Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হংকং জাতীয় ফুটবল দল (চীনা: 香港足球代表隊) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে হংকংয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম হংকংয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হংকং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৫৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৯৭ সালের পূর্বে যুক্তরাজ্যের একটি উপনিবেশ থাকাকালীন আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় দলটি হংকংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিল। ১৯৯৭ সালে হংকংয়ের গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের হাতে হস্তান্তর করার পরও হংকংয়ের প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত থাকে এবং ১৯৯৭ সালে হংকং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হয়ে ওঠে। এই দল জাতীয় দলের থেকে একটি আলাদা দল ছিল। চীনের গণপ্রজাতন্ত্রী মূল আইন এবং "এক দেশ, দুই নিয়ম" এই নীতির মাধ্যমে হংকংকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিনিধি দল হিসেবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। ১৯৪৭ সালের ২০শে এপ্রিল তারিখে, হংকং প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; হংকংয়ের মং ককে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে হংকং দক্ষিণ ভিয়েতনামকে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ডাকনাম | শক্তি | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | হংকং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | মিক্সু পাতেলাইনেন | ||
অধিনায়ক | হুয়াং ইয়াং | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | ইয়াপ ফুং ফাই (৭৬) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ছান সিউ কি (৩৭) | ||
মাঠ | মং কক স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | HKG | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | নেই (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[1] | ||
সর্বোচ্চ | ৯০ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬) | ||
সর্বনিম্ন | ১৭২ (নভেম্বর ২০১২) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৭৬ ৬ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[2] | ||
সর্বোচ্চ | ৫৮ (ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮) | ||
সর্বনিম্ন | ১৬৯ (আগস্ট ২০১৮) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
হংকং ৩–২ দক্ষিণ ভিয়েতনাম (মং কক, হংকং; ২০ এপ্রিল ১৯৪৭)[3] | |||
বৃহত্তম জয় | |||
হংকং ১৫–০ গুয়াম (তাইপেই, তাইওয়ান; ৭ মার্চ ২০০৫) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
চীন ৭–০ হংকং (কুয়াংচৌ, চীন; ১৭ নভেম্বর ২০০৪) হংকং ০–৭ প্যারাগুয়ে (সো কোন পো, হংকং; ১৭ নভেম্বর ২০১০) হংকং ০–৭ আর্জেন্টিনা (সো কোন পো, হংকং; ১৪ অক্টোবর ২০১৪) | |||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৩ (১৯৫৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | তৃতীয় স্থান ১৯৫৬ |
৭,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট মং কক স্টেডিয়ামে শক্তি নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় হংকংয়ের কাউলুনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন মিক্সু পাতেলাইনেন এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন কিতসির মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হুয়াং ইয়াং।
হংকং এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে হংকং এপর্যন্ত ৩ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৫৬ এএফসি এশিয়ান কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করা।
ইয়াপ ফুং ফাই, লি ছি-হো, ছান সিউ কি, অ্যালেক্স আকান্দে এবং জেমেস ম্যাককির মতো খেলোয়াড়গণ হংকংয়ের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। হংকংয়ে হংকং ফুটবল দলটিকে কথ্য ভাষায় "হংকং দল" (চীনা: 香港隊) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন চীনের জাতীয় দলকে "জাতীয় দল" (চীনা: 國家隊), বলা হয়।
হংকং ১৯৩৭ সালে "মাকাও-হংকং ইন্টারপোর্ট" খেলতে শুরু করে।[4] সাংহাই-হংকং ইন্টারপোর্টটি ১৯৩৫ সালে প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হয়।[5][6] সাইগন (এখন হো চি মিন সিটি)-এর বিরুদ্ধে আরেকটি ইন্টারপোর্ট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল।[7] হংকং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে, তবে তাদের প্রথম জয়টি আসে ১৯৫৩ সালে, উক্ত ম্যাচে তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪–০ ব্যবধানে পরাজিত করতে সমর্থ হয়।
হংকং ১৯৫৬ সালের এশিয়ান কাপের প্রথম চারটি সংস্করণে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে, যেখানে ১৯৫৬ সালে তারা তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সেই সময় হংকংয়ের খেলোয়াড়রা চীনের প্রতিনিধিত্ব করে। অতঃপর তারা ১৯৬০ সালের এশিয়ান কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। তবে খেলোয়াড়রা হংকংয়ের জাতীয় ফুটবল দলের খ্যাতি চীনের প্রজাতন্ত্রের মতোই ছিল না।[8] ১৯৫৪ এবং ১৯৫৮ সালের এশিয়ান গেমসও তারা জয়লাভ করতে সমর্থ হয়।
হংকং ফিফা বিশ্বকাপে খেলার জন্য কখনোই যোগ্যতা অর্জন করতে সমর্থ হয়নি। তবে, ১৯৮৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের সময় তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় জয়টি তারা অর্জন করতে পেরেছিল। ১৯৮৫ সালের ১লা মে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হংকংয়ের প্রথম চূড়ান্ত রাউন্ডের ম্যাচে তারা চীনের মুখোমুখি হয়, যেখানে হংকংয়ের উক্ত প্রতিযোগিতায় অগ্রসর হয়ে যাওয়ার জন্য জয়ের প্রয়োজন ছিল এবং চীনের কেবল একটি ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল। কোচ কুওক কাই মিংয়ের নেতৃত্বে হংকং, চেউং চী তাক এবং কু কাম ফাইয়ের করা গোলের মাধ্যমে, ২–১-এ একটি অসাধারণ জয়ের দেখা পায়, যার ফলে হংকং উক্ত ম্যাচে জয়লাভ করার সাথে সাথে নকআউট পর্বের দিকে অগ্রসর হয়ে যায়, যেখানে তারা পরবর্তীতে জাপানের কাছে হেরে যায়।
হংকংয়ের হ্রাসকৃত ফুটবলের মান ২০০৯ সালে একটি টার্নিং পয়েন্টের মুখ দেখতে পেয়েছিল। একই বছরের ১২ই ডিসেম্বর তারিখে হংকং জাপানকে পরাজিত করে এবং প্রথমবারের মতো কোন প্রধান প্রতিযোগিতায় হংকং ফুটবল দল জয়ের দেখা পায় এবং তারা এর ফলে প্রথমবারের মতো পূর্ব এশিয়ান গেমস ফুটবলে স্বর্ণপদক জয়লাভ করে। এই অপ্রত্যাশিত এবং বিস্ময়কর ফলাফল, হংকং ফুটবল দলের ফুটবল প্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ ঘটনা ছিল। হংকং ফুটবল দল ২০১০ সালের লং টেনগান কাপ এবং ২০১১ লং টিং কাপ জয়লাভ করতে সমর্থ হয়।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে হংকং তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৯০তম) অর্জন করে এবং ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৭২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে হংকংয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৫৮তম (যা তারা ১৯৪৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৬৯। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
|
|
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৪ | ৩ | ||||||||
১৯৭৮ | ১৩ | ৩ | ২ | ৮ | ১৫ | ৩১ | |||||||||
১৯৮২ | ৪ | ০ | ৩ | ১ | ৩ | ৪ | |||||||||
১৯৮৬ | ৮ | ৫ | ১ | ২ | ২০ | ৭ | |||||||||
১৯৯০ | ৬ | ০ | ৩ | ৩ | ৫ | ১০ | |||||||||
১৯৯৪ | ৮ | ২ | ১ | ৫ | ৯ | ১৯ | |||||||||
১৯৯৮ | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ৩ | ১০ | |||||||||
২০০২ | ৬ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | ১০ | |||||||||
২০০৬ | ৬ | ২ | ০ | ৪ | ৫ | ১৫ | |||||||||
২০১০ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ১১ | ৬ | |||||||||
২০১৪ | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ৮ | |||||||||
২০১৮ | ৮ | ৪ | ২ | ২ | ১৩ | ৫ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ৭৩ | ২৩ | ১৪ | ৩৬ | ৯১ | ১২৮ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.