ইউরেশীয় গেছোচড়ুই
পাখি প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইউরেশীয় গেছোচড়ুই (বৈজ্ঞানিক নাম: Passer montanus) বা লালচেমাথা চড়ুই Passeridae (প্যাসারিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Passer (প্যাসার) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির চড়ুই।[2][3] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। ইউরেশীয় গেছোচড়ুইয়ের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ পাহাড়ি চড়ুই (লাতিন: passer = চড়ুই, montanus = পাহাড়ি)।[3] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[4] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[3]
ইউরেশীয় গেছোচড়ুই | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | পিসিফর্মিস |
পরিবার: | Passeridae |
গণ: | Passer |
প্রজাতি: | P. montanus |
দ্বিপদী নাম | |
Passer montanus ( লিনিয়াস, ১৭৫৮) | |
আফ্রো-ইউরেশীয় বিস্তৃতি
গ্রীষ্মকালীন প্রজননস্থল | |
প্রতিশব্দ | |
|
ইউরেশীয় গেছোচড়ুইের চাঁদি ও ঘাড় লালচে-বাদামি এবং দুই গালে সাদার ওপর কালো ছোপ থাকে। এ বৈশিষ্ট্য দেখে পাতি চড়ুই থেকে এদের সহজে আলাদা করা যায়। এছাড়া পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী-পুরুষ দুটোই দেখতে একরকম; অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি একটু ফ্যাকাসে বর্ণের। ইউরেশিয়া আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণ অঞ্চলসমূহে এরা প্রজনন করে এবং এসব অঞ্চলে এদের গেছোচড়ুই নামে ডাকা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এ পাখিটি অবমুক্ত করা হয়েছে এবং সেখানে এদের নাম জার্মান চড়ুই। মূলত আমেরিকান গেছোচড়ুই থেকে আলাদা করার জন্য এদের এমন নামকরণ হয়েছে। ইউরেশীয় গেছোচড়ুইের অনেকগুলো উপপ্রজাতি থাকলেও তাদের মধ্যে দৃষ্টিগ্রাহ্য পার্থক্য নেই বললেই চলে।