![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/29/Cheui_Dynasty_581_CE.png/640px-Cheui_Dynasty_581_CE.png&w=640&q=50)
সুই সাম্রাজ্য
৫৮১ থেকে ৬১৮ অব্দি চীনের শাসক রাজপরিবার। / From Wikipedia, the free encyclopedia
সুই সাম্রাজ্য (চীনা: 隋朝; ফিনিন: Suí cháo; সুয়েই চাউ; কান্টনীয়: ৎসুই ৎসীউ) ছিল চীনের একটি স্বল্পস্থায়ী কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সাম্রাজ্য, যা ৫৮১ সাল থেকে ৬১৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সুইরা উত্তর ও দক্ষিণ সাম্রাজ্যকে একত্রিত করে এবং চীনের প্রাধান অংশে পুনরায় হান সম্প্রদায়ের রাজত্ব কায়েম করে। পরবর্তীতে তাং রাজবংশ তাদের পরাজিত করলেও তাদের মূলনীতিসমূহ গ্রহণ করে।[2]
সুই সাম্রাজ্য 隋朝 | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
৫৮১ খ্রিস্টাব্দশ–৬১৮ খ্রিস্টাব্দ | |||||||||||
![]() সুই সাম্রাজ্য (আনু. ৬০৯ খ্রিস্টাব্দ) | |||||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য | ||||||||||
রাজধানী | ডাক্সিন (৫৮১–৬০৫), লুওইয়াং (৬০৫–৬১৪) | ||||||||||
প্রচলিত ভাষা | মধ্যযুগীয় চীনা ভাষা | ||||||||||
ধর্ম | বৌদ্ধ ধর্ম, তাও ধর্ম, কনফুসীয় ধর্ম, চীনা লোকজ ধর্ম, জরাথুস্ট্রবাদ | ||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||||
সম্রাট | |||||||||||
• ৫৮১–৬০৪ | সুই সম্রাট ওয়েন | ||||||||||
• ৬০৪–৬১৭ | সুই সম্রাট ইয়াং | ||||||||||
• ৬১৭–৬১৮ | সুই সম্রাট গং | ||||||||||
চ্যান্সেলর | |||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• ইয়াং জিয়ানের সিংহাসনে আরোহণ | ৪ মার্চ ৫৮১ খ্রিস্টাব্দশ | ||||||||||
• লি ইউয়ানের কাছে পরাজয় | ২৩ মে ৬১৮ খ্রিস্টাব্দ | ||||||||||
আয়তন | |||||||||||
৫৮৯ সাল[1] | ৩০,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১২,০০,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||||
• ৬০৯ | আনু. ৪৬,০১৯,৯৫৬ | ||||||||||
মুদ্রা | চীনা মুদ্রা, চীনা নোট | ||||||||||
| |||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | ![]() ![]() |
সুই সাম্রাজ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||
![]() "সুই সাম্রাজ্য" (চীনা অক্ষরে) | |||||||||||||||||||||||||||||||
চীনা | 隋朝 | ||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
সুই সম্রাট ওয়েন প্রতিষ্ঠিত সুই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল চাং'আন, ৫৮১ থেকে ৬০৫ সাল পর্যন্ত তা ডাক্সিন নামে পরিচিত ছিল এবং পরে ৬০৫ থেকে ৬১৪ পর্যন্ত লুওইয়াং নামে পরিচিত ছিল। সম্রাট ওয়েন এবং ইয়াং বেশ কিছু সংস্কার কাজ করেন, যার মধ্যে অন্যতম হল কৃষিতে সমতা প্রদান, যাতে অর্থনৈতিক অসমতা হ্রাস পায় এবং কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়; তিন বিভাগ ও ছয় মন্ত্রণালয় পদ্ধতি; এবং প্রাচীন চীনের মুদ্রা প্রচলন ব্যবস্থাকে নির্দিষ্ট মানদণ্ডে নিয়ে আসা ও পুনরায় একত্রিত করা। তারা বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করে এবং লোকজনকে এই ধর্ম গ্রহণে উতসাহিত করে। এই সাম্রাজ্যের মাঝামাঝিতে সম্রাট ওয়েনের সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি স্বত্তেও কৃষি উৎপাদনের উদ্বৃত্ত দেখা যায়। তাই এই সময়কে এই সাম্রজ্যের সোনালি যুগ বলে গণ্য করা হয়।
গগুর্যেও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত ব্যয়বহুল কিন্তু ব্যর্থ সেনা অভিযান, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কোরিয়া অভিযান,[3][4] ৬১৪ সালে পরাজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়। অভ্যন্তরীণ কিছু বিদ্রোহ দেখা দেয় যার চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ৬১৮ সালে কয়েকজন মন্ত্রী মিলে সম্রাট ইয়াংকে হত্যা করানো। ফলে সুই সাম্রাজ্যে বিভাজন দেখা দেয় এবং প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছরেই যুদ্ধ ও স্থাপনা প্রকল্পের জন্য ধীরে ধীরে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে, সম্রাট ইয়াংয়ের সময়ে বাড়তি কর ও বাধ্যতামূলক কায়িক শ্রমের জন্য বিদ্রোহ দেখা দেয় এবং স্বল্পস্থায়ী গৃহযুদ্ধ শেষে এই সাম্রাজ্যের পতন হয়।
এই সাম্রাজ্যকে চীন বিভক্তির পর আবার একত্রিত করার জন্য পূর্ববর্তী কিন সাম্রাজ্যের সাথে তুলনা করা হয়। সুইরা তাদের এই সংক্ষিপ্ত সময়ে নতুনভাবে আবার সকল অনেক বড় বড় প্রকল্প নির্মাণ করে এবং বেশ কিছু সংস্কার কাজ করে, যা চীনের ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।