Loading AI tools
বাংলাদেশী ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোহাম্মদ জাহিদ হাসান এমিলি (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৭; জাহিদ হাসান নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।[১][২]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ জাহিদ হাসান এমিলি | ||
জন্ম | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৭ | ||
জন্ম স্থান | পিরোজপুর, বাংলাদেশ | ||
উচ্চতা | ১.৬৮ মিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০২–২০০৬ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ||
২০০৭–২০০৯ | ঢাকা আবহনী | (২৪) | |
২০০৯–২০১০ | ঢাকা মোহামেডান | (১৯) | |
২০১০–২০১১ | শেখ জামাল | ||
২০১১–২০১২ | মুক্তিযোদ্ধা সংসদ | ||
২০১২–২০১৩ | শেখ রাসেল | ||
২০১৩–২০১৪ | ঢাকা মোহামেডান | ||
২০১৪–২০১৫ | শেখ রাসেল | ||
২০১৫–২০১৭ | চট্টগ্রাম আবহনী | ||
২০১৭–২০১৯ | ঢাকা মোহামেডান | ৩৪ | (২) |
২০২১ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ২ | (০) |
জাতীয় দল | |||
২০০৫–২০১৬ | বাংলাদেশ | ৬৪ | (১৫) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৫:১৬, ২৮ মার্চ ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। |
২০০২–০৩ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ৪ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি ঢাকা আবহনীতে যোগদান করেছেন, ঢাকা আবহনীর হয়ে তিনি টানা দুই মৌসুম লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ঢাকা আবহনীতে ২ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ঢাকা মোহামেডানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি ১৯টি গোল করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শেখ রাসেল, ঢাকা মোহামেডান, চট্টগ্রাম আবহনী এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলেছেন।
২০০৫ সালে, এমিলি বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ৬৪ ম্যাচে ১৫টি গোল করেছেন। দলগতভাবে, এমিলি এপর্যন্ত ৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২টি ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে, ২টি ঢাকা আবহনীর হয়ে এবং ১টি শেখ জামালের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
মোহাম্মদ জাহিদ হাসান এমিলি ১৯৮৭ সালের ২৫শে ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশের পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।[৩][৪]
২০০৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর তারিখে, মাত্র ১৭ বছর ১১ মাস ১৪ দিন বয়সে, এমিলি ভুটানের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোকনুজ্জামান কাঞ্চনের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন। ম্যাচটি বাংলাদেশ ৩–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের বছরে এমিলি সর্বমোট ৭ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ম্যাচেই তিনি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ভুটানের বিরুদ্ধে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন। ২০১১ সালের ২১শে মার্চ তারিখে, তিনি ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল
২০১৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তার ৫০তম ম্যাচ খেলেছেন, ম্যাচটি বাংলাদেশ ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, যেখানে তিনি ৮৯ মিনিট খেলেছেন।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
বাংলাদেশ | ২০০৫ | ৭ | ২ |
২০০৬ | ৮ | ২ | |
২০০৭ | ৬ | ০ | |
২০০৮ | ৭ | ২ | |
২০০৯ | ৫ | ১ | |
২০১০ | ৩ | ০ | |
২০১১ | ১০ | ২ | |
২০১২ | ৩ | ১ | |
২০১৩ | ৩ | ১ | |
২০১৪ | ৩ | ২ | |
২০১৫ | ৮ | ২ | |
২০১৬ | ১ | ০ | |
সর্বমোট | ৬৪ | ১৫ |
গোল | তারিখ | মাঠ | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৮ ডিসেম্বর ২০০৫ | পিপলস ফুটবল স্টেডিয়াম, করাচি, পাকিস্তান | ভুটান | ৩–০ | ৩–০ | ২০০৫ সাফ গোল্ড কাপ | |
২ | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ভারত | ১–১ | ১–১ | |||
৩ | ১ এপ্রিল ২০০৬ | বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা, বাংলাদেশ | কম্বোডিয়া | ২–০ | ২–১ | ২০০৬ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ | |
৪ | ৮ ডিসেম্বর ২০০৫ | গুয়াম | ১–০ | ৩–০ | |||
৫ | ৯ এপ্রিল ২০০৮ | স্পার্তাল স্টেডিয়াম, বিশকেক, কিরগিজস্তান | কিরগিজস্তান | ১–০ | ১–২ | ২০০৮ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্ব | |
৬ | ৬ জুন ২০০৮ | সুগাথাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | আফগানিস্তান | ১–২ | ২–২ | ২০০৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |
৭ | ৪ ডিসেম্বর ২০০৯ | বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা, বাংলাদেশ | ভুটান | ৪–১ | ৪–১ | ২০০৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |
৮ | ২৯ জুন ২০১১ | পাকিস্তান | ১–০ | ৩–০ | ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব | ||
৯ | ২৮ জুলাই ২০১১ | লেবানন | ২–০ | ২–০ | |||
১০ | ২০ নভেম্বর ২০১২ | জাতীয় স্টেডিয়াম, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | মালয়েশিয়া | ১–১ | ১–১ | প্রীতি ম্যাচ | |
১১ | ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | হালচোক স্টেডিয়াম, কাঠমান্ডু, নেপাল | পাকিস্তান | ১–০ | ১–২ | ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |
১২ | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ | শামসুল হুদা স্টেডিয়াম, যশোর, বাংলাদেশ | শ্রীলঙ্কা | ১–০ | ১–১ | প্রীতি ম্যাচ | |
১৩ | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ | মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম, রাজশাহী, বাংলাদেশ | শ্রীলঙ্কা | ১–০ | ১–০ | ||
১৪ | ২ জুন ২০১৫ | বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা, বাংলাদেশ | আফগানিস্তান | ১–০ | ১–১ | [৫] | |
১৫ | ১৬ জুন ২০১৫ | তাজিকিস্তান | ১–০ | ১–১ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.