হামদর্দ পাবলিক কলেজ
ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হামদর্দ পাবলিক কলেজ বাংলাদেশের ঢাকার ধানমন্ডি থানায় অবস্থিত একটি কলেজ। এটি ১৩ই জুন ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।[1]
নীতিবাক্য | শিক্ষায় অগ্রগতি, জ্ঞানে অগ্রগতি |
---|---|
ধরন | স্বায়ত্তশাসিত |
স্থাপিত | ২০১০ |
প্রতিষ্ঠাতা | হাকিম মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া |
অধিভুক্তি | হামদর্দ (ওয়াক্ফ) ল্যাবরেটরীজ |
ইআইআইএন | ১৩৪২০৯ |
চেয়ারম্যান | লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম |
অধ্যক্ষ | মোঃ নজরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫৭ |
শিক্ষার্থী | ১৫৫০ |
অবস্থান | 151/8, Green Road, Panthapath (Panthapath Signal), Dhaka-1205 , Bangladesh ২৩.৭৫০৫১৮° উত্তর ৯০.৩৮৬৮১০° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | hamdardpubliccollege |
হামদর্দ পাবলিক কলেজ ২০১০ সালে দাতব্য সংস্থা হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ্) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম মোহাম্মদ হারুন ভুঁইয়ার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[1][2] প্রতিষ্ঠার চতুর্থ বছরে কলেজটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সমস্ত কলেজের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে ১৯তম স্থান অর্জন করেছে।[1] এটি প্রতি বছর শতভাগ পাসের হার এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ অর্জনকারীদের সাথে সফল ধারা অব্যাহত রেখেছে। এটি ২০১৪ সাল হতে ধারাবাহিকভাবে ধানমন্ডি থানায় প্রথম স্থান দখল করে আসছে।[3][4]
২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে মাত্র ১৪জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে কলেজটি। এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা।
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে মোট ৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেন ৯২ জন। জিপিএ-৫ পান ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী। এ ব্যাচ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন ১৯জন শিক্ষার্থী।[5]
ঢাকা বিভাগ "বাংলাদেশ বোটানি অলিম্পিয়াড ২০১৮"- এ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতায় কলেজটি ১০টি পুরস্কারের মধ্যে ৯টি সরাসরি দখল করে, এবং দশম পুরস্কারটি ভাগ করে নেয়।[6][7]
"উই ওয়ান্ট জাস্টিস" স্লোগানে ৩রা আগস্ট ২০১৮ সালে হামদর্দ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যোগ দিয়ে মিরপুরে বিক্ষোভ করেন।[8]
কলেজের উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।[9]
২০২১ সালের ২৮শে নভেম্বর হামদর্দ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আবারও রাজপথে নেমে পড়েন।[10][11]
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের কেন্দ্রে কলেজটি অবস্থিত।
কলেজটি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। কলেজটির বর্তমান গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এ.টি.এম জহিরুল আলম। এটি ঢাকার ধানমন্ডি থানার পান্থপথ সিগনাল সংলগ্ন গ্রীন রোডে অবস্থিত বহুতল ভবন সমৃদ্ধ একটি কলেজ। হামদর্দ পাবলিক কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বৃহত্তম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ আবাসিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য চারটি (ছাত্রদের জন্য দুটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুটি) পূর্ণাঙ্গ ছাত্রাবাস রয়েছে। এসব ছাত্রাবাসে প্রায় ১২০০ জন শিক্ষার্থী বসবাস করতে পারে। কলেজটিতে একটি প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন এবং একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ এখনও চলছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষা, শৃঙ্খলা,দেশপ্রেম ও সততা – এই চারটি হলো কলেজটির মূলমন্ত্র।
প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে এখানে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান শাখা (বাংলা মাধ্যম) ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার (বাংলা মাধ্যম) কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে এই কলেজে কোনো মানবিক শাখা নেই। কলেজটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রভাতি ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য দিবা শিফট সচল আছে। পাঠদানের ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। শিক্ষাবর্ষকে তিনটি সাময়িকে বিভক্ত করে পাঠদান করা হয়। সাময়িক পরীক্ষা ছাড়াও প্রতি মাসে একটি করে মাসিক পরিক্ষা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাঠ-অনুশীলন ও মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে শ্রেণির কাজ ও বাড়ির কাজ দেয়া হয়। আর্থিক-অসচ্ছল শিক্ষার্থীদেরকে হামদর্দ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বৃত্তি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করা হয়। অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষবৃন্দ শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রদের পাঠোন্নতি নিয়মিতভাবে মনিটরিং করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এখানে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাতঃকালীন শরীরচর্চা ও বৈকালিক খেলাধুলা বাধ্যতামূলক। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবল, বাস্কেটবল নিয়মিত খেলা হয়। এ ছাড়া ছাত্রীদের জন্য টেবিল টেনিস, ক্যারম, দাবা প্রভৃতি আন্তঃকক্ষ খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে। বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সাংবাৎসরিক সাপ্তাহিক আন্তঃহাউস মঞ্চ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিতর্ক, কুইজ, বাংলা ও ইংরেজি বানান, আযান, ক্বিরাত, হামদ-নাত ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহের আয়োজনে বক্তৃতা, আবৃত্তি, অভিনয়, গল্প বলা, নাট্যানুষ্ঠান, সঙ্গীতানুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি চিত্তাকর্ষক ও মনোজ্ঞ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রদের বিজ্ঞানভিত্তিক মেধা বিকাশ এবং তাদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়। ডাক টিকেট সংগ্রহ, চিত্রাংকন, ছবি তোলা, বাগান করা, মাটির কাজ, সঙ্গীতচর্চা, কাবিং, স্কাউটিং, নাট্যচর্চা, বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, ব্যান্ড শিক্ষা প্রভৃতি কার্যক্রমও নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর প্রতি ছাত্ররা একটি চিত্তাকর্ষক দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করে। এছাড়া নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হয় কলেজ বার্ষিকী, বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ও বিতর্ক স্যুভিনির। প্রতিটি কাজই শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালনা করা হয়। সারা বছর কলেজটিতে বিভিন্ন ক্লাব পরিচালিত হয়। ক্লাবগুলো হলো: [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.