![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/7/7e/Lodhi_Garden_-_Muhammed_Shah%2527s_Tomb.jpg/640px-Lodhi_Garden_-_Muhammed_Shah%2527s_Tomb.jpg&w=640&q=50)
সৈয়দ রাজবংশ
From Wikipedia, the free encyclopedia
সৈয়দ রাজবংশ দিল্লি সালতানাতের চতুর্থ রাজবংশ। ১৪১৪ থেকে ১৪৫১ সাল পর্যন্ত এই রাজবংশ ক্ষমতায় ছিল। তুঘলক রাজবংশের পর তারা দিল্লির ক্ষমতায় আসে। পরবর্তীতে লোদি রাজবংশের মাধ্যমে তাদের সমাপ্তি হয়।
সৈয়দ রাজবংশ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
২৮ মে ১৪১৪–১৯ এপ্রিল ১৪৫১ | |||||||||
![]() লোদি উদ্যানে মুহাম্মদ শাহের মাজার, নয়াদিল্লি। | |||||||||
রাজধানী | দিল্লি | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | ফারসি (সরকারি)[1] | ||||||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||||||
সরকার | সালতানাত | ||||||||
সুলতান | |||||||||
• ১৪১৪–১৪২১ | খিজির খান | ||||||||
• ১৪৪৫–১৪৫১ | আলম শাহ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ২৮ মে ১৪১৪ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ১৯ এপ্রিল ১৪৫১ | ||||||||
|
সৈয়দ রাজবংশ নিজেদের সৈয়দ বা নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বংশধর বলে দাবি করত। তৈমুর লং এর আক্রমণের ফলে দিল্লি সালতানাতের কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বিশৃংখলার পর যখন কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ছিল না তখন সৈয়দরা দিল্লির ক্ষমতা লাভ করে। ৩৭ বছরের শাসনে চারজন শাসক শাসন করেন।
সৈয়দ খিজির খান সৈয়দ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। তৈমুর তাকে মুলতানের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ১৪১৪ সালের ২৮ মে খিজির খান দৌলত খান লোদির কাছ থেকে দিল্লির ভার গ্রহণ করেন এবং সৈয়দ রাজবংশের সূচনা ঘটান। কিন্তু তিনি সুলতান উপাধি ধারণ করেননি বরং তৈমুরি রাজবংশের রায়াত ই আলা বা সামন্ত হিসেবে শাসন পরিচালনা করেন।[2] ১৪২১ সালের ২০ মে খিজির খানের মৃত্যুর পর তার পুত্র সৈয়দ মোবারক খান তার উত্তরাধিকারী হন। তিনি তার মুদ্রায় মুইজউদ্দিন মোবারক শাহ নাম মুদ্রণ করেন। ইয়াহিয়া বিন আহমদ সিরহিন্দির লেখা তারিখ ই মোবারক শাহি বইয়ে তার শাসনামলের বিবরণ রয়েছে। মোবারক শাহের মৃত্যুর পর তার ভাতিজা মুহাম্মদ খান ক্ষমতা লাভ করেন এবং সুলতান মুহাম্মদ শাহ হিসেবে নামধারণ করেন। তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার পুত্র সৈয়দ আলাউদ্দিন শাহ-কে বাদাউন থেকে ডেকে পাঠান এবং তার উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন।
সৈয়দ রাজবংশের শেষ সুলতান আলাউদ্দিন আলম শাহ ১৯ এপ্রিল ১৪৫১ সালে স্বেচ্ছায় মুকুট ত্যাগ করেন। এরপর বাহলুল খান লোদি ক্ষমতায় আসেন। আলাউদ্দিন আলম শাহ বাদাউন চলে যান। ১৪৭৮ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন।[3]