ইরানের অর্থনীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইরানের অর্থনীতি বৃহৎ সরকারী ক্ষেত্র সংবলিত মিশ্র ও ক্রান্তিকালীন অর্থনীতি। এটি ক্রয়ক্ষমতা সমতা অনুযায়ী বিশ্বের আঠারতম অর্থনীতি।[7] ইরানের অর্থনীতির ৬০ ভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পিত।[22][23] এই অর্থনীতি তেল ও গ্যাস উৎপাদন প্রধান, যদিও তেহরান স্টক এক্সচেঞ্জে চল্লিশের অধিক শিল্প জড়িত। তেহরান স্টক এক্সচেঞ্জ গত দশকের বিশ্বের অন্যতম সফল স্টক এক্সচেঞ্জ।[24][25] বিশ্বের ১০% তেল ও ১৫% গ্যাস সঞ্চয়সহ ইরানকে পরমাণু শক্তিধর বলে গণ্য করা হয়।[26][27][28][29]
মুদ্রা | ১ তোমান (superunit) = ১০ ইরানি রিয়াল (IRR) (); টীকা: ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ইরান তাদের মূল্যমান হ্রাস করে |
---|---|
অর্থবছর | ২১-২০ মার্চ |
বাণিজ্যিক সংস্থা | ইকো, ওপেক, জিইসিএফ, ডব্লিউটিও (পর্যবেক্ষক) ও অন্যান্য |
দেশের স্তর |
|
পরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | 81,800,269 (২০১৮)[4] |
জিডিপি |
|
জিডিপি ক্রম | |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি |
|
মাথাপিছু জিডিপি |
|
মাথাপিছু জিডিপি ক্রম |
|
খাত অনুযায়ী জিডিপি | কৃষি: ৯.৮% শিল্প: ৩৫.৯% সেবা খাত: ৫৪.৩% (২০১৭, আনু.)[7] |
বিষয় অনুযায়ী জিডিপি | গৃহস্থালী ব্যয়: ৫০.২% সরকারি ব্যয়: ১৩.৩% স্থায়ী মূলধনে বিনিয়োগ: ২১.৩% কাঁচামালে বিনিয়োগ: ১৪.১% পণ্য ও সেবা রফতানি: ২২.৫% পণ্য ও সেবা আমদানি: −২১.৩% (২০১৭, আনু.)[7] |
মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই) | ৩০.৪৮৬% (২০১৮)[5] |
১৪.২% (৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, আনু.)[7] | |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা |
|
৪০.০ medium (২০১৬)[9] | |
শ্রমশক্তি | |
বেকারত্ব | ১২.১০% (মার্চ ২০১৯)[14] |
গড় নিট বেতন | |
প্রধান শিল্পসমূহ | পেট্রোলিয়াম, পেট্রোকেমিক্যাল, সার, কস্টিক সোডা, গাড়ি উৎপাদন, যন্ত্রাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস, home appliances, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, টেলিযোগাযোগ, শক্তি, power, textiles, নির্মাণ, সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (বিশেষ করে চিনি শোধন ও ভেষজ তেল উৎপাদন), ferrous and non-ferrous metal fabrication, অস্ত্রশিল্প |
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক ক্রম | ১২৭তম (মধ্যম, ২০২০)[16] |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | $১০৭.৪৩ বিলিয়ন (২০১৮)[17] |
রপ্তানি পণ্য | পেট্রোলিয়াম (৫৬%),[17] কেমিক্যাল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য, গাড়ি, ফল ও বাদাম, কার্পেট |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | চীন ৩১% ভারত ১৯% দক্ষিণ কোরিয়া ১৩% ইতালি ৬.৫% জাপান ৬% (২০১৭)[18] |
আমদানি | $৫৪.৪৬ বিলিয়ন (২০১৮)[19] |
আমদানি পণ্য | শিল্পের কাঁচামাল ও তড়িৎ পণ্য (৪৬%), capital goods (৩৫%), foodstuffs and other consumer goods (১৯%), technical services |
প্রধান আমদানি অংশীদার | চীন ৩৭% দক্ষিণ কোরিয়া ৮.১% জার্মানি ৬.৫% তুরস্ক ৬.৩% ভারত ৬.২% (২০১৭)[18] |
এফডিআই স্টক | দেশে: $৪৬.১ বিলিয়ন (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, আনু.) (৫৮তম; ২০১৫) দেশের বাইরে: $৪.৫৬৫ বিলিয়ন (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, আনু.) (৬৭তম; ২০১২) |
মোট বৈদেশিক ঋণ | $৭.১১৬ বিলিয়ন (২০১৬, আনু.) $৫.২৪৮ বিলিয়ন (২০১৫, আনু.)[7] |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | জিডিপির ১২.২% (২০১৭, আনু.) জিডিপির ১৩.৪% (২০১৬, আনু.)[7] note: Public debt is 40% of GDP when including government arrears to the private sector and publicly guaranteed debt[20] |
রাজস্ব | $৬১.৯৫ বিলিয়ন (এক্সচেঞ্জ রেটের ভিত্তিতে, ক্রয়ক্ষমতা সক্ষমতা নয়)[7] |
ব্যয় | $৬৮.৭২ বিলিয়ন (২০১৫, আনু.) (এক্সচেঞ্জ রেটের ভিত্তিতে)[7] |
ঋণ পরিশোধে ঝুঁকির মূল্যায়ন | Economist Intelligence Unit: CCC (সার্বভৌমত্ব ঝুঁকি) CCC (তারল্য ঝুঁকি) CC (ব্যাংক খাতে ঝুঁকি) CC (রাজনৈতিক ঝুঁকি) B (অর্থনৈতিক গঠনে ঝুঁকি) CC (Country risk) (ফেব্রুয়ারি ২০১৪)[21] |
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার | $১৩৫.৫ বিলিয়ন (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, আনু.) $১১০ বিলিয়ন (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, আনু.)[7] |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
ইরানের অর্থনীতিতে ধস নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনের পর ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে এর প্রভাব পড়ায়। ফলে প্রায় ৬০০,০০০ ব্যারেল তেল রফতানি হ্রাসসহ অর্ধেক আমদানি ও রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।[30][31] ইরানের অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হল যাকে তারা বনিয়াদ নামক বহু ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের উপস্থিতি। এদের সম্মিলিত বাজেটের পরিমাণ কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়ের চেয়েও ৩০ শতাংশ বেশি।[32]