![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/1b/Homs_Collage.jpg/640px-Homs_Collage.jpg&w=640&q=50)
হিমস
From Wikipedia, the free encyclopedia
হোমস (/hɔːms/;[2] আরবি: حمص / ALA-LC: Ḥimṣ), যা পূর্বে "এমেসা" নামেও পরিচিত ছিল (গ্রীক: Ἔμεσα Emesa),[3] এটি সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহর এবং হোমস এই প্রদেশের রাজধানী। এই শহর সমুদ্র সমতল থেকে ৫০১ মিটার (১,৬৪৪ ফুট)উচ্চতায় এবং দামেস্কের ১৬২ কি.মি (১০১ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।[4]"ওরোন্টেস নদী বা, স্থানীয় ভাষায় আসি নদীর "তীরে এই শহরের অবস্থান। আভ্যন্তরীণ শহর ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের মধ্যে হোমসের কেন্দ্রীয় সংযোগ।
হোমস حمص Ḥimṣ | |
---|---|
![]() হোমস শহরের ল্যান্ডমার্ক নগর কেন্দ্র ও পুরনো ক্লক টাওয়ার • নতুন ক্লক টাওয়ার চত্ত্বর • দাবলান সড়ক • হুসন আল-আকরাদ • খালিদ বিন ওয়ালিদ স্টেডিয়াম • খালিদ বিন ওয়ালিদ মসজিদ • নতুন ক্লক টাওয়ার • ছাদ থেকে শহরের ল্যান্ডস্কেপ | |
ডাকনাম: খালিদ বিন ওয়ালিদের শহর | |
সিরিয়ায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৪°৪৩′৫১″ উত্তর ৩৬°৪২′৩৪″ পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
প্রদেশ | হোমস প্রদেশ |
জেলা | হোমস জেলা |
নাহিয়াহ | হোমস |
Settled | ২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব |
সরকার | |
• গভর্নর | গাসান মুস্তাফা আবদুল-আল[1] |
• নগর কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট | নাদিয়া সেইবি |
আয়তন | |
• শহর | ৪৮ বর্গকিমি (১৯ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৭৬ বর্গকিমি (২৯ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১০৪ বর্গকিমি (৪০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫০১ মিটার (১,৬৪৪ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৬) | |
• শহর | ২,০০,০০০ |
সময় অঞ্চল | EET (ইউটিসি+2) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | EEST (ইউটিসি+3) |
এলাকা কোড | ০৩১ |
সিরিয়ান যুদ্ধের পূর্বে হোমস একটি প্রধান শিল্পকেন্দ্র ছিল। ২০০৪ সালে শহরের লোকসংখ্যা ছিল ৬,৫২,৬০৯।[5] উত্তরে আলেপ্পো ও দক্ষিণে দামেস্কের পর হোমস ছিল সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর। শহরের জনগণের মধ্যে সুন্নি, আলাউয়ি ও খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী রয়েছে। শহরে অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ ও গির্জা রয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে সেলুকিদের পূর্ব পর্যন্ত হোমসের কোনো বর্ণনা ঐতিহাসিক বিবরণে পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে এই শহর এমেসার রাজপরিবারের রাজধানী হয়েছিল। তারা শহরকে এর নাম দেয়। এটি মূলত সূর্য দেবতা এল-গাবালের উপাসনার কেন্দ্র হলেও পরবর্তীতে বাইজেন্টাইনদের অধীনে শহরটি খ্রিষ্টান ধর্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। ৭ম শতাব্দীতে মুসলিমরা হোমস জয় করে এবং "জুন্দ" হোমসের রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলে। শহরের কৌশলগত অবস্থানের কারণে সিরিয়া নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছাপোষণকারী শাসকরা হিমসের দিকে বেশি দৃষ্টি দিতেন। উসমানীয় যুগে হিমস তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তবে ১৯শ শতাব্দীতে তুলা শিল্পের বিকাশের ফলে হোমস পুনরায় অর্থনৈতিক গুরুত্ব ফিরে পায়। ফরাসি শাসনামলে হিমসে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতার পর শহরটি বাথপন্থি প্রতিরোধের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠে।
চলমান সিরিয়ান গৃহযুদ্ধে হোমস বিরোধী পক্ষের শক্তঘাটি হয়ে উঠে। ২০১১ সালের মে মাসে সিরিয়ান সরকার শহরে সামরিক হামলা চালায়। লড়াইয়ের ফলে শহরের অধিকাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং হাজার হাজার বাসিন্দা মৃত্যুবরণ করে।[6][7]