রাজকোট জেলা, উত্তর-পশ্চিমে পোরবন্দর জেলা, পূর্বে আমরেলি জেলা, দক্ষিণ এবং পশ্চিমে আরব সাগর দ্বারা বেষ্টিত।
পোরবন্দর হল মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান আগে এই জেলার অংশ ছিল পরে জুনাগড় জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পোরবন্দর জেলায় চলে আসে।
জুনাগড়ের গিরনার নামে একটি পর্বতমালা রয়েছে যা হিন্দু ধর্ম এবং জৈন ধর্ম তীর্থস্থান রয়েছে।
জুনাগড় জেলার তালুক হল: জুনাগড় শহর, ভেসান উপজেলা,[১] জুনাগড় গ্রামীণ, কেশোদ, মালিয়া, মানভাদর, মঙ্গরোল, মেন্দারদা, ভান্থালি, ভিসাভাদর ইত্যাদি।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জুনাগড় জেলার জনসংখ্যা ২,৭৪৩,০৮২ জন,[২] জ্যামাইকা[৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা এর সমান জনসংখ্যা।[৪] ভারতের মধ্যে ১৪২তম স্থান এই জেলার (মোট ৬৪০ এর মধ্যে)।[২] এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে (৮০০/বর্গ মাইল) ৩১০ জন।[২] ২০০১-২০১১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি ছিল ১২.০১%।[২] জুনাগড়ের প্রতি ১০০০ জন পুরুষের ৯৫২ জন মহিলার লিঙ্গ অনুপাত রয়েছে।[২] এখানে সাক্ষরতার হার ছিল ২০০১ সালে ৬৭.৭% যা ২০১১ সালে স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৮৮% হয়ে দাঁড়িয়েছে।[২]
২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারি অনুসারে এই জেলার জনসংখ্যার ৯৬.৮৪% লোক গুজরাতি, ১.২৫% হিন্দি, ০.৯৯% সিন্ধি এবং ০.০৯% উর্দু তারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলেন।[৫]
জুনাগড় এ সড়ক এবং রেলওয়ে ব্যবস্থা খুবই ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। জুনাগড় থেকে রাজকোট থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এবং আহমেদাবাদ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাতীয় সড়ক ৮ডি জুনাগড় থেকে রাজকোট ভায়া জেটপুরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে।
জুনাগড় রেলওয়ে স্টেশনটির সাথে রাজকোট, আহমেদাবাদের সাথে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। জুনাগড়ের কেশোদে বিমানবন্দর রয়েছে যা মুম্বাইয়ের সাথে বিমান যোগাযোগ সীমিত।
এই জেলায় দীর্ঘ উপকূল অবস্থিত এবং এর মধ্যে ভেরাভল, মঙ্গরোল, চোরওয়াদ ইত্যাদি বন্দর রয়েছে তবে এগুলি মৎস্য শিল্পের জন্য ব্যবহার হয়।
২০১১ সালের অক্টোবরে ভারত সরকার গিরনার পর্বতে উপর রোপওয়ে ব্যবস্থা চালু করার অনুমোদন দিয়ে ছিল। তবে এটি তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। আগে গিরনার পর্বতের জন্য হেলিকপ্টার সার্ভিস পাওয়া যেত তবে এখন তা বন্ধ রয়েছে।
জুনাগড়ে গির অরণ্য জাতীয় উদ্যান রয়েছে, যা এটিকে এশিয়াটিক সিংহের একমাত্র আবাস স্থল বলা হয়। বাঁশ বনকে গিরনার পর্বতে বন সংরক্ষক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। "গিরনারী গিদ্ধ", লম্বা বিলযুক্ত শকুনগুলি কেবল গিরনার উপরই দেখতে পাওয়া যায়, একমাত্র গিরনার অঞ্চলে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রজাতি রয়েছে এবং গুজরাত রাজ্যে মোট শকুনের সংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে।
শিক্ষা জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এখানে প্রধানত বিখ্যাত। এখানে আরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.