হীরক
From Wikipedia, the free encyclopedia
হীরক বা হীরা বা হীরে হল সর্বাপেক্ষা মূল্যবান একটি রত্ন যা গহনা তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হয়। বর্ণহীন এ রত্নটি একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান কার্বন থেকে সৃষ্ট। [1] অন্য ভাষায় হীরক কার্বনের একটি বিশেষ রূপ মাত্র। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২৬০০০ কে.জি. খনিজ হীরা উত্তোলিত হয় যার মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। কথিত আছে, হীরক সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে মূল্যবান হিসেবে খনি থেকে উত্তোলন ও ব্যবহার করা শুরু হয়। হীরা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে কমপক্ষে ৩ থেকে ৬ হাজার বছর ধরে পরিচিত বলে অনুমান করা হয়। মানুষের জানা সকল প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে হীরা অনেক বেশি শক্ত এবং এটি দিয়ে উচ্চতম তাপমাত্রা পর্যন্ত কাজ সম্ভব। হীরাকে আদর্শ ধরে তৈরি করা খনিজের কাঠিন্য পরিমাপ করার মোহ স্কেলের ১-১০এ অনুযায়ী হীরার কাঠিন্য ১০। ভূ-অভ্যন্তরে প্রায় ১৪০ থেকে ১৯০ কি.মি. নিচে পৃথিবীর কেন্দ্র ও পৃথিবীর আবরণের মাঝে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে হীরা গঠিত হতে প্রায় ১ থেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর সময় লাগে বলে বৈজ্ঞানিকদের ধারণা। গবেষকদের মতে, সকল হীরাই পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে এমন নয়; পৃথিবীতে এমন অনেক হীরা পাওয়া গেছে যেগুলো পৃথিবীর বাইরে তৈরী।
হীরক | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
শ্রেণী | বিশুদ্ধরূপে প্রাপ্ত |
রাসায়নিক সূত্র | C |
সনাক্তকরণ | |
পেষক ভর | ১২.০১ গ্রাম/মোল |
বর্ণ | সাধারণত আদর্শ হীরা হলুদ, বাদামী এবং ধূসর থেকে বর্ণহীন হয়ে থাকে। তবে নীল, সবুজ, কালো, অর্ধ-স্বচ্ছ সাদা, গোলাপী, বেগুনী, কমলা, রক্তাভ এবং লাল বর্ণের হীরাও পাওয়া যায়। |
স্ফটিক রীতি | অষ্টতলাকার |
স্ফটিক পদ্ধতি | পৃষ্ঠতল কেন্দ্রিক ঘনক |
বিদারণ | ১১১ (চতুর্দিকেই যথার্থভাবে) |
কাঠিন্য মাত্রা | ১০ (প্রকৃতিতে প্রাপ্ত পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি) |
ডোরা বা বর্ণচ্ছটা | বর্ণহীন |
আপেক্ষিক গুরুত্ব | ৩.৫– ০.০১/+০.০১ |
ঘনত্ব | ৩.৫ - ৩.৫৩ গ্রাম/ঘন সে.মি. |
আলোকিক বৈশিষ্ট্য | এক প্রতিসরী |
প্রতিসরাঙ্ক | ২.৪১৮ (৫০০ ন্যানো-মিটারে) |
বিচ্ছুরণ | ০.০৪৪ |