২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ
ফুলবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ১৭তম আসরের / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ (কোরীয়: 2002 FIFA 월드컵 한국/일본; জাপানী: 2002 FIFAワールドカップ 韓国/日本) চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ১৭তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব ছিল, যেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এই প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে ২০০২ সালের ৩১শে মে হতে ৩০শে জুন তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৩১শে মে তারিখে এক নিলামের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
2002 FIFA 월드컵 한국/일본 2002 FIFA Woldeu Keop Hanguk/Ilbon 2002 FIFAワールドカップ 韓国/日本 2002 FIFA Waarudo Kappu Kankoku/Nippon | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | দক্ষিণ কোরিয়া জাপান |
তারিখ | ৩১ মে – ৩০ জুন |
দল | ৩২ (৫টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ২০ (২০টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ব্রাজিল (৫ম শিরোপা) |
রানার-আপ | জার্মানি |
তৃতীয় স্থান | তুরস্ক |
চতুর্থ স্থান | দক্ষিণ কোরিয়া |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৬৪ |
গোল সংখ্যা | ১৬১ (ম্যাচ প্রতি ২.৫২টি) |
দর্শক সংখ্যা | ২৭,০৫,১৯৭ (ম্যাচ প্রতি ৪২,২৬৯ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | রোনালদো (৮ গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | অলিভার কান |
সেরা যুব খেলোয়াড় | ল্যান্ডন ডনোভ্যান |
সেরা গোলরক্ষক | অলিভার কান |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | বেলজিয়াম |
← ১৯৯৮ ২০০৬ → |
এশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম এই বিশ্বকাপে সর্বমোট ৩২টি দল খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। এই বিশ্বকাপটি আমেরিকা এবং ইউরোপের বাইরে প্রথম বিশ্বকাপ হওয়ার একই সাথে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। এই বিশ্বকাপে চীন, ইকুয়েডর, সেনেগাল এবং স্লোভেনিয়া তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছিল।
এই প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি অবাক করা ফলাফল ঘটেছিল, যার মধ্যে পূর্ববর্তী চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স শুধুমাত্র একটি মাত্র পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল এবং একই সাথে এই আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল আর্জেন্টিনাও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ কোরিয়া বিতর্কিতভাবে সেমিফাইনালে উঠেছিল; যেখানে পৌঁছাতে তারা পর্তুগাল, ইতালি এবং স্পেনকে পরাস্ত করেছিল। এর ফলস্বরূপ দক্ষিণ কোরিয়া ইউরোপ এবং আমেরিকার বাইরে থেকে প্রথম এবং একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে, দুই অন্যতম শক্তিশালী দল, ব্রাজিল জার্মানিকে ২–০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এবং একমাত্র দেশ হিসাবে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছিল।[1] এই জয়ের ফলে ব্রাজিল ২০০৩ এবং ২০০৫ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে, তুরস্ক ৩–২ গোলে জয়লাভ করেছিল; এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে তুরস্ক তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। এই ম্যাচে তুরস্কের হাকান শুকুর ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে (কিক-অফের মাত্র ১০.৮ সেকেন্ডে) দ্রুততম গোল করেছিল।[2]
এই বিশ্বকাপের ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বশেষ বারের মতো গোল্ডেন গোল নিয়ম ব্যবহার করা হয়েছিল।