Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উপকূলীয় অন্ধ্র (কোস্টাল অন্ধ্রা), ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের একটি অঞ্চল। এই অঞ্চলটি ১৯৫৩ সালের পূর্বে মাদ্রাজ রাজ্য এবং ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র প্রদেশের অংশ ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এটির আয়তন ৯৫,৪৪২ বর্গ কিলোমিটার (৩৬,৮৫০ বর্গ মাইল) যা মোট রাজ্যের ৫৭.৯৯% এবং জনসংখ্যা ৩,৮১,৯৩,৮৬৮ জন, যা অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের জনসংখ্যার ৬৯.২০%। এই অঞ্চলটি পূর্ব ঘাট পর্বতমালা ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় জেলাগুলির অন্তর্ভুক্ত। উপকূলীয় অন্ধ্রার উত্তরে ওড়িশা সীমান্ত থেকে দক্ষিণে কৃষ্ণ নদীর বদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত।
উপকূলীয় অন্ধ্র | |
---|---|
অন্ধ্র প্রদেশের অঞ্চল | |
ভারতের মানচিত্রে উপকূলীয় অন্ধ্র লাল রঙে আলোকিত হয়েছে | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জনসংখ্যা [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | |
• মোট | ৩,৪১,৯৩,৮৬৮ |
ভাষা | |
• সরকারি | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি |
বৃহত্তম শহর | বিশাখাপত্তনম |
গোদাবরী নদী ও কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপের কারণে উপকূলীয় অন্ধ্রে সমৃদ্ধ কৃষি জমি রয়েছে। উপকূলীয় অন্ধ্রের সমৃদ্ধির কারণ হিসাবে তার সমৃদ্ধ কৃষি ভূমি এবং এই দুটি নদী থেকে প্রচুর পরিমাণে জল সরবরাহের জন্য উল্লেখ করা যেতে পারে। এখানে ধানে প্রধান শস্য, ডাল এবং নারকেলও গুরুত্বপূর্ণ ফসল। মাছ ধরার শিল্প অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মৌর্য রাজবংশের সময় অন্ধ্র রাজ্য একটি রাজনৈতিক ক্ষমতায় আবির্ভূত হয়েছিল। মেগাস্থিনিস উল্লেখ করেছিলেন যে, খ্রিস্ট পূর্ব থেকে অন্ধ্র সাতভাহনের এক সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য ছিল। ৭ শতক থেকে ১০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিখ্যাত চালুক্য রাজবংশ উপকূলীয় অন্ধ্রের শাসন করত। এই সময়ের পরে অন্যান্য রাজবংশের উপকূলীয় অন্ধ্রে রাজত্ব করেছে। যেমন চোল, কাকতীয় ও বিজয়নগর সাম্রাজ্য।
১১ শতকের শিলালিপি অনুযায়ী, উপকূলীয় অন্ধ্রের সীমানা হল মহেন্দ্রগিরি পর্বতমালা (উড়িষ্যার গাজপতি জেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে), কালাহস্তি মন্দির (নেলোর জেলার সীমানার কাছে চিত্তুর জেলায়), শ্রীশাইলাম মন্দির (কুরুলুল জেলা মাহবুব নগর জেলা ও প্রকাশম জেলার সীমান্তের কাছে)।[1]
ওড়িশার গজপতি জেলা ও গঞ্জাম জেলা ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে দেওয়া হয়। পরে ফরাসিদের থেকে ব্রিটিশদের কাছে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ওঙ্গল তালুক পর্যন্ত বিস্তৃত নেলোর, প্রতিষ্ঠানের অধীনে আর্কোটের নবাবদের থেকে প্রাপ্ত হয়। বর্তমানের নেলোর ও চিতুরের কিছু অংশ ভেঙ্কটগিরি রাজাদের হাতে ছিল। ১৮০২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরাও সেই অঞ্চলগুলিতে ক্ষমতার দাবিতে ভেঙ্কটগিরির রাজাদের সাথে একটি চুক্তি করেছিল।
অন্ধ্র (সার্ককার) ও রায়লসীমার জেলা ব্রিটিশদের প্রদান করে নিজাম, যা মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অংশ হয়ে ওঠে।[2]
উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এবং ছয়টি জেলা নিয়ে গঠিত। উত্তরান্ধ্র, রায়লসীমা অঞ্চল ও ওড়িশা রাজ্য এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যের সঙ্গে সীমানা রয়েছে উপকূলীয় অন্ধ্রার। কৃষ্ণা নদী ও গোদাবরী নদীর উপস্থিতি ও নদী থেকে জল সেচ উপকূলীয় অন্ধ্রকে উর্বর এলাকায় পরিণত হয়েছে।[3] এই অঞ্চলের উপকূলীয় তটরেখা দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম যা ৯৭৪ কিমি পর্যন্ত দীর্ঘ।[3]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই এলাকার মোট জনসংখ্যার ৩,৪১,৯৫,৬৫৫ জন ছিল। এখানকার মূল এবং সর্বাধিক কথ্য ভাষা হল তেলুগু।[4]
কুচিপুড়ি রাজ্যের শাস্ত্রীয় নৃত্য রূপ, যা কৃষ্ণা জেলার কুচিপুড়ি গ্রামে উদ্ভূত হয়েছিল।[5]
ভাত প্রধানত উপকূলীয় রান্নার খাবার এবং এটি সাধারণত বিভিন্ন তরকারি এবং ডাল বা উভয় দিয়ে খাওয়া হয়। উপকূলীয় অন্ধ্রের রান্না সামুদ্রীক খাদ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
বিজয়ওয়াড়া, গুন্টুর, রাজামুন্দ্রি, কাকিনাড়া, এলুরু, নেল্লোর, ওঙ্গোল এই অঞ্চলের প্রধান শহর। অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হচ্ছে মাছলিপত্তনাম, গুদিভাদা, তেনালী, নরসাপুরাম, গুন্টুর, কাভালি, তাদেপল্লীগুদাম, ভীমভারাম, আমলাপুরাম, নার্সরাওপেট, চিলাকালউরিপিট, কান্দুকুর, চিড়ালা।
জাতীয় পতাকা নকশা
গায়ক
তেলুগু সাহিত্য, শিল্প ও সিনেমা
অন্য
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.