উত্তর-পূর্ব ভারতে বিদ্রোহ
ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সমস্যা / From Wikipedia, the free encyclopedia
উত্তর-পূর্ব ভারতে বিদ্রোহ বলতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা সংঘটিত বিদ্রোহকে বোঝায়। উত্তর-পূর্ব ভারত অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় ও সিকিম এই আট রাজ্য নিয়ে গঠিত। এই আট রাজ্যের বিদ্রোহী সংগঠন ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেখানকার আদিবাসী জনগণ, ভারতের অন্যপ্রান্তের অভিবাসী ও বেআইনি অভিবাসীদের মধ্যে সংঘাত বিদ্যমান। সংকীর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর উত্তর-পূর্বকে ভারতের বাকি অংশের সাথে যুক্ত করে এবং এর প্রস্থ ২৩.০০ কিমি (১৪.২৯ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে বিদ্রোহ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ভারতের মানচিত্র, যেখানে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোকে লাল রঙে দেখানো হয়েছে। | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
সমর্থনকারী : |
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন:
অন্যন্য:
| ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
প্রাক্তন:
|
G Bidai Arabinda Rajkhowa যু. বন্দী Paresh Baruah Anup Chetia যু. বন্দী Kalalung Kamei Arambam Samerendra † Angami Zapu Phizo † Laldenga † I. K. Songbijitটেমপ্লেট:Surrender Biswamohan Debbarma যু. বন্দী Durga Minzটেমপ্লেট:Surrender Xabrias Khakhaটেমপ্লেট:Surrender Prem Brahmaটেমপ্লেট:Surrender Milton Burman যু. বন্দী Tom Adhikary যু. বন্দী Men Sing Takbi † Pradip Terangটেমপ্লেট:Surrender Ranjit Debbarma যু. বন্দী | ||||||
শক্তি | |||||||
নাগাল্যান্ডে ২,০০,০০০ (১৯৯৫)[12] ৭০,০০০ (১৯৯২)[12] ৮,৬৩৪ (২০০৮)[13] অজানা |
১,৫০০ (২০১০)[14] ACF: ৩৫০ (২০০৫)[20] অজানা | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
১৯৯২ থেকে: ২,৭৬২ জন মৃত[21] ১৩–৩৬ জন মৃত, ৪৩–৬৮ জন আহত[lower-alpha 1][22][23][24] |
১৯৯২ থেকে: ভারতে ৮,৫৫৪ জন মৃত[21] ভুটানে ৪৮৫–৬৫০ জন মৃত বা বন্দী[22][25] | ||||||
মোট ৪০,০০০ জন অসামরিক মানুষ মৃত[26] |
বিগত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে বিদ্রোহ দ্রুত কমে এসেছে এবং ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বিদ্রোহ ঘটনা ৭০% এবং অসামরিক মৃত্যু ৮০% কমে গিয়েছিল।[27]
২০১৪ সালের ভারতের সাধারণ নির্বাচনে উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্যে ভোটদানের হার ৮০%, যা ভারত সরকার অনুযায়ী ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সর্বোচ্চ। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি যে এটি ভারতের গণতন্ত্রের প্রতি উত্তর-পূর্বের জনগণের আস্থাকে প্রকাশ করছে।[28] ভারতের তৎকালীন পূর্ব সেনা কমান্ডার জেনারেল অনিল চৌহানের মতে ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, সমগ্র উত্তর-পূর্বের হিংসার এলাকা মূলত অরুণাচল, আসাম ও উত্তর নাগাল্যান্ডের সীমান্তে সীমিত হয়ে গেছে।[29]