স্টিডি বোনেট
বারবাডিয়ান জলদস্যু / From Wikipedia, the free encyclopedia
স্টিডি বোনেট (সি. ১৬৮৮[1] - ১০ ডিসেম্বর, ১৭১৮[2])[3] ছিলেন বার্বাডোসে জন্ম নেওয়া ১৮-শতকের প্রথম দিকের একজন জলদস্যু যিনি দ্য জেন্টলম্যান পাইরেট[4] হিসেবেও পরিচিত। জলদস্যুতা পেশায় আসার পূর্বে তিনি ছিলেন ধনী গৃহস্থ। বোনেট বার্বাডোস দ্বীপে ধনী এক ইংরেজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ও ১৬৯৪ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে তিনি বাবার সম্পত্তি লাভ করেন। ১৭০৯ সালে তিনি মেরি অ্যালামবি নামে এক নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ও কিছু কাল মিলিশিয়া কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। বৈবাহিক সমস্যা এবং সমুদ্রাভিযানের অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্তেও বোনেট ১৭১৭ সালের বসন্তে জলদস্যুতা পেশা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি একটি জাহাজ ক্রয় করেন ও তার ভাড়া করা ক্রুদের নিয়ে ইস্টার্ণ সমুদ্রতীরে (বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র) ভ্রমণ করেন। তিনি তার যাত্রা পথে অন্য কয়েকটি জাহাজ আটক করেন ও কিছু বারবাডিয়ান জাহাজ পুড়িয়ে দেন।
স্টিডি বোনেট | |
---|---|
— জলদস্যু — | |
ডাকনাম | দ্য জেন্টলম্যন পাইরেট |
ধরন | জলদস্যু |
জন্ম | সি. ১৬৮৮ |
জন্মস্থান | ব্রিজটাউন, বার্বাডোস |
মৃত্যু | ১০ ডিসেম্বর, ১৭১৮ |
মৃত্যুর স্থান | চার্লস্টোন, দক্ষিণ ক্যারোলিনা |
আনুগত্য | নাই |
কার্যকাল | ১৭১৭ - ১৭১৮ |
স্থান | ক্যাপ্টেন |
অপারেশনের বেজ | আটলান্টিক মহাসাগর, সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল এবং ক্যারিবীয় সাগর |
কমান্ড | রিভেঞ্জ, পরবর্তীতে রয়াল জেমস |
যুদ্ধসমূহ | কেপ ফিয়ার নদীপথের যুদ্ধ |
বোনেট বাহমাসের নাসাউ-এর দিকে যাত্র করেন কিন্তু পথে স্প্যানিশ এক যুদ্ধ জাহাজের সঙ্গে লড়াইয়ে মারাত্বকভাবে আহত হন। নাসাউয়ে পৌঁছার পর বোনেট আরেক বিখ্যাত জলদস্যু এডওয়ার্ড টীচ, যিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড নামেই অধিক পরিচিত তার সাথে সাক্ষাত হয় এবং ব্ল্যাকবিয়ার্ড ও বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড মিলে বোনেটরে জাহাজ আক্রমণ করেন ও নেতৃত্ত নেন। ১৭১৭ সালের ডিসেম্বরে তারা আলাদা হয়ে যাওয়ার পূর্বে ব্ল্যাকবিয়ার্ড ও বোনেট পূর্ব উপকূলে বণিক জাহাজ লুট করত। বোনেট প্রোটেস্টেন্ট সিজার লুট করতে ব্যার্থ হওয়ার পর তার ক্রুরা তার কমান্ড মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় ও ব্ল্যাকবিয়ার্ডের দলে যোগদান করে। বোনেট অতিথি হিসেবে ১৭১৮ সালের বসন্তের পূর্ব পর্যন্ত ব্ল্যাকবিয়ার্ডের কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ-এ অবস্থান করেন। সেসময় উত্তর ক্যারোলিনার শাষক চার্লস ইডেন বোনেটকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা করে দেন ও তাকে স্প্যানিশ জাহাজের বিরুদ্ধে প্রাইভেটিং করার সুযোগ দেন। বোনেট তার জলদস্যু পেশা ছাড়তে চাননি কিন্তু তার ক্ষমাও হারাতে চাননি। সুতরাং সে তার পদবী পরিবর্তন করে ক্যাপ্টেন থমাস এবং তার জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রয়াল জেমস নামকরণ করেন। জুলাই ১৭১৮ নাগাদ তিনি জলদস্যুতায় ফিরে গিয়েছিলেন।
আগস্ট ১৭১৮ সালে তার জাহাজ জেমস রয়্যাল মেরামতের জন্য কেপ ফেয়ার নদীতে নোঙগর করেছিলেন। পরবর্তীতে আগস্টের শেষে ও সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ ক্যারোলিনার শাষক রবার্ট জনসনের অনুমতি নিয়ে কর্ণেল উইলিয়াম র্যাট জলদস্যুতা নিমুর্লে কেপ নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। র্যাট ও বোনেটের লোকেরা কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধ করে কিন্তু প্রচুর জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। র্যাট জলদস্যুদের গ্রেফতার করে অক্টোবরের প্রথম দিকে চার্লস্টোন নিয়ে আসেন। ২৪ অক্টোবর বোনেট পালাতে সক্ষম হন কিন্তু সালিভান দ্বীপে পুনরায় গ্রেফতার হন। জলদস্যুতার দুটি অভিযোগে বোনেটকে ১০ নভেম্বর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। জজ নিকোলাস ট্রোট বোনেটকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন। বোনেট প্রশাসক জনসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পত্র লেখেন কিন্তু জনসন বিচারকের রায়ই বহাল রাখেন। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর, ১৭১৮ সালে বোনেটকে চার্লস্টোনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।