হালুয়াঘাট উপজেলা
ময়মনসিংহ জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ময়মনসিংহ জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হালুয়াঘাট উপজেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
হালুয়াঘাট | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে হালুয়াঘাট উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৭′৩০″ উত্তর ৯০°২১′০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
সরকার | |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ |
আয়তন | |
• মোট | ৩৫৭.৮০ বর্গকিমি (১৩৮.১৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,৯০,০৪৩ |
• জনঘনত্ব | ৮১০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৪.৭৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৬১ ২৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণে ফুলপুর উপজেলা, পূর্বে ধোবাউড়া উপজেলা, পশ্চিমে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা।
হালুয়াঘাট উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হালুয়াঘাট থানার আওতাধীন।[2]
হালুয়াঘাট শত্রুমুক্ত হয় ৭ ডিসেম্বর। এই থানার সবচেয়ে ভয়াবহ ও ঐতিহাসিক তেলিখালী যুদ্ধ সংঘঠিত হয় ৩ নভেম্বর। পাকবাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি ছিলো এই তেলিখালী। এখানে মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনী যৌথভাবে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন আবুল হাসেম, মিত্রবাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন কর্নেল রঘুবন সিং এবং এই যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন সন্ত সিং (বাবাজি)। মুক্তিবাহিনীর পাঁচটি কোম্পানি এবং মিত্রবাহিনী তেলিখালী ক্যাম্পে তিন দিক থেকে আক্রমণ চালায়। যুদ্ধ চলে রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত। এতে খতম হয় ১২৪ জন পাকসেনা, ২৫ জন রেঞ্জার এবং ৮৫ জন রাজাকার। আত্মসমর্পণ করেন একজন পাকসেনা ও দুজন রাজাকার। শহিদ হন ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২১ জন মিত্রবাহিনীর সদস্য। শহিদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন –
মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচটি কোম্পানি হলো –
এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর আহম্মদ আলী মাস্টারের বাড়িতে তাকে ধরার জন্য পাক বাহিনী গেলে তিনি তিন রাত পুকুরে ডুব দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। তাছাড়া ৬টি কাট-আপ পার্টিতে বিভিন্ন কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধার যোগ দিয়েছিলেন এই তেলিখালী যুদ্ধে। হালুয়াঘাট থানায় আরও অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- নাগলা ব্রিজ ধ্বংস (২৩ জুলাই), বিজয়পুর যুদ্ধ (২৮ জুলাই), আইলাতলী ব্রিজ ধ্বংস (৫ আগস্ট), বান্দরঘাটা যুদ্ধ (৬ আগস্ট), কড়ইতলী যুদ্ধ (৬ সেপ্টেম্বর) এবং ধারা যুদ্ধ (৮ ডিসেম্বর)। ৬ আগস্টের বান্দরঘাটা যুদ্ধে শহিদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, রিয়াজউদ্দিন এবং আবদুস সালাম।[3]
এই অঞ্চল কৃষিনির্ভর। প্রধান কৃষি ফসল হলো ধান। ধান ছাড়াও আরও নানা ধরনের ফসল এর চাষ হয়। গম,ভুট্টার চাষাবাদ ধান এর পরেই। তরকারি তথা শাকসবজি উৎপাদনে এই অঞ্চল অন্যতম। প্রায় সব ধরনের আবাদি ফসল এর চাষাবাদ হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন ফল যেমন: আম, জাম, কলা, লিচু, তাল, নারিকেল, খেজুর ইত্যাদি পাওয়া যায়৷
হালুয়াঘাট উপজেলায় তিনটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে ভোগাই নদী, কংস নদী এবং মালিজি নদী।[4][5]
ক্রম নং. | উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম | কার্যকাল |
---|---|---|
০১ | জনাব এমদাদুল হক মুকুল | ১৯৮৫-১৯৮৬ |
০২ | জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া (ভারপ্রাপ্ত) | ১৯৮৭-অজানা |
০৩ | জনাব আলী আজগর | ১৯৮৭-১৯৯০ |
০৪ | অধ্যক্ষ আব্দুল হাই | ১৯৯০-১৯৯১ |
০৫ | জনাব আলী আজগর | ২০০৯-২০১৪ |
০৬ | জনাব ফারুক আহমেদ খান | ২০১৪-২০১৯ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.