২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
উইকিপিডিয়া নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব একটি অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা ২০১৯ সালের অক্টোবর এবং নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত উক্ত খেলার মাধ্যমেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান-এ অনুষ্ঠেয় ২০২১ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার দল নির্বাচন করা হবে।[3][4]
তারিখ | ১৮ অক্টোবর – ২ নভেম্বর ২০১৯[1] |
---|---|
তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
ক্রিকেটের ধরন | টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন, প্লে-অফ |
আয়োজক | সংযুক্ত আরব আমিরাত |
বিজয়ী | নেদারল্যান্ডস[2] |
রানার-আপ | পাপুয়া নিউগিনি |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ১৪ |
খেলার সংখ্যা | ৫১ |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | গেরহার্ড ইরাসমাস |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | পল স্টার্লিং (২৯১) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | বিলাল খান (১৮) |
← ২০১৫ ২০২২ → |
গ্রুপ পর্বের বাছাইপ্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ এর ২৬ ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টিনাতে[5] মোট ৬২টি সহযোগী সদস্য দলের মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা ৬১টি দল নিয়ে।[টীকা 1] দলগুলোর মধ্যে, ২৫টি দল ২০১৯ সালে আঞ্চলিক ফাইনালে অগ্রসর হয়ে যায়,[6] শীর্ষ সাত দলকে সাথে নিয়ে [টীকা 2] বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতার প্রতি অগ্রসর হতে থাকে।[4] এই দলগুলো ২০১৫ বাছাইপর্বের শীর্ষ ৬টি দলের সাথে যুক্ত হবে। ঐ দলগুলো আইসিসির নির্ধারিত করে দেয়া তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইসিসি টি২০আই চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার সেরা ১০ দল[4] এবং আয়োজক গণ্য হবে না। [7]
২০১৮ ফেব্রুয়ারিতে, আমেরিকাস গ্রুপের উদ্বোধনী খেলায় আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও বারমুডা উপ-অঞ্চলীয় বাছাইপর্বের ফাইনালে পৌছে যায়। [8][9]
এপ্রিল ২০১৮তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ঘোষণা করে, ১ জানুয়ারী ২০১৯ থেকে সদস্য দেশের মধ্যকার অনুষ্ঠিত সকল টুয়েন্টি২০ খেলা আন্তর্জাতিক খেলার মর্যাদা পাবে। অতপর আঞ্চলিক ফাইনাল এবং বাছাইপর্বের অনুষ্ঠিত সকল খেলা হবে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) মর্যাদা সম্পন্ন।[10] আইসিসি কর্তৃক জিম্বাবুয়ে নিষিদ্ধ হলে, জিম্বাবুয়ের বদলি হিসেবে নাইজেরিয়াকে প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[11]
পাপুয়া নিউ গিনি গ্রুপ এ থেকে নেদারল্যান্ডসকে নেট রান রেটে পেছনে ফেলে প্রথম দল হিসাবে ২০২০ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[12] প্রথমবারের মতো পাপুয়া নিউ গিনি বিশ্বকাপের কোন সংস্করণে খেলার যোগ্যতা অর্জ করে।[13] আয়ারল্যান্ড নেট রান রেটে বি গ্রপের শীর্ষে অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসাবে আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[14] উভয় দল প্লেঅফ খেলায় অগ্রসর হয়।[15] তাদের সাথে যোগ দেয় গ্রুপ এ থেকে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ড, এবং গ্রুপ বি থেকে ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকং [16]
বাছাই প্লে অফের ১ম খেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস টি২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে।[17] ২য় বাছাই খেলায় দেখা যায় ওমানকে ৫৪ রানে হারিয়ে নামিবিয়া টি২০ বিশ্বকাপে অগ্রসর হয়ে যায়।[18] প্রতিযোগিতার আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৯০ রানে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড তাদের স্থান পোক্ত করে নেয়।[19] সর্বশেষ বাছাই খেলায় দেখা যায় হংকংকে অল্প ব্যবধানে পরাজিত করে ওমান সবশেষ দল হিসাবে টি২০ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[20]
পঞ্চম স্থান প্লে অফ খেলায় স্কটল্যান্ড ওমানকে পরাজিত করে।[21] ১ম সেমি ফাইনাল খেলায় নেদারল্যান্ডস আয়ারল্যান্ডকে ২১ রানে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়।[22] দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামিবিয়াকে ১৮ রানে পরাজিত করে পাপুয়া নিউ গিনি তাদের ফাইনাল নিশ্চিত করে।[23]
টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও চূড়ান্ত খেলায় পাপুয়া নিউ গিনি ৮ উইকেটে ১২৮ রান সংগ্রহ করে, পরে জবাবে নেদারল্যান্ডসের ১৯ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে শিরোপা জিতে নেয়।[2]