![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8e/Metal_yield.svg/langbn-640px-Metal_yield.svg.png&w=640&q=50)
অস্থিতিস্থাপকতা (নমনীয় পদার্থ)
বলপ্রয়োগে উপাদানের স্থায়ী ও অপ্রত্যাবর্তনীয় বিকৃতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
পদার্থবিজ্ঞানের আলোচনায় কোনও কঠিন কিন্তু নমনীয় উপাদানের অস্থিতিস্থাপকতা (Plasticity) বলতে ঐ উপাদানের উপর বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করা হলে সেটির স্থায়ী ও অপ্রত্যাবর্তী রূপবিকার (আকার-আকৃতির পরিবর্তন) হবার যান্ত্রিক ধর্মটিকে নির্দেশ করা হয়।[1][2] যেমন কোনও কঠিন ধাতুখণ্ডকে বাঁকালে বা হাতুড়ি দিয়ে পেটালে সেটির আকৃতি সেটি স্থায়ীভাবে বিকৃত হয়ে যায়, কেননা এটির অভ্যন্তরে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে। এর কাছাকাছি কিন্তু বিরল আরেকটি ঘটনা হল অস্থায়ী অস্থিতিস্থাপকতা (Anelasticity), যেখানে প্রযুক্ত বল অপসারণ করার পর রূপবিকারগ্রস্ত উপাদানটি তাৎক্ষণিকভাবে নয়, বরং কিছু সময় পরে আদি আকার-আকৃতিতে ফেরত যায়।
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
![]() | এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
![থাম্বা](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8e/Metal_yield.svg/320px-Metal_yield.svg.png)
![থাম্বা](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f1/Stress_v_strain_A36_2.svg/640px-Stress_v_strain_A36_2.svg.png)
সাধারণত কোনও উপাদানের উপরে বাইরে থেকে বল (টানা বল বা সংকোচক বল) প্রয়োগ করলে সেটির আকৃতির পরিবর্তন ঘটে ও রূপবিকার শুরু হয়। এই রূপবিকারটি একটি সীমা পর্যন্ত স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে, অর্থাৎ ধাতুর রূপবিকারটি অস্থায়ী ও প্রত্যাবর্তী আচরণ প্রদর্শন করে ও বল অপসারণ করলে ধাতুটি তার আদি আকৃতিতে ফেরত আসে। এই সীমাটিকে পদার্থটির স্থিতিস্থাপক সীমা (Elastic limit) বলে। কিন্তু স্থিতিস্থাপক সীমা অতিক্রম করলে পদার্থটি আর তার আগের আকৃতিতে ফেরত আসে না, বরং তার রূপবিকার একটি স্থায়ী রূপ ধারণ করে; পদার্থের এই ধর্মটিকেই অস্থিতিস্থাপকতা বলে। পদার্থের স্থিতিস্থাপক আচরণ থেকে অস্থিতিস্থাপক আচরণে রূপান্তরের ঘটনাটি প্রকৌশলে নতি (Yielding) হিসাবে পরিচিত ।
বেশিরভাগ উপাদান পদার্থেই, বিশেষ করে ধাতু, মৃত্তিকা, শিলা , কংক্রিট এবং ফেনাতে অস্থিতিস্থাপক রূপবিকার পরিলক্ষিত হয়।[3][4][5][6] বিভিন্ন ধরনের ভৌত প্রক্রিয়া অস্থিতিস্থাপক রূপবিকার ঘটাতে পারে। ধাতুতে অস্থিতিস্থাপকতা সাধারণত স্থানচ্যুতির পরিণতি। এই ধরনের ত্রুটিগুলি সিংহভাগ স্ফটিক-জাতীয় পদার্থের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বিরল। কোষীয় উপাদান যেমন তরল ফেনা বা জৈবিক দেহকলাতে অস্থিতিস্থাপকতা প্রধানত বুদবুদ বা কোষের পুনর্বিন্যাসের (বিশেষত টি১ প্রক্রিয়াগুলির) ফলাফল।
অনেক নমনীয় ধাতু একটি নমুনায় প্রথমে একটি স্থিতিস্থাপক আচরণ করবে। ভারের বৃদ্ধির সাথে সাথে আনুপাতিক হারে প্রসারণ হয়ে থাকে। যখন ভার সরানো হয়, টুকরাটি তার আসল আকৃতিতে ফিরে আসে। যখন ভার একটি স্থিতিস্থাপক সীমা অতিক্রম করলে স্থিতিস্থাপক অঞ্চলের তুলনায় প্রসারণ আরও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় যখন বল সরানো হয়, কিছু মাত্রায় প্রসারণ অবশিষ্ট থেকে যায়।
স্থিতিস্থাপক রূপবিকারেরর গুণমান নির্ভর করে বিবেচিত সময় এবং বলের গতির উপর। যদি বিপরীত গ্রাফে[lower-alpha 1] নির্দেশিত বিকৃতিতে স্থিতিস্থাপক বিকৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে তবে এটি প্রায়শই "ইলাস্টো-প্লাস্টিক বিকৃতি" বা "ইলাস্টিক-প্লাস্টিক বিকৃতি" হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।
যে উপাদানের নিখুঁত নমনীয়তা চাপ বা লোড বৃদ্ধি ছাড়াই অপরিবর্তনীয় বিকৃতির মধ্য দিয়ে যায়। যে উপাদানগুলি যেগুলি পূর্বের বিকৃতি দ্বারা শক্ত হয়ে গেছে ,সেগুলো আরও বিকৃত করার জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ চাপের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত প্লাস্টিকের বিকৃতিও বিকৃতির গতির উপর নির্ভর করে, অর্থাৎ বিকৃতির হার বাড়াতে উচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এই জাতীয় উপকরণগুলিকে "সান্দ্র-অস্থিতিস্থাপকভাবে রূপবিকারগ্রস্ত" বলে বলা হয় ।